পৃথিবীর দক্ষিণের শেষ শহর উসুয়াইয়া। আর্জেন্টিনার শেষ প্রান্তের এই শহরে গেলে আপনি শতাব্দীপ্রাচীন ‘রামোস জেনেরালেস এল আলমাসেন’ ক্যাফেতে ঘুরে আসতে পারেন।
তানভীর অপু

উসুয়াইয়া। পৃথিবীর দক্ষিণ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এক নিঃসঙ্গ শহর, যেখানে পর্বত আর মহাসাগরের মিলনরেখায় সভ্যতার শেষ নিঃশ্বাস টিকে আছে নীরবতা আর অনন্ত সৌন্দর্যের মধ্যে। এমন নিসর্গের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এক শতাব্দীপ্রাচীন প্রতিষ্ঠান ‘রামোস জেনেরালেস এল আলমাসেন’।
আজ এটি একটি ক্যাফে–রেস্টুরেন্ট হলেও, শত বছরের ইতিহাস বহন করা এই প্রতিষ্ঠান আসলে উসুয়াইয়ার একটি জীবন্ত ইতিহাস।

এই ক্যাফে চালু হয়েছিল ১৯০৬ সালে। তখন এটি ছিল একটি সাধারণ গুদাম ও দোকান। এখানে মানুষ দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুই পেত। চাল-ডাল থেকে শুরু করে কালি-কলম, লবণ থেকে শুরু করে প্রেমপত্র লেখার কাগজ পর্যন্ত। সময় বদলেছে, কিন্তু সেই পুরোনো ভাবটা আজও এই ক্যাফের ভেতরে রয়ে গেছে।

ক্যাফেতে ঢুকলেই মনে হয় যেন হঠাৎ করে এক শ বছর পেছনে চলে গেছি। মেঝে জুড়ে পুরোনো কাঠের পাটাতন, দেয়ালে ঝুলে থাকা বিবর্ণ পোস্টার, ধূলিমলিন টাইপরাইটার, লোহার ক্যাশমেশিন, শতাব্দী প্রাচীন কাপ-পিরিচ আর ম্যাপ। সব কিছুই যেন ইতিহাসের হাড়গোড়। সবকিছুরই যেন নিজের মতো করে একটা গল্প আছে।

এখানকার খাবারও খুব যত্নে তৈরি। বলা যায়, ঐতিহ্য ও যত্নের মিশেলে তৈরি এক শিল্পকর্মের মতো। স্থানীয় উপাদানে তৈরি স্যান্ডউইচ, মিষ্টি হট চকোলেট, হাতে বানানো পেস্ট্রি—সবকিছুতেই যেন রয়েছে আর্জেন্টিনার ঘরের উষ্ণতা আর আদি রান্নাঘরের গন্ধ।
কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে জানালার বাইরে পেরিটো মোরেনো গ্লেসিয়ারের নিঃশব্দ সৌন্দর্য দেখলে মনে হয় সময় একটু থেমে গেছে।

‘রামোস জেনেরালেস এল আলমাসেন’ এমন এক জায়গা, যেখানে এসে শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, মনটাও শান্ত হয়ে যায়। এখানে বসে থাকা মানে কেবল বিশ্রাম নয়, বরং ইতিহাসের পাতায় নিজের নামটি লিখে রেখে যাওয়া।
প্রতিটি বসবার জায়গা, কফির কাপে চুমুক, গন্ধ—সবই মনে করিয়ে দেয়, আমরা সময়ের ভেতর দিয়ে হাঁটি, কিন্তু কিছু জায়গা আমাদের মধ্যে চিরকাল রয়ে যায়।

উসুয়াইয়ায় এসে যদি আপনি এই ক্যাফেতে না যান, তাহলে শহরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ দেখা বাকি থেকে যাবে। ট্রিপঅ্যাডভাইজার ও গুগলের মতে, এটি উসুয়াইয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর একটি। বলা যায়, এই শহরে এসে স্মৃতি যদি সত্যিই বাসা বাঁধে, তবে নিশ্চয়ই তার একটি নাম ‘রামোস জেনেরালেস এল আলমাসেন’।

উসুয়াইয়া। পৃথিবীর দক্ষিণ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এক নিঃসঙ্গ শহর, যেখানে পর্বত আর মহাসাগরের মিলনরেখায় সভ্যতার শেষ নিঃশ্বাস টিকে আছে নীরবতা আর অনন্ত সৌন্দর্যের মধ্যে। এমন নিসর্গের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এক শতাব্দীপ্রাচীন প্রতিষ্ঠান ‘রামোস জেনেরালেস এল আলমাসেন’।
আজ এটি একটি ক্যাফে–রেস্টুরেন্ট হলেও, শত বছরের ইতিহাস বহন করা এই প্রতিষ্ঠান আসলে উসুয়াইয়ার একটি জীবন্ত ইতিহাস।

এই ক্যাফে চালু হয়েছিল ১৯০৬ সালে। তখন এটি ছিল একটি সাধারণ গুদাম ও দোকান। এখানে মানুষ দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুই পেত। চাল-ডাল থেকে শুরু করে কালি-কলম, লবণ থেকে শুরু করে প্রেমপত্র লেখার কাগজ পর্যন্ত। সময় বদলেছে, কিন্তু সেই পুরোনো ভাবটা আজও এই ক্যাফের ভেতরে রয়ে গেছে।

ক্যাফেতে ঢুকলেই মনে হয় যেন হঠাৎ করে এক শ বছর পেছনে চলে গেছি। মেঝে জুড়ে পুরোনো কাঠের পাটাতন, দেয়ালে ঝুলে থাকা বিবর্ণ পোস্টার, ধূলিমলিন টাইপরাইটার, লোহার ক্যাশমেশিন, শতাব্দী প্রাচীন কাপ-পিরিচ আর ম্যাপ। সব কিছুই যেন ইতিহাসের হাড়গোড়। সবকিছুরই যেন নিজের মতো করে একটা গল্প আছে।

এখানকার খাবারও খুব যত্নে তৈরি। বলা যায়, ঐতিহ্য ও যত্নের মিশেলে তৈরি এক শিল্পকর্মের মতো। স্থানীয় উপাদানে তৈরি স্যান্ডউইচ, মিষ্টি হট চকোলেট, হাতে বানানো পেস্ট্রি—সবকিছুতেই যেন রয়েছে আর্জেন্টিনার ঘরের উষ্ণতা আর আদি রান্নাঘরের গন্ধ।
কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে জানালার বাইরে পেরিটো মোরেনো গ্লেসিয়ারের নিঃশব্দ সৌন্দর্য দেখলে মনে হয় সময় একটু থেমে গেছে।

‘রামোস জেনেরালেস এল আলমাসেন’ এমন এক জায়গা, যেখানে এসে শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, মনটাও শান্ত হয়ে যায়। এখানে বসে থাকা মানে কেবল বিশ্রাম নয়, বরং ইতিহাসের পাতায় নিজের নামটি লিখে রেখে যাওয়া।
প্রতিটি বসবার জায়গা, কফির কাপে চুমুক, গন্ধ—সবই মনে করিয়ে দেয়, আমরা সময়ের ভেতর দিয়ে হাঁটি, কিন্তু কিছু জায়গা আমাদের মধ্যে চিরকাল রয়ে যায়।

উসুয়াইয়ায় এসে যদি আপনি এই ক্যাফেতে না যান, তাহলে শহরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ দেখা বাকি থেকে যাবে। ট্রিপঅ্যাডভাইজার ও গুগলের মতে, এটি উসুয়াইয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর একটি। বলা যায়, এই শহরে এসে স্মৃতি যদি সত্যিই বাসা বাঁধে, তবে নিশ্চয়ই তার একটি নাম ‘রামোস জেনেরালেস এল আলমাসেন’।

আজ ১৭ ডিসেম্বর। এদিনে রাইট ভ্রাতৃদ্বয় প্রথমবারের মতো ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজে আকাশে উড়েছিলেন। মাত্র ১২ সেকেন্ডের প্রথম সেই উড্ডয়ন বদলে দিয়েছিল মানুষের যাতায়াতের ইতিহাস। সাইকেলের দোকান থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা, ব্যর্থতা আর জেদের ফলেই মানুষ প্রথমবার বাতাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছিল।
৫ ঘণ্টা আগে
সময় : ১৯৭২ সালের এক অবসন্ন দুপুর। স্থান : ঢাকার একটি বীরাঙ্গনা পুনর্বাসন কেন্দ্র। মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলোর শেষে বাবা আর মেয়ের পুনর্মিলন ঘটেছে। মেয়ে কান্নার প্রবল আবেগ সামলে দৌড়ে এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরে। গত এক বছরে সবকিছুই অনেক বদলেছে, বাবাও। তিনি যেন আরও বুড়ো হয়ে গেছেন।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয়েছিল, সেটি গালফস্ট্রিম জি-১০০ সিরিজের একটি প্রাইভেট জেট। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কী কী সুবিধা থাকে?
১ দিন আগে
গারো সম্প্রদায়ের সেই তিন অকুতোভয় নারী—ভেরেনিকা সিসংমা, সন্ধ্যারানী সাংমা এবং তুশি হাগিদক। তাদের হাতে কোনো স্টেনগান ছিল না, কিন্তু তারা একটি ফুলকে বাঁচানোর জন্যে যে যুদ্ধে শামিল হয়েছিলেন, সেটিও কোনো অংশে কম ছিল না।
১ দিন আগে