আজ ১৩ জুলাই। বাংলাদেশি সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা দিলদারের মৃত্যুদিন। দিলদার নেই দুই দশক, তবুও বাংলা সিনেমা এখনো খুঁজে ফেরে তাঁর উপস্থিতি। তাঁর জীবন থেকে কুড়ানো কিছু গল্প থাকল এই লেখায়।
তাহমীদ চৌধুরী
আশি-নব্বই দশকের বাংলা সিনেমায় দিলদারের প্রভাব এতটাই প্রবল ছিল যে একটি সফল সিনেমার রেসিপি মানেই—অ্যাকশন লাগবে, সাসপেন্স লাগবে আর লাগবে দিলদারকে। দিলদারের মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমায় তাঁর মতো কমেডিয়ান আর আসেননি। দিলদারের বিকল্প তৈরির চেষ্টাও যে পরে হয়নি, তা কিন্তু নয়। সেসব চেষ্টা ব্যর্থই হয়েছে। মৃত্যুর এত বছর পরেও তাই দিলদার এখনো আগের মতোই প্রাসঙ্গিক, জনপ্রিয়। বাংলা সিনেমার চিরকালীন এই হাসিমুখের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
দিলদার জন্মেছিলেন ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি, চাঁদপুর জেলায়। আসল নাম ‘দেলোয়ার হোসেন’। পরে নিজের নাম বদলে রাখেন দিলদার হোসেন। অবশ্য সারা জীবন মানুষের ‘দিল’ বা মন জয় করে কাটিয়ে দেওয়া একজন মানুষের জন্য এর চেয়ে যথার্থ নাম আর কী-ই বা হতে পারত!
মাধ্যমিক পাসের পর ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন দিলদার। কালক্রমে নিজ অভিনয় গুণে দর্শককে মুগ্ধ করে এক নামে পরিচিত হন, হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক অভিনেতা।
কিংবদন্তি চার্লি চ্যাপলিন বলেছিলেন, অভিনয় দিয়ে কাউকে কাঁদানোর চাইতে হাসানো অনেক কঠিন। সিনেমার পর্দায় কৌতুক অভিনেতাদের ক্ষেত্রে সংলাপের চেয়ে অঙ্গভঙ্গি বেশি জরুরি। সিনেমার সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে দিলদারের অভিনয় দক্ষতার মতো তাঁর অঙ্গভঙ্গিও ছিল বেশ সাবলীল।
সিনেমার নায়ক-নায়িকা, নায়ক-খলনায়ক জুটি নিয়ে অনেক বেশি চর্চা হলেও কমেডি চরিত্রের জুটি নিয়ে সেভাবে আলোচনার চল নেই। এদিক দিয়ে দিলদার-নাসরিন জুটির ‘অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রি’ ছিল এক বিরল উদাহরণ। একসঙ্গে তাঁরা বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এখানে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমার উদাহরণ চলে আসে। সিনেমায় দেখা যায়, নাসরিনের বাবা সাইফুদ্দিন নিজের মেয়ের ব্যাপারে খুব কড়া। কোনোভাবেই প্রেম করতে দেবে না। পড়াশোনার জন্য তার একজন গৃহশিক্ষক দরকার। দিলদার দাড়িগোঁফ লাগিয়ে ছদ্মবেশে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে যায়। একদিন নাসরিনের সঙ্গে দিলদারের প্রেমের মুহূর্তে সাইফুদ্দিন এসে হাজির হয়। তড়িঘড়ি করে দিলদার গোয়ালঘরে লুকিয়ে পড়ে। ওদিকে গরু তখনই প্রস্রাব করতে শুরু করে। দিলদার তখন বলে, ‘বৃষ্টি আসনের আর টাইম পাইল না।’ এমন অসংখ্য মজার উদাহরণ দেওয়া যাবে এই জুটির কাণ্ড নিয়ে। দিলদারের মৃত্যুর পর নাসরিন জুটি গড়েছেন আফজাল শরীফ, কাবিলাদের সঙ্গে। কিন্তু সেগুলো দিলদার-নাসরিনের মতো জনপ্রিয় হয়নি।
পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল তাঁর ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমার প্রধান চরিত্র তথা নায়কের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য দিলদারকে প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব পেয়ে দিলদার পরিচালককে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি আমার রুটি-রুজিতে আঘাত করতে এসেছেন?’ অনেক অনুরোধের পর দিলদার নায়ক চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হন।
তবে এরপর দেখা দেয় নতুন সংকট। দিলদারের বিপরীতে নায়িকা হবেন কে? মৌসুমী, শাবনূরের মতো প্রথম সারির নায়িকারা তখন প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। শেষমেশ পরিচালক নায়িকা নূতনের শরণাপন্ন হন। নূতন রাজি হয়ে যান।
সিনেমাটি মুক্তির আগে হলমালিকেরা কটু কথা শোনান পরিচালক-প্রযোজককে। কিন্তু ছবিটি মুক্তির পর সমস্ত হিসাব-নিকাশ পাল্টে যায়। প্রথম দিন থেকেই প্রেক্ষাগৃহে নামে দর্শকের ঢল। যে দর্শক দিলদারের কৌতুকে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ত, তারাই তাঁকে ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হিসেবে বরণ করে নেয়। সিনেমাটির প্রযোজকের মতে, আব্দুল্লাহ প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
পর্দার বাইরেও দিলদার ছিলেন বর্ণময় চরিত্র। সহশিল্পীদের ভরসার প্রতীক হিসেবে তাঁর খ্যাতি আছে। একবার মালেক আফসারীর ‘লাল বাদশা’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় অভিনেত্রী নাসরিনের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য চলছিল। দিলদার সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, নাসরিন থাকলে তিনি সেই সিনেমায় আর অভিনয় করবেন না। নির্মাতাও পড়েছিলেন বিপাকে। কারণ, দিলদার আর নাসরিন একসঙ্গে মিলেই গানটি করার কথা ছিল। তাই সেটা এবার বাদ দিতে হবে। কিন্তু দিলদার জানান, গান থাকতেই হবে, না হলে তিনি আর পরিচালককে শিডিউল দেবেন না। তখন মালেক আফসারীও শর্ত দেন, গান থাকবে কিন্তু সেটা দিলদারকেই গাইতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জ দিলদার গ্রহণ করেন। তাঁর কণ্ঠে ‘শুধু ডিম দিয়ে পরিচয়’ গানটি সে সময় তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
আরেকবার ‘দাঙ্গা’ ছবির ভারতীয় রিমেকে কাজ করতে গিয়ে একটু ভয় পেয়েছিলেন অভিনেত্রী দুলারি। তখন দিলদার তাঁকে সাহস দিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে পারলে, ভারতে না পারার কী আছে!’ শুটিংয়ের ফাঁকে একদিন দুলারিকে নিয়ে দিলদার ঘুরতে গিয়েছিলেন কলকাতার নিউমার্কেটে। সেখানকার লোকজন কৌতূহল ভরে জানতে চাইছিল, ‘ইনি আপনার কে হন?’ দিলদার মজা করে বলে দেন, ‘আমার বউ।’ তাঁদের দুজনের উচ্চতার তফাত দেখে সবাই হেসে উঠলে দুলারি দিলদারকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি এমন বললেন কেন?’
হেসে দিলদারের জবাব ছিল, ‘সমস্যা কী! সবাই তো মজা পাচ্ছে।’ দিলদার জীবনের প্রতিটা মুহূর্তেই এভাবেই হাসি ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসতেন।
আলো ঝলমলে পর্দার বাইরে দিলদার ছিলেন আদর্শ পরিবারপ্রধান। যতই শুটিং থাকুক, রাত ১০টার পর তিনি বাড়িতে ফিরবেনই। পরিবারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজের জীবদ্দশায় দুটি বাড়ি তৈরি করে গেছেন। সেই আয়েই আজও তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছেন।
২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। সেই পুরস্কার হাতে নেওয়ার আনন্দ তিনি উপভোগ করে যেতে পারেননি। দুই দশক পেরিয়ে গেলেও ঢাকাই সিনেমার অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুকসম্রাট দিলদার পর্দায় যে হাসির খোরাক জোগাতেন, সেই স্থান আজও অপূরণীয়।
আশি-নব্বই দশকের বাংলা সিনেমায় দিলদারের প্রভাব এতটাই প্রবল ছিল যে একটি সফল সিনেমার রেসিপি মানেই—অ্যাকশন লাগবে, সাসপেন্স লাগবে আর লাগবে দিলদারকে। দিলদারের মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমায় তাঁর মতো কমেডিয়ান আর আসেননি। দিলদারের বিকল্প তৈরির চেষ্টাও যে পরে হয়নি, তা কিন্তু নয়। সেসব চেষ্টা ব্যর্থই হয়েছে। মৃত্যুর এত বছর পরেও তাই দিলদার এখনো আগের মতোই প্রাসঙ্গিক, জনপ্রিয়। বাংলা সিনেমার চিরকালীন এই হাসিমুখের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
দিলদার জন্মেছিলেন ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি, চাঁদপুর জেলায়। আসল নাম ‘দেলোয়ার হোসেন’। পরে নিজের নাম বদলে রাখেন দিলদার হোসেন। অবশ্য সারা জীবন মানুষের ‘দিল’ বা মন জয় করে কাটিয়ে দেওয়া একজন মানুষের জন্য এর চেয়ে যথার্থ নাম আর কী-ই বা হতে পারত!
মাধ্যমিক পাসের পর ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন দিলদার। কালক্রমে নিজ অভিনয় গুণে দর্শককে মুগ্ধ করে এক নামে পরিচিত হন, হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক অভিনেতা।
কিংবদন্তি চার্লি চ্যাপলিন বলেছিলেন, অভিনয় দিয়ে কাউকে কাঁদানোর চাইতে হাসানো অনেক কঠিন। সিনেমার পর্দায় কৌতুক অভিনেতাদের ক্ষেত্রে সংলাপের চেয়ে অঙ্গভঙ্গি বেশি জরুরি। সিনেমার সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে দিলদারের অভিনয় দক্ষতার মতো তাঁর অঙ্গভঙ্গিও ছিল বেশ সাবলীল।
সিনেমার নায়ক-নায়িকা, নায়ক-খলনায়ক জুটি নিয়ে অনেক বেশি চর্চা হলেও কমেডি চরিত্রের জুটি নিয়ে সেভাবে আলোচনার চল নেই। এদিক দিয়ে দিলদার-নাসরিন জুটির ‘অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রি’ ছিল এক বিরল উদাহরণ। একসঙ্গে তাঁরা বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এখানে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমার উদাহরণ চলে আসে। সিনেমায় দেখা যায়, নাসরিনের বাবা সাইফুদ্দিন নিজের মেয়ের ব্যাপারে খুব কড়া। কোনোভাবেই প্রেম করতে দেবে না। পড়াশোনার জন্য তার একজন গৃহশিক্ষক দরকার। দিলদার দাড়িগোঁফ লাগিয়ে ছদ্মবেশে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে যায়। একদিন নাসরিনের সঙ্গে দিলদারের প্রেমের মুহূর্তে সাইফুদ্দিন এসে হাজির হয়। তড়িঘড়ি করে দিলদার গোয়ালঘরে লুকিয়ে পড়ে। ওদিকে গরু তখনই প্রস্রাব করতে শুরু করে। দিলদার তখন বলে, ‘বৃষ্টি আসনের আর টাইম পাইল না।’ এমন অসংখ্য মজার উদাহরণ দেওয়া যাবে এই জুটির কাণ্ড নিয়ে। দিলদারের মৃত্যুর পর নাসরিন জুটি গড়েছেন আফজাল শরীফ, কাবিলাদের সঙ্গে। কিন্তু সেগুলো দিলদার-নাসরিনের মতো জনপ্রিয় হয়নি।
পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল তাঁর ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমার প্রধান চরিত্র তথা নায়কের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য দিলদারকে প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব পেয়ে দিলদার পরিচালককে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি আমার রুটি-রুজিতে আঘাত করতে এসেছেন?’ অনেক অনুরোধের পর দিলদার নায়ক চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হন।
তবে এরপর দেখা দেয় নতুন সংকট। দিলদারের বিপরীতে নায়িকা হবেন কে? মৌসুমী, শাবনূরের মতো প্রথম সারির নায়িকারা তখন প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। শেষমেশ পরিচালক নায়িকা নূতনের শরণাপন্ন হন। নূতন রাজি হয়ে যান।
সিনেমাটি মুক্তির আগে হলমালিকেরা কটু কথা শোনান পরিচালক-প্রযোজককে। কিন্তু ছবিটি মুক্তির পর সমস্ত হিসাব-নিকাশ পাল্টে যায়। প্রথম দিন থেকেই প্রেক্ষাগৃহে নামে দর্শকের ঢল। যে দর্শক দিলদারের কৌতুকে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ত, তারাই তাঁকে ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হিসেবে বরণ করে নেয়। সিনেমাটির প্রযোজকের মতে, আব্দুল্লাহ প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
পর্দার বাইরেও দিলদার ছিলেন বর্ণময় চরিত্র। সহশিল্পীদের ভরসার প্রতীক হিসেবে তাঁর খ্যাতি আছে। একবার মালেক আফসারীর ‘লাল বাদশা’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় অভিনেত্রী নাসরিনের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য চলছিল। দিলদার সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, নাসরিন থাকলে তিনি সেই সিনেমায় আর অভিনয় করবেন না। নির্মাতাও পড়েছিলেন বিপাকে। কারণ, দিলদার আর নাসরিন একসঙ্গে মিলেই গানটি করার কথা ছিল। তাই সেটা এবার বাদ দিতে হবে। কিন্তু দিলদার জানান, গান থাকতেই হবে, না হলে তিনি আর পরিচালককে শিডিউল দেবেন না। তখন মালেক আফসারীও শর্ত দেন, গান থাকবে কিন্তু সেটা দিলদারকেই গাইতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জ দিলদার গ্রহণ করেন। তাঁর কণ্ঠে ‘শুধু ডিম দিয়ে পরিচয়’ গানটি সে সময় তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
আরেকবার ‘দাঙ্গা’ ছবির ভারতীয় রিমেকে কাজ করতে গিয়ে একটু ভয় পেয়েছিলেন অভিনেত্রী দুলারি। তখন দিলদার তাঁকে সাহস দিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে পারলে, ভারতে না পারার কী আছে!’ শুটিংয়ের ফাঁকে একদিন দুলারিকে নিয়ে দিলদার ঘুরতে গিয়েছিলেন কলকাতার নিউমার্কেটে। সেখানকার লোকজন কৌতূহল ভরে জানতে চাইছিল, ‘ইনি আপনার কে হন?’ দিলদার মজা করে বলে দেন, ‘আমার বউ।’ তাঁদের দুজনের উচ্চতার তফাত দেখে সবাই হেসে উঠলে দুলারি দিলদারকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি এমন বললেন কেন?’
হেসে দিলদারের জবাব ছিল, ‘সমস্যা কী! সবাই তো মজা পাচ্ছে।’ দিলদার জীবনের প্রতিটা মুহূর্তেই এভাবেই হাসি ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসতেন।
আলো ঝলমলে পর্দার বাইরে দিলদার ছিলেন আদর্শ পরিবারপ্রধান। যতই শুটিং থাকুক, রাত ১০টার পর তিনি বাড়িতে ফিরবেনই। পরিবারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজের জীবদ্দশায় দুটি বাড়ি তৈরি করে গেছেন। সেই আয়েই আজও তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছেন।
২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। সেই পুরস্কার হাতে নেওয়ার আনন্দ তিনি উপভোগ করে যেতে পারেননি। দুই দশক পেরিয়ে গেলেও ঢাকাই সিনেমার অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুকসম্রাট দিলদার পর্দায় যে হাসির খোরাক জোগাতেন, সেই স্থান আজও অপূরণীয়।
ঢাকায় একসময় আফিম থেকে তৈরি নেশাদ্রব্যের ব্যাপক প্রচলন ছিল। ফেসবুকে পুরান ঢাকার একটি আফিমের দোকানের ছবি মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে। দোকানের সাইনবোর্ডে লেখা, 'আফিমের দোকান'। চার শ বছরের ঐহিত্যবাহী শহর ঢাকায় প্রথম কাদের হাত ধরে এসেছিল আফিম নামের নেশাদ্রব্য? কোন স্বার্থে কারা এর বিস্তার ঘটালেন?
১৪ ঘণ্টা আগেক্যানকুন আসলে চিচেন ইত্জা ভ্রমণের গেটওয়ে। চিচেন ইত্জায় যাঁরা বেড়াতে যান, তাঁদের অনেকেই প্রথমে এখান থেকে যাত্রা শুরু করেন। সাদাবালির দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতের জন্য ক্যানকুন খুবই বিখ্যাত। তাই মেক্সিকোর অন্যতম ব্যস্ত এই ক্যানকুন বিমানবন্দরে বিভিন্ন দেশের মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।
১ দিন আগেরাশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ও তার পরপরই সুনামির ঢেউ আবার নতুন করে মনে করিয়ে দেয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে মানুষ কতটা অসহায়। এই ঘটনায় রাশিয়া, জাপান, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা। এমন খবরের পর প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাংলাদেশ কি সুনামির ঝুঁকিতে আছে?
২ দিন আগেহাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের গান নিয়ে বলার মতো যোগ্যতা আমার নেই। তবে গেল তিরিশ বছরে বাংলাদেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি একজন অনন্য একজন শিল্পী।
৩ দিন আগে