leadT1ad

টিকটক থেকে গেমিং: ড্রিফট ফঙ্ক ও ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক কেন জেন জি–আলফার নতুন অনলাইন কালচার

টিকটক, রিলস আর গেমিংয়ের ভিড়ে ড্রিফট ফঙ্ক ও ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক মিউজিক জনরা বিশ্বজুড়ে জেনারেশন জি–আলফার আচরণ, অভিব্যক্তি ও অনলাইন পরিচয়ের নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই দুই জনরা দুনিয়াজুড়ে কেন এত জনপ্রিয়? কীভাবে এই মিউজিক জেন জি–আলফার নতুন অনলাইন কালচার হয়ে উঠছে?

সুমন সুবহান
সুমন সুবহান

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৪
ড্রিফট ফঙ্ক ও ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক জেন জি–আলফার নতুন অনলাইন কালচার। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক

গত কয়েক বছরে বিশ্ব সংগীতে দুটি ধারা এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের লাইফস্টাইল ও কালচার বদলে দিয়েছে। জনরা দুটি হলো ড্রিফট ফঙ্ক এবং ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক। গানের লিরিক ও সাউন্ডট্র্যাকের প্রচলিত ধারা ও অ্যালবাম রিলিজের পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই ‘হাই-অকটেন’ সাউন্ড দ্রুত জনপ্রিয় হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের অনলাইন এক্টিভিটিতে এটি নতুন এক ধরণের ‘সাউন্ডট্র্যাক’ তৈরি করেছে। এখানে তরুণ প্রজন্ম বা জেনারেশন বলতে জেনারেশন ‘জি’ ও ‘আলফা’র কথা বলছি।

এই দুই জেনারেশনের মধ্যে জেনারেশন আলফা’র এখনো শৈশব চলছে কিন্তু জেনারেশন জি’র মতো তাঁদের কাছেও মিউজিক কেবল শোনার বিষয় নয়, এটি অভিব্যক্তি প্রকাশের মাধ্যমও। তাঁরা এই ধারাগুলোকে নিজস্ব পছন্দ, ডিজিটাল লাইফস্টাইল ও মনের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রহণ করেছে।

এর তীব্র রিদম আর ডিস্টর্টেড গ্রুভ বিশ্বব্যাপী টিকটক ট্রেন্ড, রেসিং গেমসের অ্যাড্রেনালিন রাশ ও বডি ওয়ার্কআউট সেশনের জন্য নতুন ধরনের উন্মাদনা তৈরি করেছে। ড্রিফট ফঙ্কের কাউবেল ড্রপ একদিকে যেমন অনলাইন অ্যাকশন ভিডিওর জন্য অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠেছে, তেমনি অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্কের বেস রিদমগুলো নাচের স্টেপ বা কোরিওগ্রাফি এবং স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দের প্রতীক।

ড্রিফট ফঙ্ক: রাশিয়ার আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে টিকটকের টপ ট্রেন্ড

ড্রিফট ফঙ্ক আজকের মিউজিক দুনিয়ায় আলোচিত জনরা। এর দ্রুত গতি আর তীব্র সাউন্ড (সিনথেসাইজড অ্যাগ্রেসিভনেস) শুনলেই একটা আলাদা উত্তেজনা তৈরি হয়। এই ধারার জন্ম রাশিয়ার আন্ডারগ্রাউন্ড মিউজিক সিনে, আর এটি আগের ক্লাসিক ফঙ্ক মিউজিকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এর ভিত্তি গড়ে উঠেছে ১৯৯০-এর দশকের মেমফিস র‍্যাপের ডার্ক স্যাম্পল আর সাইকেডেলিক ফঙ্কের গ্রুভ থেকে। এইসব মিলিয়ে ড্রিফট ফঙ্ক হয়ে উঠেছে লো-ফাই এবং খুবই গতিশীল এক মিউজিক স্টাইল।

কর্ডহেলের আসল নাম মাইকেল ‘মিক’ কেনি। সংগৃহীত ছবি
কর্ডহেলের আসল নাম মাইকেল ‘মিক’ কেনি। সংগৃহীত ছবি

এখানে জনপ্রিয় শিল্পী কর্ডহেলের নাম উল্লেখ করা যায়। ব্রিটিশ এই সুরকারের আসল নাম মাইকেল ‘মিক’ কেনি। কর্ডহেল হওয়ার আগে তিনি ‘আনাল নাথরাখ’ নামে এক এক্সট্রিম মেটাল ব্যান্ডে গিটার বাজাতেন এবং আরো বেশ কিছু মেটাল প্রজেক্টে যুক্ত ছিলেন। ২০২২ সালের শুরুতে তাঁর গান ‘মার্ডার ইন মাইন্ড’ টিকটক ও ইউটিউবে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। এর সুবাদে তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান এবং বিলবোর্ড ডান্স চার্টেও জায়গা করে নেন।

ফঙ্কের মূল জোর থাকে রিদমে। কিন্তু ড্রিফট ফঙ্ক সেই রিদমকে আরও তীব্র ও দ্রুত করেছে, যা আধুনিক তরুণদের ডিজিটাল জীবনের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে যায়। এই কারণেই ‘মার্ডার ইন মাইন্ড’, ‘কিলার্স ফ্রম দ্য নর্থসাইড’, ‘লাইভ অনাদার ডে’, ‘স্কোপিন’–এর মতো ট্র্যাক লাখ লাখ তরুণের পছন্দের সাউন্ড হয়ে উঠেছে। তাঁরা অনলাইন অ্যাকশন ভিডিও, গেমপ্লে বা যে কোনো শক্তিশালী মুহূর্তের জন্য ঠিক এমনই এক পাওয়ারফুল সাউন্ডট্র্যাক খুঁজছিল।

ড্রিফট ফঙ্ককে অন্য সব মিউজিক থেকে আলাদা করে যেসব জিনিস, তার মধ্যে সবচেয়ে চোখে পড়ার বিষয় হলো এর ডিস্টর্টেড কাউবেল সাউন্ড আর ভারী ৮০৮ বেসলাইন। এই কাউবেল সাধারণত খুব উঁচু সুরে এবং দ্রুতগতিতে বারবার বাজে, যা শুনলে একধরনের টানটান, আক্রমণাত্মক এবং দ্রুত রিদম অনুভব হয়। ইলেকট্রনিক ও ট্র্যাপ মিউজিকের প্রভাবে এর বেস এত জোরে থাকে যে সেটা শরীর পর্যন্ত কাঁপিয়ে তোলে।

ফঙ্কের মূল জোর থাকে রিদমে। কিন্তু ড্রিফট ফঙ্ক সেই রিদমকে আরও তীব্র ও দ্রুত করেছে, যা আধুনিক তরুণদের ডিজিটাল জীবনের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে যায়। এই কারণেই ‘মার্ডার ইন মাইন্ড’, ‘কিলার্স ফ্রম দ্য নর্থসাইড’, ‘লাইভ অনাদার ডে’, ‘স্কোপিন’–এর মতো ট্র্যাক লাখ লাখ তরুণের পছন্দের সাউন্ড হয়ে উঠেছে।

ড্রিফট ফঙ্কের সাউন্ড সাধারণত ‘র’—মানে খুব কম এডিট করা, যাতে আন্ডারগ্রাউন্ড অনুভূতি থাকে। এই তীব্র সিনথেটিক সাউন্ড মিউজিকটিকে নিখাদ এনার্জি ও গতি দেয় এবং তরুণদের বিদ্রোহী মনোভাবের সঙ্গে মিল খুঁজে পায়। সব মিলেই ড্রিফট ফঙ্ক শুনতে গিয়ে এক ধরনের অপ্রত্যাশিত, অ্যাড্রেনালিন-ভরা অভিজ্ঞতা তৈরি হয়।

ড্রিফট ফঙ্ক এখন শুধু গানই নয়, ইন্টারনেটের অ্যাকশনভরা ভিডিওর মূল সাউন্ডট্র্যাক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রেসিং গেম, ড্রিফটিং ভিডিও আর কঠিন ওয়ার্কআউট ক্লিপে এটি দুর্দান্ত মানায়। এর দ্রুত রিদম এবং হাই-অকটেন গ্রুভ খুব দ্রুত অ্যাড্রেনালিন বাড়ায় এবং ভিডিওকে আরও আকর্ষণীয় করে। গাড়ির গতি, ড্রিফটের ঝাঁকুনি, বা ওয়ার্কআউটের বারবার করা মুভ—সবই এই রিদমের সঙ্গে দারুণভাবে মিলে যায়। এর পুনরাবৃত্ত বিট একটা মানসিক ‘লুপ’ তৈরি করে, যাতে দর্শক ভিডিওতে আরও ডুবে যায়। এইভাবেই ড্রিফট ফঙ্ক খুব অল্প সময়েই অনলাইন অ্যাকশন কন্টেন্টের নতুন মানদণ্ড হয়ে উঠেছে এবং তরুণদের ডিজিটাল লাইফস্টাইলের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে।

ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক: যে রিদম মিলিয়ন তরুণকে এক লুপে বেঁধে ফেলে

‘নাদা নাদা’ ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক শিল্পী ও প্রযোজক জমিলটনের তৈরি খুব জনপ্রিয় এক ফাঙ্ক ট্র্যাক। তার ‘বেম বেম’, ‘নাদা নাদা’ এ ধরনের গান টিকটক, ইউটিউব শর্টসসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে। জমিলটনের মিউজিকে ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্কের উৎসবমুখর ভাব আর দ্রুতগতির ফঙ্কের তীব্রতা—দুটোরই মিশ্রণ দেখা যায়। তাই তাঁর গান রেসিং ভিডিও, নাচের কন্টেন্ট বা দ্রুত রিদম লাগে এমন ভিডিওতে দারুণ মানিয়ে যায়।

ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক আসলে মিয়ামি বেসের প্রভাব থেকে ব্রাজিলের ফেভেলা সংস্কৃতিতে জন্ম নেওয়া এক সংগীতধারা। তাই এটি শুধু গান নয়, লাতিন আমেরিকার নাচ, রাস্তার উৎসব আর আনন্দময় জীবনের প্রতীক। এর শক্তিশালী ও দ্রুত রিদম জেনারেশন জি এবং আলফাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাচতে, নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে এবং মজা করতে সাহায্য করে। এসব গান নাচের স্টেপ, ফ্যাশন ট্রানজিশন এবং আনন্দভরা ছোট ছোট ভিডিওর জন্য বিশ্বজুড়ে এক বিশাল উন্মাদনা তৈরি করেছে।

‘নাদা নাদা’ ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক শিল্পী ও প্রযোজক জমিলটনের তৈরি খুব জনপ্রিয় এক ফাঙ্ক ট্র্যাক। সংগৃহীত ছবি
‘নাদা নাদা’ ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক শিল্পী ও প্রযোজক জমিলটনের তৈরি খুব জনপ্রিয় এক ফাঙ্ক ট্র্যাক। সংগৃহীত ছবি

ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্কের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর মুক্ত অভিব্যক্তি এবং ইন্টারনেটকেন্দ্রিক ব্যবহার। এই ধারাটি মূলত নাচের স্টেপ বা কোরিওগ্রাফি, ফ্যাশন ট্রানজিশন এবং দৈনন্দিন জীবনের আনন্দময় ভিডিওতে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তিশালী রিদম এবং গানের কথা তরুণদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে, বিশেষ করে টিকটক, ইউটিউব শর্টস-এ ফাঙ্ক গ্রুভগুলো অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং সহজেই নাচের ট্রেন্ড তৈরি করে। এই ট্রেন্ডগুলো ভৌগোলিক সীমানা পেরিয়ে খুব দ্রুতই সারা বিশ্বের তরুণদের কানেক্ট করে। এভাবে ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক কেবল একটি মিউজিক জনরা হিসেবে নয়, বরং ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী তারুণ্যের মুক্ত প্রকাশ এবং যোগাযোগের একটি শক্তিশালী কালচারাল টুল হিসেবে কাজ করছে।

বিশ্বজুড়ে ড্রিফট ফঙ্ক এবং ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক কেন এত জনপ্রিয়

ড্রিফট ফঙ্ক এবং ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক এত দ্রুত জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ হলো জেনারেশন জি ও আলফার ডিজিটাল অভ্যাস। এই দুই জেনারেশন মিউজিককে শুধুমাত্র শোনার মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং নিজেদের অনলাইন পরিচয়ের একটি এক্সটেনশন হিসেবে ব্যবহার করে।

এই জেনারেশন মিউজিককে দীর্ঘ ফর্মে নয়, বরং ছোট ও ব্যবহারযোগ্য 'অডিও স্ন্যাকেট' হিসেবে দেখে। তাদের মনোযোগ কম সময়ে বদলে যায়, তাই তারা দ্রুত, আকর্ষণীয় কন্টেন্টে বেশি স্বচ্ছন্দ। ড্রিফট ফঙ্ক এবং ফাঙ্কের দ্রুত 'ড্রপ' এবং আকর্ষণীয় অংশগুলো, যেমন—কাউবেল বা বেস লুপ তাদের ঠিক সেই চাহিদা পূরণ করে। এই অংশগুলো ১০-১৫ সেকেন্ডের টিকটক বা রিলস ভিডিওর জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত, যেখানে মিউজিক দিয়েই একটি সম্পূর্ণ ট্রেন্ড তৈরি করে।

এদের উত্থান দেখিয়ে দিয়েছে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া এখন শুধু গান ছড়ানোর জায়গা নয়; এগুলো মিউজিক সৃষ্টির পরীক্ষা-নিরীক্ষা, নতুন সাউন্ড তৈরির জায়গা, এবং বিশ্বজুড়ে সংস্কৃতি বিনিময়ের প্ল্যাটফর্মও।

আর জেনারেশন জি ও আলফা ভৌগোলিক সীমা মানে না। তাঁদের কাছে কন্টেন্টই আসল, তা রাশিয়ার ড্রিফট ফঙ্ক হোক বা ব্রাজিলের ফাঙ্ক বেসলাইন। এ কারণে ড্রিফট ফঙ্ক বা ফাঙ্কভিত্তিক চ্যালেঞ্জ এবং ট্রেন্ড মুহূর্তেই সারা বিশ্বের তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এটি দেখায়, আজকের যুগে মিউজিকের মানদণ্ড আর কোনো দেশ বা বড় স্টুডিও ঠিক করে না; ঠিক করে ইন্টারনেট ট্রেন্ড এবং নতুন জেনারেশনের পছন্দ।

ড্রিফট ফঙ্ক ও ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্ক যেভাবে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির ধারা বদলে দিচ্ছে

ড্রিফট ফঙ্ক এবং ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্কের উত্থান কেবল নতুন ধরনের মিউজিককে জনপ্রিয় করেনি, বরং তা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির পুরোনো ধারা এবং ক্ষমতা কাঠামোকে আমূল পরিবর্তন করেছে। এই ধারাগুলোর জনপ্রিয়তা আর ট্র্যাডিশনাল মিডিয়া যেমন রেডিও বা টেলিভিশনের প্লেলিস্ট অথবা বড় রেকর্ড লেবেলের ব্যয়বহুল প্রচারণার ওপর নির্ভর করে না।

এখন একটি সাধারণ নাচের স্টেপ কিংবা টিকটকের একটি ট্রেন্ডই কোনো গানকে মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলতে পারে। এভাবে মিউজিকের নিয়ন্ত্রণ প্রকাশকদের হাত থেকে সরে গিয়ে চলে গেছে অডিয়েন্স ও কনটেন্ট নির্মাতাদের হাতে। ড্রিফট ফঙ্কের লো-ফাই, ‘র’ সাউন্ড আর ফাঙ্কের সহজ লুপ-ভিত্তিক প্রোডাকশন তরুণ ও স্বাধীন প্রযোজকদের জন্য আরও সুবিধাজনক হয়েছে। কম বাজেটে, ঘরে বসেই, খুব দ্রুত মিউজিক বানানো ও প্রকাশ করা যাচ্ছে—যা আগে কল্পনাও করা যেত না। ফলে এখন এমন একটা প্রোডাকশন মডেল তৈরি হয়েছে যেখানে প্রতিভা থাকলেই কেউ বড় স্টুডিও ছাড়াই বিশ্বজুড়ে শ্রোতার কাছে পৌঁছে যেতে পারে।

এদের উত্থান দেখিয়ে দিয়েছে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া এখন শুধু গান ছড়ানোর জায়গা নয়; এগুলো মিউজিক সৃষ্টির পরীক্ষা-নিরীক্ষা, নতুন সাউন্ড তৈরির জায়গা, এবং বিশ্বজুড়ে সংস্কৃতি বিনিময়ের প্ল্যাটফর্মও। এই দুটি ধারা সফলভাবে জেনারেশন জি এবং জেনারেশন আলফার চাহিদা পূরণ করে চলেছে। ড্রিফট ফঙ্কের অ্যাড্রেনালিনপূর্ণ গ্রুভ এবং ব্রাজিলিয়ান ফাঙ্কের উৎসবমুখর রিদম তাঁদের জন্য ডিজিটাল পরিচয়ের একটি শক্তিশালী টুল হিসেবে কাজ করে।

ফাঙ্কের এই নতুন সংস্করণগুলো আগামী দিনেও বিশ্বজুড়ে কালচারাল এক্সচেঞ্জ এবং অনলাইন ট্রেন্ডের ধারা প্রভাবিত করবে। মিউজিকের ভবিষ্যত এখন আর রেডিও বা রেকর্ড লেবেলের হাতে নেই, বরং তা তরুণ প্রজন্মের স্ক্রল করা ফিডে এবং ভাইরালিটির রিদমে নিহিত।

Ad 300x250

সম্পর্কিত