leadT1ad

মুদ্রাস্ফীতি মোটামুটি স্থিতিশীল, কর্মসংস্থান বড় চ্যালেঞ্জ: অর্থ উপদেষ্টা

দেশে মুদ্রাস্ফীতি মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও কর্মসংস্থানকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য মন্থর হয়ে গেলে অর্থনীতিতে অবশ্যই সেটির প্রভাব ফেলবে জানিয়ে এ বিষয়ে সচেতন থাকার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ১৮
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

দেশে মুদ্রাস্ফীতি মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও কর্মসংস্থানকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য মন্থর হয়ে গেলে অর্থনীতিতে অবশ্যই সেটির প্রভাব ফেলবে জানিয়ে এ বিষয়ে সচেতন থাকার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত পাল্টা শুল্ক আরও কিছুটা কমানো ও সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করতে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছে মার্কিন প্রতিনিধিদল। এমন পরিস্থিতিতে আমদানি শুল্ক আরও বাড়ানো হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর। ঘাটতি কমানোর জন্য তারা কী কী আমদানি করতে পারে, সেখানে মোটামুটি আমরা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছি।’

আমেরিকা থেকে পণ্য আনতে ভিয়েতনামের চেয়ে বেশি খরচ হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছুটা তো হবেই। যেমন আমরা গমের বিষয় বলেছি, এতে আমদানি মূল্য বেশি হবে কিন্তু মানটা অনেক ভালো হবে। আমরা ট্যারিফ এভয়েড করতে চাইছি, ঘাটতি কমাতে চাইছি, তাতে কিছুটা তো লাগবেই।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের হিসাবে, সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য। এ সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল প্রায় ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ দুই দেশের বাণিজ্যে বাংলাদেশের হাতে বাড়তি রয়েছে ৬২৬ কোটি ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঘাটতি।

বাণিজ্য ঘাটতি কমার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক আরও কমানো হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছে সফররত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল।

আমেরিকা থেকে বেশি অর্থ খরচ করে পণ্য আমদানি করলে ভোক্তাদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘না না, ভোক্তাদের ওপর প্রভাব পড়বে না। আমরা এমনিতেই ভোক্তাদের জন্য মূল্য কমাতে কাজ করছি। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (টিসিবি) অন্যান্য বিষয়ে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি।’

‘মূল্যস্ফীতিতে এখনও প্রভাব পড়েনি। আমরা যতই আমদানি করি, সরবরাহ বাড়াই। তবে বড় সমস্যা হলো পাইকারি ও খুচরা বাজারে। তারা তো অর্থনীতির ধারাকে ছাড়িয়ে গেছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এটা কমই হয়। আমাদের মোটামুটি মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল, সম্প্রতি খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে,’ যোগ করেন তিনি।

সম্প্রতি অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দেশে বেকারের সংখ্যা এমন ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা যে বিশেষণ ব্যবহার করেছে সেটা এ ব্যাপারে খাটে না। তবে কর্মসংস্থান একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ কর্মসংস্থান হয় বেসরকারি খাতে। ব্যবসা-বাণিজ্য যদি একটু মন্থর হয়ে যায়, সেটা অবশ্যই প্রভাব ফেলে। সেটা নির্ভর করে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে কতটুকু সহায়তা দিচ্ছি। একেবারে ভয়ংকর কিছু না, এটা মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বলা হয়েছে। তবে আমরা সচেতন আছি।’

ব্যবসা-বাণিজ্য মন্থর হয়েছে সে বিষয়ে কী বলবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যবসাটা মাঝখানে একটু মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো হয়েছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত