leadT1ad

ট্রাম্প-অর্থনীতি কী, বিশ্বজুড়ে কেন প্রাসঙ্গিক

ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এখন শুধু আমেরিকার ভেতরকার আর্থিক নীতির চ্যালেঞ্জ নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও এক অস্থির বাস্তবতা। শুল্কযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত নীতি ভাঙচুর—সব মিলিয়ে ‘ট্রাম্প-অর্থনীতি’ বিশ্বজুড়ে নতুন অনিশ্চয়তার জন্ম দিচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই ঢেউ কত দূর পর্যন্ত গড়াবে?

জনতুষ্টিবাদী অর্থনীতি বা পপুলিজমের শেষটা হয় উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি আর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে। আর সেই বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে আমেরিকার ভেতরেই। স্ট্রিম গ্রাফিক

সম্প্রতি কানাডার এক প্রদেশের অর্থায়নে নির্মিত বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানকে শুল্ক বা ট্যারিফের বিরুদ্ধে কথা বলতে। সামান্য টেলিভিশন বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনাই বন্ধ করে দেন। এখানেই শেষ নয়, শাস্তিস্বরূপ কানাডার পণ্যের ওপর চাপিয়ে দেন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক। এই ঘটনাই হয়তো ‘ট্রাম্প-অর্থনীতি’ বা ‘ট্রাম্পোনমিক্স’ ধারার অর্থনীতির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, রিপাবলিকান পার্টির প্রধান হওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্প রিপাবলিকানদের দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক আদর্শকে পাইকারি হারে ধ্বংস করছেন।

ট্রাম্পের অনেক সমর্থক এই বৈপ্লবিক পরিবর্তনকে স্বাগত জানালেও ইতিহাস বলছে, এই ধরনের জনতুষ্টিবাদী অর্থনীতি বা পপুলিজমের শেষটা হয় উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি আর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে। আর সেই বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে আমেরিকার ভেতরেই।

দেশটির মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলের সয়াবিন চাষি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যবিমা হারানোর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ফ্লোরিডার শ্রমিক শ্রেণির মানুষ এখন এর মূল্য দিতে শুরু করেছেন। কিন্তু কেন ট্রাম্পের এই নীতি বিশ্বজুড়ে এত প্রাসঙ্গিক? কেন এর ঢেউ আটলান্টিক পেরিয়ে আছড়ে পড়ছে বিশ্বের প্রতিটি কোণায়? সেই উত্তর লুকিয়ে আছে এক জটিল ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমীকরণের গভীরে।

‘ট্রাম্প-অর্থনীতি’ আসলে কী

‘ট্রাম্প-অর্থনীতি’ বা ট্রাম্পোনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় এমন তত্ত্ব-ভিত্তিক কোনো অর্থনৈতিক দর্শন নয়। এটি মূলত ট্রাম্পের রাজনৈতিক স্লোগান ‘আমেরিকা ফার্স্ট’-এর অর্থনৈতিক প্রতিফলন। বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী নীতির এক অদ্ভুত খিচুড়ি হওয়ায় ‘ট্রাম্প-অর্থনীতি’ কোনো নির্দিষ্ট তত্ত্বের ছাঁচে ফেলা কঠিন। ‘ট্রাম্প-অর্থনীতি’ একইসঙ্গে ব্যবসার পক্ষে কথা বলে, আবার ব্যবসার ওপরই বিধিনিষেধ আরোপ করে; মুক্তবাজারের কথা বলে, আবার নির্বিকারভাবে বাজারে হস্তক্ষেপ করে।

ট্রাম্পের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কাডলো কিংবা অর্থনীতিবিদ স্টিফেন মুরের মতো সমর্থকরা একে এক ধরনের আধুনিক ‘সরবরাহ-ভিত্তিক অর্থনীতি’ (সাপ্লাই সাইড ইকোনমি) হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তাদের মতে, এর মূল লক্ষ্য হলো ব্যাপক হারে কর হ্রাস ও সরকারি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার মাধ্যমে আমেরিকার ব্যবসাগুলোকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা। তাদের দৃষ্টিতে, শুল্ক বা ট্যারিফ মুক্ত বাণিজ্যকে প্রত্যাখ্যান করা নয়, বরং ‘অন্যায়’ বাণিজ্য চর্চার বিরুদ্ধে দর-কষাকষির হাতিয়ার মাত্র।

কিন্তু নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যানের মতো কঠোর সমালোচকরা একে ‘অজ্ঞতাপ্রসূত জাতীয়তাবাদ’ (ইগনোরেন্ট ন্যাশনালিজম) ছাড়া আর কিছুই মনে করেন না। ক্রুগম্যান তাঁর বিভিন্ন কলামে যুক্তি দেখিয়েছেন, ট্রাম্পের অর্থনীতি এই ভুল ধারণার ওপর দাঁড়িয়ে আছে যে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য একটি ‘জিরো-সাম গেম’, যেখানে এক দেশ জিতলে অন্য দেশকে হারতেই হয়।

ক্রুগম্যানের মতে, বাণিজ্য ঘাটতিকে দেশের অর্থনৈতিক দুর্বলতার একমাত্র পরিমাপক হিসেবে দেখার এই ধারণাটি উনিশ শতকের, যা আধুনিক বিশ্ব অর্থনীতির জটিলতাকে ব্যাখ্যা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ।

‘ট্রাম্প-অর্থনীতি’র গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর প্রথম ও সবচেয়ে দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্য হলো জাতীয়তাবাদী সংরক্ষণবাদ। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মূল কথা হলো, আমেরিকা আর দশটা দেশের সঙ্গে মিলেমিশে তৈরি করা পুরনো নিয়মকানুন মানতে রাজি নয়। ট্রাম্পের দর্শন হলো, দশজনের সঙ্গে একসাথে কথা বলার চেয়ে একজনের সঙ্গে মুখোমুখি বা ওয়ান-টু-ওয়ান বসলে দর কষাকষিতে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। আর এই দর কষাকষির প্রধান হাতিয়ার হলো শুল্ক বা ট্যারিফ। কোনো দেশ তার দাবি না মানলে, তিনি সেই দেশের পণ্যের ওপর বিপুল পরিমাণ কর বসিয়ে দেন। এর ফলে আমেরিকার বাজারে সেই পণ্যগুলোর দাম বেড়ে যায় ও ঐ দেশটির অর্থনীতি চাপে পড়ে। এই চাপকে ব্যবহার করেই ট্রাম্প বাণিজ্য অংশীদারদের কাছ থেকে নিজের শর্তে সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করেন।

এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে নিয়ন্ত্রণহীনতা ও কর হ্রাস। ট্রাম্প প্রশাসন ব্যবসার পথ সহজ করতে সরকারি নিয়মকানুনের বাধ্যবাধকতা কমিয়েছে। এই নীতির অধীনে, পরিবেশ দূষণ থেকে শুরু করে ব্যাংক খাতের ওপর থাকা অনেক কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বড় কোম্পানিগুলোর জন্য করের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমানো হয়েছে। এর ফলে কর্পোরেশনগুলোর মুনাফা বাড়লেও, সরকারের আয় কমে যাওয়ায় ঋণের বোঝা আরও ভারী হয়েছে।

তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলো, স্বাধীন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নগ্ন চাপ প্রয়োগ। যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত, ফেডারেল রিজার্ভের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখা হয়। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই প্রথা ভেঙে সুদের হার কমানোর জন্য বারবার প্রকাশ্যে চাপ সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর সরাসরি আঘাত।

চতুর্থত, এর ভিত্তি হলো লেনদেনভিত্তিক কূটনীতি, যেখানে দীর্ঘদিনের মিত্রতার চেয়ে তাৎক্ষণিক লাভ-লোকসানের হিসাবকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সহজ কথায়, ট্রাম্পোনমিক্স প্রতিষ্ঠিত নিয়মকানুনকে অস্বীকার করে। এই নীতিতে জাতীয় স্বার্থই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। অর্থনীতিকে এখানে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যার পরিণতি কেবল আমেরিকার জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যই সুদূরপ্রসারী।

রিপাবলিকান নীতির সমাধি রচনা?

রিপাবলিকান পার্টি বা ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি (জিওপি)’, ক্যালভিন কুলিজ থেকে শুরু করে জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ পর্যন্ত অন্তত নীতিগতভাবে কয়েকটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিল বাজেটকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখা ও জাতীয় ঋণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। রিপাবলিকানদের এই নীতির মূল কারণ ছিল, আজকের অপচয়ের বোঝা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাঁধে না চাপানো।

কিন্তু ট্রাম্প আমেরিকার সরকারি ঋণের লাগাম টানার পথে হাঁটেননি। তিনি পাস করেছেন ব্যাপক কর ছাড় আর বিপুল ব্যয়ের আইন। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের (সিবিও) হিসাব অনুযায়ী, এর ফলে আগামী দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাড়বে প্রায় ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এর ফলে ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি থাকবে ও এক দশকের মধ্যে আমেরিকার সরকারি ঋণ-জিডিপি অনুপাত ১২৮ শতাংশে পৌঁছাবে।

এই সংখ্যাটা শুনতে নিরীহ মনে হতে পারে। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে আছে এক ভয়াবহ বিপদ সংকেত। মনে করে দেখুন ২০১০ সালের গ্রিসের কথা। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে তাদের ঋণের অবস্থাও ছিল ঠিক এমনই।

মুক্ত বাণিজ্য ছিল রিপাবলিকানদের আরেকটি পবিত্র স্তম্ভ, যা ট্রাম্প নির্দ্বিধায় ভেঙে ফেলেছেন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে এই স্বঘোষিত ‘ট্যারিফ ম্যান’ তার বাণিজ্য নীতির চেহারা আরও আগ্রাসী করে তোলেন। একসময় যে গড় শুল্ক হার ছিল ৩ শতাংশেরও কম, তাকে তিনি প্রায় ১৭.৫ শতাংশে তুলে দিয়েছেন। এটি প্রায় এক শতাব্দীতে সর্বোচ্চ।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কে তাঁর সরলরৈখিক, জিরো-সাম (শূন্য-ফলাফল) বোঝাপড়ার প্রতিফলন ঘটিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, এটি আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে। কিন্তু বাস্তবে তিনি শুল্ককে ব্যবহার করেছেন রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে। এই খামখেয়ালি নীতির শিকার শুধু কানাডা নয়, এর আরও বড় উদাহরণ আছে। ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে সে দেশের আদালত মামলা চালাচ্ছিল। ট্রাম্পের চোখে এটাই ছিল তাদের ‘অপরাধ’। আর সেই ‘অপরাধে’র শাস্তি হিসেবে ট্রাম্প ব্রাজিল থেকে আসা সমস্ত পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে দেন।

কেন এই নীতির ঢেউ আছড়ে পড়ছে সর্বত্র

প্রশ্ন হলো, আমেরিকার এই অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পালাবদল আমাদের বা বিশ্বজুড়ে অন্যদের জন্য কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? এর কারণ হলো, বিশ্ব অর্থনীতি এমনভাবে আমেরিকার সঙ্গে বাঁধা যে, সেখানে সামান্য হাঁচি দিলেও বাকি বিশ্বে ঠান্ডা লেগে যায়।

প্রথমত, মার্কিন ডলার হলো বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা। বিশ্বের অধিকাংশ বাণিজ্য, ঋণ ও বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ডলারে হয়। যখন আমেরিকা বিপুল পরিমাণে ঋণ করে ও মুদ্রাস্ফীতিকে উসকে দেয়, তখন ডলারের মানের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মানে ১০ শতাংশ পতন ও সোনার দামে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি এরই ইঙ্গিত দেয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা, বিশেষ করে চীন ও জাপানের মতো দেশগুলো আমেরিকান অর্থনীতির এই ব্যতিক্রমী অবস্থানের ওপর বিশ্বাস হারাতে শুরু করেছে। যদি তারা মার্কিন বন্ড বিক্রি করা শুরু করে, তবে বিশ্বজুড়ে এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, ট্রাম্পের খামখেয়ালি শুল্ক নীতি বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলকে (গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন) ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে। আজকের বিশ্বে একটি গাড়ি বা একটি স্মার্টফোন কোনো একক দেশে তৈরি হয় না। এর যন্ত্রাংশ আসে বিভিন্ন দেশ থেকে। ট্রাম্পের ‘ট্যারিফ’ নীতি এই বিশ্বজোড়া ব্যবস্থায় সজোরে আঘাত হানে। এই শৃঙ্খল ছিঁড়ে যাওয়ায় পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। আর সেই বাড়তি খরচের বোঝা শেষ পর্যন্ত চাপে বিশ্বের সব দেশের সাধারণ ক্রেতার কাঁধেই।

তৃতীয় ও সবচেয়ে বড় বিপদ হলো, ট্রাম্পের এই নীতি অন্য দেশের নেতাদের জন্য এক নতুন খেলার ছক তৈরি করে দিচ্ছে। নিজের দেশকে সবার আগে রাখা, অন্যদের জন্য দরজা বন্ধ করা ও পুরনো নিয়ম না মানা—এই তিনের মিশ্রণ ভীষণ শক্তিশালী রাজনৈতিক অস্ত্র। বিশ্বের মোড়ল যখন নিয়ম ভাঙে, তখন অন্যরাও নিয়ম ভাঙার সাহস পায়। এর ফলে বিশ্বজুড়ে সংঘাত বাড়বে ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে।

ল্যাটিন আমেরিকা থেকে তুরস্ক পর্যন্ত, ইতিহাস বারবার দেখিয়েছে যে এই ধরনের অর্থনৈতিক জনতুষ্টিবাদ শেষ পর্যন্ত বিপর্যয়ই ডেকে আনে। প্রশ্ন হলো, আমেরিকার হিসাব-নিকাশের দিন আসতে আর কত সময় লাগবে?

তথ্যসুত্র: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, আল-জাজিরা, দ্য ডিপ্লোম্যাট ও দ্য গার্ডিয়ান

Ad 300x250

সম্পর্কিত