leadT1ad

অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র ও বহিঃশত্রুর হুমকির শিকার হচ্ছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দ্বিতীয় সমাবর্তনে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র ও বহিঃশত্রুর নানামুখী হুমকি ও আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার্থে সর্বদা সাবধান ও সচেতন থাকতে হবে।

আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দ্বিতীয় সমাবর্তনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের শ্রম ও কষ্টার্জিত অর্থে অর্জিত তোমাদের এই সর্বোচ্চ ডিগ্রির সম্মাননার অংশীদার সকলেই। তাই চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো মেরামত ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে।’

শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী শাসন ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের মেধাহীন এবং শিক্ষার মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পাঠ্যক্রম পরিবর্তনসহ শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ ধ্বংস করার কৌশল নিখুঁতভাবে প্রয়োগ করেছিল। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি মেরুদণ্ডহীন ও পরনির্ভরশীল জাতি হিসেবে দাঁড় করানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য।’

সি আর আবরার বলেন, ‘সময় এসেছে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার, একটি মেধাবী জাতি ও বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার।’

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের গবেষণা কার্যক্রমে গতিসঞ্চার এবং গবেষণাকে উৎসাহিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আপনারা গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিজেদের সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও সম্পৃক্ততা বাড়ান।’

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিমউদ্দিন খান, হাবিপ্রবি উপাচার্য মো. এনামউল্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবর্তনে প্রায় ৮ হাজার স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থী সনদ গ্রহণ করেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত