
ভূ-পর্যটক
আইসল্যান্ডের সড়কপথের সৌন্দর্য ও প্রকৃতির বিশালতা ভ্রমণকারীদের সহজেই উপভোগ করার সুযোগ করে দেয়। এখানে প্রতিটি মাইল ভ্রমণ এক নতুন প্রাকৃতিক বিস্ময়ের অভিজ্ঞতা দেয়। এই সড়কগুলোর পাশ দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় আপনি দৃশ্যের পরিবর্তন অনুভব করবেন।

দক্ষিণের চমৎকার শহর উসুয়াইয়া এসে পৌঁছেছি। আর্জেন্টিনার শেষ প্রান্তে পৃথিবীর দক্ষিণতম এই শহরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো যেন এক অপার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জগতে প্রবেশ করলাম। চারপাশে চোখ পৌঁছাচ্ছে না এমন বিস্তৃত দৃশ্য: পাহাড়, বরফ, সমুদ্র এবং সবুজের এক অনন্য মিশেল।

পৃথিবীর খুব সুন্দর একটি দেশ আইসল্যান্ড। নাম শুনলে মনে হতে পারে আইসল্যান্ড বরফে ঘেরা শীতপ্রধান দেশ। কিন্তু বাস্তবে দেশটা ততটা ঠাণ্ডা নয়, বরং প্রায়শই স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে সেখানে। আইসল্যান্ডের তিন চতুর্থাংশ স্থান রুক্ষ হওয়ায় কোন বনাঞ্চল নেই। তবুও দেশটির প্রকৃতি যে কাউকে মুগ্ধ করবে।

দক্ষিণ জর্জিয়ার সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বে পৃথিবীর অন্যতম মনোমুগ্ধকর ও বন্যপ্রাণীতে সমৃদ্ধ স্থান, যা ঘিরে আছে তুষার-ঢাকা সুউচ্চ পর্বত, গলিত হিমবাহ এবং জীবনে ভরপুর বিস্তীর্ণ বালুকাময় সৈকত। এখানে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কিং পেঙ্গুইন উপনিবেশ। যেখানে ২ লক্ষেরও বেশি প্রজনন যুগল বসবাস করে।

প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বদিকে বিস্তৃত গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দ্বীপসমষ্টিগুলোর একটি। সারা দুনিয়ার পর্যটকদের কাছেও এটি বিশেষ আকর্ষণ। এখানে এমন সব প্রাণীর দেখা মেলে, যাদের অস্তিত্ব পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। গ্যালাপাগোস ভ্রমণ নিয়ে আজকের এই লেখা।

পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের মৃত্যু তাঁদের অস্তিত্বকে মুছে দেয় না, বরং আরও জীবন্ত করে তোলে, আরও প্রেরণার উৎসে পরিণত করে। চে গুয়েভারা ঠিক তেমনই এক নাম।

আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। পৃথিবীর সাত মহাদেশ আর পাঁচ মহাসাগরের নানা প্রান্তের প্রায় ৬০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন তানভীর অপু ও তারেক অণু। দুই ভাইয়ের এই বিশ্বভ্রমণ নিয়ে লিখেছেন তানভীর অপু।