এইচ-ওয়ান-বি ভিসা একটি বিশেষ ধরনের অ-অভিবাসী ভিসা, যা যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রয়োজনে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন পেশায় বিদেশি পেশাদারদের সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেয়।
কর্নেল (অব.) মো. সোহেল রানা
বিশ্বজুড়ে মেধাবী তরুণদের অন্যতম এক স্বপ্নের নাম আমেরিকার এইচ-ওয়ান-বি ভিসা। এর মাধ্যমে তাঁরা আমেরিকায় গিয়ে বৈধভাবে বসবাস ও পড়াশোনা বা গবেষণার কাজ এগিয়ে নিতে পারেন। যুগে যুগে এই প্রথা মেধাবী তরুণ বা উদ্যোক্তাদের যেমন সাহায্য করছে, তেমনি আমেরিকাও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছে বলে এত দিন ধারণা ছিল। এর জন্য ফি ছিল বছরে দুই থেকে চার হাজার ডলার।
বর্তমান আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রথায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য হলো, এতে মেধাবী আমেরিকান তরুণেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা জুতসই চাকরি পাচ্ছে না। ফলে ভিসা প্রার্থীদের জন্য ভিসাপ্রাপ্তি কঠিন করে দিয়েছেন। মানে এর ফি এক লক্ষ ডলার করেছেন, যা বাংলাদেশি টাকায় এক কোটি ২২ লাখের বেশি।
ভারত বা চীনের যেকোনো তরুণের জন্য এই টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। ওদিকে ছুটিতে আসা এসব ভিসাধারীরা হঠাৎ ভিসা বাতিলের কারণে দেশেই আটকা পড়েছেন যা বিশাল এক সমস্যা তৈরি করেছে।
এইচ-ওয়ান-বি ভিসা একটি বিশেষ ধরনের অ-অভিবাসী ভিসা, যা যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রয়োজনে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন পেশায় বিদেশি পেশাদারদের সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেয়। এইচ-ওয়ান-বি ভিসা ভিসা আবার অনেক ধরনের হয়। প্রথমত, এটা প্রযোজ্য বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে। যেমন তথ্য প্রযুক্তি (সফটওয়্যার ডেভেলপার, ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা সায়েন্টিস্ট), প্রকৌশল (সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল), গণিত ও পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা (ডাক্তার, সার্জন), বায়োটেকনোলজি, ব্যবসা (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট, কিছু ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট) ও শিক্ষাক্ষেত্র (অধ্যাপক, গবেষক)।
দ্বিতীয় আরেক ধরনের ভিসা হলো স্পনসর ভিসা, যা আমেরিকান নিয়োগ কর্তাগণ ইস্যু করতে পারেন--যিনি আবেদন প্রক্রিয়া ও এর সঙ্গে জড়িত খরচের দায়িত্ব নেন। তৃতীয় ধরনের এইচ-ওয়ান-বি ভিসা ইস্যু করা হয় সাময়িক চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে। এই ভিসা প্রথমে সর্বোচ্চ তিন বছর জন্য দেওয়া হয় এবং আরও তিন বছর বাড়ানো যায়। অর্থাৎ মোট ছয় বছর পর্যন্ত থাকা যায়। তবে গ্রিন কার্ডের প্রক্রিয়া শুরু করলে এই সীমার কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।
এইচ-ওয়ান-বি ভিসা মূলত লটারির মাধ্যমে হয়। প্রতি বছর নতুন এইচ-ওয়ান-বি ভিসার জন্য একটি সীমা থাকে যা সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার। এর মধ্যে ৬৫ হাজার স্নাতক (ব্যাচেলর) ডিগ্রিধারীদের জন্য। বাকি ২০ হাজার প্রযোজ্য তাঁদের জন্য, যাঁদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) বা তার চেয়ে উচ্চ ডিগ্রি রয়েছে। চাহিদা সীমার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায়, কোন পিটিশনগুলো প্রক্রিয়া করা হবে তা নির্বাচন করার জন্য প্রতিবছর একটি কম্পিউটারাইজড লটারির আয়োজন করা হয়। এজন্য আবেদনকারীকে একটি মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে চাকরির অফার পেতে হবে, যে ভিসা স্পনসর করতে রাজি।
প্রথমে আসে শীর্ষ স্থানীয় মার্কিন কোম্পানিগুলোর নাম। এসব প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানি দেশীয় কর্মীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বা উদ্ভাবনী শক্তির ঘাটতি রয়েছে বলে সারা বিশ্ব থেকে মেধাবীদের স্পন্সর করে আমেরিকায় নিয়ে আসে। এদের মধ্যে গুগল, অ্যাপল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন বার্কশেয়ার, জেপি মরগ্যান, সিটি গ্রুপ অন্যতম। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানও এইচ-ওয়ান-বি ভিসা ইস্যু করতে পারে।
মজার ব্যাপার হলো আমেরিকা তাদের এইচ-ওয়ান-বি ভিসা দামি করে তোলার ফলে উন্নত দেশগুলোতে প্রচলিত একই ধরনের ভিসা এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে বোদ্ধাগণ মত দিয়েছেন। আসুন দেখা যাক এমন কিছু ভিসার বর্ননাঃ
কানাডা দক্ষ অভিবাসন নীতির জন্য খুবই বিখ্যাত। এইচ-ওয়ান-বি ভিসার কাছাকাছি যে সিস্টেমটি তা হলো:
গ্লোবাল ট্যালেন্ট স্ট্রিম (জিটিএস): এটি দ্রুত ট্র্যাকের একটি প্রোগ্রাম, যার লক্ষ্য কানাডার জন্য উচ্চ-বৃদ্ধি শিল্পে বিশ্বস্তমানের মেধাবীদের নিয়োগ করা। ভিসা প্রক্রিয়া মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে।
এক্সপ্রেস এন্ট্রি: এটি একটি পয়েন্টভিত্তিক সিস্টেম। বয়স, শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা, ভাষার দক্ষতা (ইংরেজি/ফরাসি) ইত্যাদির ভিত্তিতে পয়েন্ট দেওয়া হয়। উচ্চ স্কোর পাওয়া আবেদনকারীদের পারমানেন্ট রেসিডেন্স বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
টেম্পোরারি ফরেইন ওয়ার্কার প্রোগ্রাম: এটি আরও সাধারণ একটি কর্মী ভিসা, যেখানে চাকরিদাতাকেই প্রমাণ করতে হয় যে সে একজন কানাডিয়ানকে সেই পদে নিয়োগ দিতে পারেনি।
স্কিল্ড ওয়ার্কার ভিসা: এটি এইচ-ওয়ান-বি ভিসার সমতুল্য। এর জন্য প্রয়োজন একটি ব্রিটিশ নিয়োগকারীর কাছ থেকে বৈধ জব অফার, যিনি সরকার-অনুমোদিত স্পন্সর তালিকায় রয়েছে। চাকরিটি একটি যোগ্য পেশার তালিকায় থাকতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট বেতন সীমার ওপরে হতে হবে। এর পাশাপাশি দরকার ইংরেজি ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা। এটি একটি স্থায়ী বসবাস এর জন্য প্রাথমিক ধাপ।
অস্ট্রেলিয়ার সিস্টেমও অনেকটা কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রির মতো পয়েন্টভিত্তিক।
স্কিল্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসা: এই ভিসাগুলো স্থায়ী বসবাসের জন্য। বয়স, শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদির ভিত্তিতে পয়েন্ট দেওয়া হয়। আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য চাহিদাসম্পন্ন পেশার তালিকা থাকে যেখান থেকে আবেদনকারীর পছন্দের পেশা বেছে নিতে পারেন।
টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ ভিসা: এটি এইচ-ওয়ান-বি ভিসার মতোই অস্থায়ী ভিসা। একজন অস্ট্রেলিয়ান নিয়োগকর্তাকে স্পন্সর করতে হয় এবং চাকরিটি তালিকাভুক্ত পেশা হতে হবে। এটি পরে স্থায়ী ভিসার পথও খুলে দেয়।
ইউরোপীয় ব্লু কার্ড: এটি সমগ্র ইউরোপ জুড়ে বৈধ একটি উচ্চ-যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী ভিসা। শর্তগুলি হলো প্রার্থীদের একটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বা তার সমতুল্য স্বীকৃত বিদেশি ডিগ্রি থাকতে হবে। যারা বার্ষিক ৪১ হাজার ইউরোর বেশি বেতন পাবেন তাঁরা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জব সিকার ভিসা নামে আরেকটি সুবিধা আছে যেখানে যোগ্য পেশাদাররা এই ভিসা নিয়ে জার্মানিতে গিয়ে ৬ মাস পর্যন্ত চাকরি খুঁজতে পারেন।
এমপ্লয়মেন্ট পাস: এটি এইচ-ওয়ান-বি ভিসার সমতুল্য। মাসিক বেতন কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার হতে হবে এবং একটি ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকতে হবে। এর পাশাপাশি এস পাস নামের আরেকটি ভিসা আছে যা মানের দক্ষতা-সম্পন্ন কর্মীদের জন্য (ন্যূনতম বেতন ৩৩০০ ডলার) প্রযোজ্য ।
অ্যাকক্রেডিটেড এমপ্লোয়ার ওয়ার্ক ভিসা: এটি বর্তমানে প্রচলিত প্রধান কর্মী ভিসা। এখানে নিয়োগ কর্তাদের প্রথমত সরকারের কাছে নথিভুক্ত হতে হয়। তারপর উক্ত পদটিও সরকারের কাছ থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত হতে হয়।
হাই-স্কিল প্রফেশনাল ভিসা: এটি একটি পয়েন্টভিত্তিক সিস্টেম যা শিক্ষা, বেতন, কাজের অভিজ্ঞতা, গবেষণা প্রকাশনা ইত্যাদির ওপর বিবেচনা করে পয়েন্ট দেওয়া হয়। উচ্চ স্কোর পাওয়া ব্যক্তিরা স্থায়ী বসবাসের জন্য দ্রুত ভিসা পান যেখানে পরিবার নিয়ে আসার সুবিধা ইত্যাদি পায়।
বিশ্বজুড়ে মেধাবী তরুণদের অন্যতম এক স্বপ্নের নাম আমেরিকার এইচ-ওয়ান-বি ভিসা। এর মাধ্যমে তাঁরা আমেরিকায় গিয়ে বৈধভাবে বসবাস ও পড়াশোনা বা গবেষণার কাজ এগিয়ে নিতে পারেন। যুগে যুগে এই প্রথা মেধাবী তরুণ বা উদ্যোক্তাদের যেমন সাহায্য করছে, তেমনি আমেরিকাও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছে বলে এত দিন ধারণা ছিল। এর জন্য ফি ছিল বছরে দুই থেকে চার হাজার ডলার।
বর্তমান আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রথায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য হলো, এতে মেধাবী আমেরিকান তরুণেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা জুতসই চাকরি পাচ্ছে না। ফলে ভিসা প্রার্থীদের জন্য ভিসাপ্রাপ্তি কঠিন করে দিয়েছেন। মানে এর ফি এক লক্ষ ডলার করেছেন, যা বাংলাদেশি টাকায় এক কোটি ২২ লাখের বেশি।
ভারত বা চীনের যেকোনো তরুণের জন্য এই টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। ওদিকে ছুটিতে আসা এসব ভিসাধারীরা হঠাৎ ভিসা বাতিলের কারণে দেশেই আটকা পড়েছেন যা বিশাল এক সমস্যা তৈরি করেছে।
এইচ-ওয়ান-বি ভিসা একটি বিশেষ ধরনের অ-অভিবাসী ভিসা, যা যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রয়োজনে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন পেশায় বিদেশি পেশাদারদের সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেয়। এইচ-ওয়ান-বি ভিসা ভিসা আবার অনেক ধরনের হয়। প্রথমত, এটা প্রযোজ্য বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে। যেমন তথ্য প্রযুক্তি (সফটওয়্যার ডেভেলপার, ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা সায়েন্টিস্ট), প্রকৌশল (সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল), গণিত ও পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা (ডাক্তার, সার্জন), বায়োটেকনোলজি, ব্যবসা (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট, কিছু ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট) ও শিক্ষাক্ষেত্র (অধ্যাপক, গবেষক)।
দ্বিতীয় আরেক ধরনের ভিসা হলো স্পনসর ভিসা, যা আমেরিকান নিয়োগ কর্তাগণ ইস্যু করতে পারেন--যিনি আবেদন প্রক্রিয়া ও এর সঙ্গে জড়িত খরচের দায়িত্ব নেন। তৃতীয় ধরনের এইচ-ওয়ান-বি ভিসা ইস্যু করা হয় সাময়িক চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে। এই ভিসা প্রথমে সর্বোচ্চ তিন বছর জন্য দেওয়া হয় এবং আরও তিন বছর বাড়ানো যায়। অর্থাৎ মোট ছয় বছর পর্যন্ত থাকা যায়। তবে গ্রিন কার্ডের প্রক্রিয়া শুরু করলে এই সীমার কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।
এইচ-ওয়ান-বি ভিসা মূলত লটারির মাধ্যমে হয়। প্রতি বছর নতুন এইচ-ওয়ান-বি ভিসার জন্য একটি সীমা থাকে যা সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার। এর মধ্যে ৬৫ হাজার স্নাতক (ব্যাচেলর) ডিগ্রিধারীদের জন্য। বাকি ২০ হাজার প্রযোজ্য তাঁদের জন্য, যাঁদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) বা তার চেয়ে উচ্চ ডিগ্রি রয়েছে। চাহিদা সীমার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায়, কোন পিটিশনগুলো প্রক্রিয়া করা হবে তা নির্বাচন করার জন্য প্রতিবছর একটি কম্পিউটারাইজড লটারির আয়োজন করা হয়। এজন্য আবেদনকারীকে একটি মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে চাকরির অফার পেতে হবে, যে ভিসা স্পনসর করতে রাজি।
প্রথমে আসে শীর্ষ স্থানীয় মার্কিন কোম্পানিগুলোর নাম। এসব প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানি দেশীয় কর্মীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বা উদ্ভাবনী শক্তির ঘাটতি রয়েছে বলে সারা বিশ্ব থেকে মেধাবীদের স্পন্সর করে আমেরিকায় নিয়ে আসে। এদের মধ্যে গুগল, অ্যাপল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন বার্কশেয়ার, জেপি মরগ্যান, সিটি গ্রুপ অন্যতম। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানও এইচ-ওয়ান-বি ভিসা ইস্যু করতে পারে।
মজার ব্যাপার হলো আমেরিকা তাদের এইচ-ওয়ান-বি ভিসা দামি করে তোলার ফলে উন্নত দেশগুলোতে প্রচলিত একই ধরনের ভিসা এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে বোদ্ধাগণ মত দিয়েছেন। আসুন দেখা যাক এমন কিছু ভিসার বর্ননাঃ
কানাডা দক্ষ অভিবাসন নীতির জন্য খুবই বিখ্যাত। এইচ-ওয়ান-বি ভিসার কাছাকাছি যে সিস্টেমটি তা হলো:
গ্লোবাল ট্যালেন্ট স্ট্রিম (জিটিএস): এটি দ্রুত ট্র্যাকের একটি প্রোগ্রাম, যার লক্ষ্য কানাডার জন্য উচ্চ-বৃদ্ধি শিল্পে বিশ্বস্তমানের মেধাবীদের নিয়োগ করা। ভিসা প্রক্রিয়া মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে।
এক্সপ্রেস এন্ট্রি: এটি একটি পয়েন্টভিত্তিক সিস্টেম। বয়স, শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা, ভাষার দক্ষতা (ইংরেজি/ফরাসি) ইত্যাদির ভিত্তিতে পয়েন্ট দেওয়া হয়। উচ্চ স্কোর পাওয়া আবেদনকারীদের পারমানেন্ট রেসিডেন্স বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
টেম্পোরারি ফরেইন ওয়ার্কার প্রোগ্রাম: এটি আরও সাধারণ একটি কর্মী ভিসা, যেখানে চাকরিদাতাকেই প্রমাণ করতে হয় যে সে একজন কানাডিয়ানকে সেই পদে নিয়োগ দিতে পারেনি।
স্কিল্ড ওয়ার্কার ভিসা: এটি এইচ-ওয়ান-বি ভিসার সমতুল্য। এর জন্য প্রয়োজন একটি ব্রিটিশ নিয়োগকারীর কাছ থেকে বৈধ জব অফার, যিনি সরকার-অনুমোদিত স্পন্সর তালিকায় রয়েছে। চাকরিটি একটি যোগ্য পেশার তালিকায় থাকতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট বেতন সীমার ওপরে হতে হবে। এর পাশাপাশি দরকার ইংরেজি ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা। এটি একটি স্থায়ী বসবাস এর জন্য প্রাথমিক ধাপ।
অস্ট্রেলিয়ার সিস্টেমও অনেকটা কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রির মতো পয়েন্টভিত্তিক।
স্কিল্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসা: এই ভিসাগুলো স্থায়ী বসবাসের জন্য। বয়স, শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদির ভিত্তিতে পয়েন্ট দেওয়া হয়। আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য চাহিদাসম্পন্ন পেশার তালিকা থাকে যেখান থেকে আবেদনকারীর পছন্দের পেশা বেছে নিতে পারেন।
টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ ভিসা: এটি এইচ-ওয়ান-বি ভিসার মতোই অস্থায়ী ভিসা। একজন অস্ট্রেলিয়ান নিয়োগকর্তাকে স্পন্সর করতে হয় এবং চাকরিটি তালিকাভুক্ত পেশা হতে হবে। এটি পরে স্থায়ী ভিসার পথও খুলে দেয়।
ইউরোপীয় ব্লু কার্ড: এটি সমগ্র ইউরোপ জুড়ে বৈধ একটি উচ্চ-যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী ভিসা। শর্তগুলি হলো প্রার্থীদের একটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বা তার সমতুল্য স্বীকৃত বিদেশি ডিগ্রি থাকতে হবে। যারা বার্ষিক ৪১ হাজার ইউরোর বেশি বেতন পাবেন তাঁরা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জব সিকার ভিসা নামে আরেকটি সুবিধা আছে যেখানে যোগ্য পেশাদাররা এই ভিসা নিয়ে জার্মানিতে গিয়ে ৬ মাস পর্যন্ত চাকরি খুঁজতে পারেন।
এমপ্লয়মেন্ট পাস: এটি এইচ-ওয়ান-বি ভিসার সমতুল্য। মাসিক বেতন কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার হতে হবে এবং একটি ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকতে হবে। এর পাশাপাশি এস পাস নামের আরেকটি ভিসা আছে যা মানের দক্ষতা-সম্পন্ন কর্মীদের জন্য (ন্যূনতম বেতন ৩৩০০ ডলার) প্রযোজ্য ।
অ্যাকক্রেডিটেড এমপ্লোয়ার ওয়ার্ক ভিসা: এটি বর্তমানে প্রচলিত প্রধান কর্মী ভিসা। এখানে নিয়োগ কর্তাদের প্রথমত সরকারের কাছে নথিভুক্ত হতে হয়। তারপর উক্ত পদটিও সরকারের কাছ থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত হতে হয়।
হাই-স্কিল প্রফেশনাল ভিসা: এটি একটি পয়েন্টভিত্তিক সিস্টেম যা শিক্ষা, বেতন, কাজের অভিজ্ঞতা, গবেষণা প্রকাশনা ইত্যাদির ওপর বিবেচনা করে পয়েন্ট দেওয়া হয়। উচ্চ স্কোর পাওয়া ব্যক্তিরা স্থায়ী বসবাসের জন্য দ্রুত ভিসা পান যেখানে পরিবার নিয়ে আসার সুবিধা ইত্যাদি পায়।
বাংলাদেশে ‘তথ্য অধিকার আইন’ কার্যকর হওয়ার পনেরো বছর পেরিয়ে গেছে। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হিসেবে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারকে সংবিধান স্বীকৃতি দিয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই অধিকার কি বাস্তবে নাগরিকের জীবনে কোনো মৌলিক পরিবর্তন আনতে পেরেছে?
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ২৭ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন যে তিনি গাজা মিডিয়া ফ্লোটিলায় যোগ দেবেন। এ লক্ষ্যে তিনি ইতিমধ্যেই ইতালির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেটিকটক ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে নতুন কোনো রাজনৈতিক খেলা?—অনেকের মনে এই প্রশ্ন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা সাম্প্রতিক নির্বাহী আদেশে অ্যাপটির মার্কিন কার্যক্রম তাঁর ঘনিষ্ঠ ধনকুবের মিত্রদের হাতে চলে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। এতে সামনে আসছে রুপার্ট মারডক ও ল্যারি এলিসনের মতো প্রভাবশালীর নাম।
১০ ঘণ্টা আগেচুল নিয়ে যে চুলোচুলি কিন্তু একদম নতুন নয়। ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর বরিশালে এক কিশোরের চুলের ছাট দেখে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক মহিউদ্দিন মাহির অপছন্দ হয়।
১ দিন আগে