leadT1ad

ট্রাম্পের ডাক্তারি: প্যারাসিটামল প্রশ্নে কেন বিতর্কিত হলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, অ্যাসিটামিনোফেন নামের একটি ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে চলা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের (এএসডি) কারণ। তিনি গর্ভবতী নারীদের ওষুধটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান।

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম গ্রাফিক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্য চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক মহলে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গর্ভাবস্থায় অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহারে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের (এএসডি) ঝুঁকি বাড়তে পারে। ট্রাম্প গর্ভবতী নারী ও অভিভাবকদের ‘সাহসী হওয়া’ এবং ওষুধটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রে অটিজম বেড়ে চলার সম্ভাব্য একটি কারণ।

এসময় ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) গর্ভবতী নারীদের অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য ওষুধের লেবেলও আপডেট করবে। লেবেলে গর্ভবতী নারীদের ওষুধটি ব্যবহারে সতর্কতা জারি করা হবে। অ্যাসিটামিনোফেন সাধারণ ব্যথানাশক যেমন টাইলেনল-এর সক্রিয় উপাদান। বাংলাদেশে এটি প্যারসিটামল নামে পরিচিত।

হোয়াইট হাউসের ওই সংবাদ সম্মেলনের সময় তার পাশে ছিলেন স্বাস্থ্য ও মানবসেবা (এইচএইচএস) মন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এবং মেডিকেয়ার ও মেডিকেড সার্ভিসেসের প্রধান ড. মেহমেত ওজ। ঘোষণাটি কথিত ‘অটিজম মোকাবিলার সাহসী উদ্যোগ’এর অংশ হিসেবে আসে। একই সঙ্গে ক্যান্সারের ঔষধ লিউকোভরিনকে সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে প্রচার করা হয়।

ফেডারেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লিউকোভোরিন নামের ওষুধটির লেবেল পরিবর্তন করা হবে। এটি ভিটামিন বি–এর একটি রূপ, যা সাধারণত ক্যান্সারের চিকিৎসায় সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি অটিজম চিকিৎসার ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া, ফেডারেল সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেড সার্ভিসেসের সহযোগিতায় রাজ্য পর্যায়ের মেডিকেড কর্মসূচি থেকেও এর খরচ বহন করা হবে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো অটিজমের মূল কারণ চিহ্নিত করা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অটিজমের হার বেড়েছে, আর এই প্রেক্ষাপটেই নতুন উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে।

তবে সমালোচকরা ট্রাম্পের বক্তব্য ও পদক্ষেপগুলোকে অস্থিরতা সৃষ্টি ও দুর্বল বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে ভয় ছড়ানো বলে নিন্দা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তারা কেনেডির অতীত ভ্যাকসিন-অটিজম মিথ প্রচারের ইতিহাসেরও উল্লেখ করেন। তারা বলেন, স্পষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাব থাকা সত্ত্বেও এ পরিবর্তনগুলো ঘোষণা করা হয়েছে।

ট্রাম্প কী বলেছেন এবং কী ঘোষণা হলো

ট্রাম্প বলেন, ‘টাইলেনল খাওয়া ভালো নয়—আমি সরাসরি বলছি, এটি ভালো নয়।’ তিনি প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন, যেসব সম্প্রদায়ে এই ওষুধ ব্যবহারের সুযোগ নেই সেখানে ‘অটিজম নেই।’

ট্রাম্প বলেন, অ্যামিশ সম্প্রদায় (যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া, ওহিও, ইন্ডিয়ানা এবং কানাডা ও দক্ষিণ আমেরিকার রক্ষণশীল খ্রিস্টান) বা কিউবার মতো জায়গায় অটিজম প্রায় নেই। তার ইঙ্গিত, সেখানে টাইলেনল ব্যবহার কম।

তিনি নবজাতকদেরও অ্যাসিটামিনোফেন না দেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি আবারও ইঙ্গিত দেন যে ভ্যাকসিন এবং এর ঘন ঘন প্রয়োগ অটিজমের কারণ হতে পারে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রে অটিজম বেড়ে চলার কারণ উন্নত ডায়াগনস্টিক নয় বরং এই ওষুধ। তার মন্তব্য ছিল, ‘টাইলেনল না খেলে আর অটিজম হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে ছিলেন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এবং মেডিকেয়ার ও মেডিকেড সার্ভিসেসের প্রধান ড. মেহমেত ওজ। ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে ছিলেন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এবং মেডিকেয়ার ও মেডিকেড সার্ভিসেসের প্রধান ড. মেহমেত ওজ। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্প এবং তাঁর সহযোগীরা বারবার গর্ভবতী নারীদের অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন। তারা চিকিৎসকদেরও এ ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক করার কথা বলেন। তবে চিকিৎসক সংগঠনগুলোর অবস্থান এর সম্পূর্ণ বিপরীত। ট্রাম্প তার ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে বাতিল হওয়া ধারণাকে আবার সামনে আনেন। এ দাবিটি বহু দশকের গবেষণায় বারবার খণ্ডিত হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসা কেনেডি বর্তমানে এইচএইচএস-এর নেতৃত্বে আছেন। তিনিও ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান এবং গর্ভাবস্থায় অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহারের ওপর হার্ভার্ড-সম্পর্কিত একটি গবেষণার উল্লেখ করেন। তিনি জানান প্রশাসন কয়েকটি পদক্ষেপ নেবে।

এফডিএ লেবেল আপডেট করা হবে। গর্ভাবস্থায় অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহারে সম্ভাব্য অটিজম ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্কবার্তা যুক্ত করা হবে। তবে সরাসরি কারণ-সম্পর্কিত কোনো প্রমাণ নেই উল্লেখ করে দেওয়া হবে।

লিউকোভরিনের প্রচার বাড়ানো হবে। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য ব্যবহৃত এই ফোলেট সাপ্লিমেন্টকে অটিজম চিকিৎসার জন্য পুনরায় লেবেল করা হবে। মেডিকেইড-এর আওতায় কভার করার নির্দেশ দেওয়া হবে, যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সীমিত।

পরিবেশগত বিষ (সীসা, পারদ, আর্সেনিক, কীটনাশক, শিল্প বর্জ্য) এবং বিশেষ করে অ্যাসিটামিনোফেনের প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি কেনেডির ‘মেক আমেরিকা হেলদি এগেইন’ কর্মসূচির অংশ।

হোয়াইট হাউসের তথ্যানুযায়ী, এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য অটিজমের ‘মহামারি’ মোকাবিলা করা। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এতে অভিভাবকরা সামাজিক কলঙ্কের শিকার হতে পারেন এবং একটি নিরাপদ ব্যথানাশক ওষুধের সহজলভ্যতা ব্যাহত হতে পারে।

বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবতা: দুর্বল সম্পর্ক, প্রমাণিত কারণ নয়

অ্যাসিটামিনোফেন বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক। গর্ভাবস্থায় জ্বর ও ব্যথার জন্য ডাক্তাররা এটি সেবনের পরামর্শ দেন, কারণ বিকল্প ওষুধ যেমন আইবুপ্রোফেন ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু এটি কি অটিজম ঘটায়? প্রমাণ খুবই দুর্বল এবং বিতর্কিত।

২০২৪ সালে সুইডেনে ২৫ লাখ শিশুর জন্মের ওপর এক গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাসিটামিনোফেনের সংস্পর্শে আসা শিশুর মধ্যে অটিজমের হার মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ (০.০৯%) বেশি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের গবেষণাও (যেমন ২০১৮ সালের জেএএমএ পেডিয়াট্রিকস রিপোর্ট) এক্ষেত্রে সামান্য সম্পর্ক দেখায়। তবে সেগুলো সাধারণত মায়ের সংক্রমণ ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত ছিল, ওষুধের সঙ্গে নয়। এক গবেষণায় দেখা যায়, মায়ের সংক্রমণে অটিজম ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বাড়ে, যা বোঝায় জ্বরের চিকিৎসায় টাইলেনল সেবন এর কারণ হতে পারে।

তবে গর্ভাবস্থায় র‌্যান্ডমাইজড ট্রায়াল অনৈতিক হওয়ায় কোনো পরীক্ষামূলক প্রমাণ নেই। পর্যবেক্ষণমূলক ডেটা এই সম্পর্ক প্রমাণ করতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রে অটিজমের হার দিন দিন বাড়ছে। ২০০০ সালে প্রতি ১৫০ শিশুর মধ্যে ১ জন এবং ২০২৩ সালে প্রতি ৩৬ জনে ১ জন অটিজমে আক্রান্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ সম্ভবত উন্নত স্ক্রিনিং, টাইলেনল ব্যবহার নয়। কারণ এই সময়ে টাইলনের ব্যবহার বাড়েনি।

আমেরিকান কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস (এসিওজি) জানায়, ২০ বছরের বেশি গবেষণায় টাইলেনল এর সঙ্গে অটিজমের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

এফডিএ-ও এটিকে ‘অস্পষ্ট’ বলে উল্লেখ করেছে। লিউকোভরিন বিষয়ে ছোট ট্রায়ালগুলো কিছু আচরণগত উন্নতির ইঙ্গিত দেয়, তবে এটি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন এখনো এটিকে অনুমোদন দেয়নি।

হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাসিটামিনোফেন নিয়ে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাসিটামিনোফেন নিয়ে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্পের অ্যামিশ সম্প্রদায় ও কিউবা নিয়ে দাবিও ভুল। সেখানেও অটিজম আছে, শুধু রোগ নির্ণয়ের ঘাটতির কারণে কম ধরা পড়ে।

বিরূপ প্রতিক্রিয়া: অতীতের ছদ্ম-বিজ্ঞানের প্রতিধ্বনি

এনপিআরকে পাঠানো এক বিবৃতিতে টাইলেনল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কেনভিউ ট্রাম্প প্রশাসনের দাবিকে অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, স্বতন্ত্র ও নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে অ্যাসিটামিনোফেন সেবনে অটিজম হয় না। তাদের মতে, এ ধরনের দাবি বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং গর্ভবতী নারী ও অভিভাবকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা হার্ভার্ডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন গবেষকের একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করেন। সে গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় যারা অ্যাসিটামিনোফেন সেবনের কথা জানিয়েছেন, তাঁদের সন্তানের মধ্যে অটিজম নির্ণয়ের হার সামান্য বেশি ছিল।

গবেষকদের মধ্যে একজন ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটসের মহামারিবিদ অ্যান বাউয়ার। তিনি মনে করেন, গর্ভবতী নারীদের সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা জানানো উচিত।

তবে একইসঙ্গে তাঁর আশঙ্কা, এত তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা দেওয়া ঠিক নয়।

তিনি বলেন, ‘আমার আশঙ্কা আছে যে এই বার্তাটি হয়তো অতি দ্রুত দেওয়া হচ্ছে। গবেষক সমাজ চাইবে আরও শক্তিশালী প্রমাণ উপস্থাপিত হোক।’

অনেক চিকিৎসক এবং অটিজম অধিকার সংগঠনও ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানের বিরোধিতা করেছে।

আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস (এসিওজি)-র সভাপতি ড. স্টিভেন জে. ফ্লেইশম্যান লিখিত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে আমাদের ফেডারেল স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়াই এমন একটি ঘোষণা দিয়েছে, যা কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ও সুস্থতায় প্রভাব ফেলবে।’

চিকিৎসকদের উদ্দেশে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তাতেও উল্লেখ করা হয়েছে যে অ্যাসিটামিনোফেনের সঙ্গে অটিজমের সম্ভাব্য সম্পর্ক নিয়ে এখনো বৈজ্ঞানিক বিতর্ক চলছে। সেখানে বলা হয়েছে, যদিও বহু গবেষণায় এ ধরনের সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, তবুও কোনো কার্যকারণ সম্পর্ক প্রমাণিত হয়নি। এমনকি বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে বিপরীত ফলাফল দেখানো গবেষণাও রয়েছে।

আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনও একটি বিবৃতিতে ভ্যাকসিন অটিজম সৃষ্টি করতে পারে, এই দাবির বিরোধিতা করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, লিউকোভরিন (ফোলিনিক অ্যাসিড) অটিজম চিকিৎসার জন্য সুপারিশযোগ্য নয়। তাদের মতে, লিউকোভরিনকে অটিজম রোগীদের জন্য প্রযোজ্য চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করার আগে আরও বহু বছরের গবেষণা প্রয়োজন।

ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার ডেভিড ম্যান্ডেল বলেছেন, দুর্বল প্রমাণ দিয়ে নীতি নির্ধারণ করা উচিত নয়। ডেমোক্র্যাটরা একে ‘অবিজ্ঞানসম্মত’ বলেছেন। সামাজিক মাধ্যমে #TylenolGate ট্রেন্ড করেছে। অটিজম-অ্যাডভোকেটরা অগ্রসরমান রোগ নির্ণয় ব্যবস্থা নিয়ে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

এই বিতর্ক ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের টানাপোড়েনকে সামনে আনে। সমালোচকদের মতে, ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডির প্রভাব ওষুধ ও ভ্যাকসিনের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট করতে পারে। তাদের মতে, অটিজমের আসল কারণ বিভিন্ন ধরনের। জিনগত ও গর্ভকালীন নানা প্রভাব ভূমিকা রাখে, কিন্তু কোনো একক ওষুধ নয়।

ট্রাম্পের প্যারাসিটামল বিতর্ক রাজনীতি ও ছদ্ম-বিজ্ঞানের মিশ্রণ। এটি তার সমর্থকদের আকর্ষণ করেছে, তবে বিশেষজ্ঞদের উদ্বিগ্ন করেছে। এনপিআরের এক বিশ্লেষকের ভাষায়, এটি ‘আবার মায়েদের দোষারোপের পুরোনো পথে ফেরা।’ আপাতত এসিওজি-র পরামর্শ অপরিবর্তিত: প্রয়োজন হলে টাইলেনল নিন, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন, আর অপ্রমাণিত বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্র: এনপিআর, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা, সিএনএন, সায়েন্টিফিক আমেরিকান

Ad 300x250

সম্পর্কিত