
.png)

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চার দিনব্যাপী আলোচনার পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে ২৮ অক্টোবর। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠককে ‘শেষ চেষ্টা’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অভিযোগের কারণে আলোচনাটি ভেঙে পড়ে।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তান কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনার পর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই আলোচনায় দুই দেশ তাদের বিতর্কিত সীমান্তে সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসানে একমত হয়।

অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানের একাধিক শহরে পাকিস্তান বিমান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় মারাত্মক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থানের শুরু থেকেই ‘ঘৃণার চোখে’ দেখে এসেছে ভারত। সেই ১৯৯৪ সালে তালেবানদের উত্থানের সময় থেকে বহুবার ‘তালেবানবিরোধী’ বক্তব্য দিয়েছেন ভারত সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।

সফররত তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন থেকে নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ডুরান্ড লাইনের বিতর্কিত সীমান্তে সংঘর্ষ চরমে পৌঁছেছে। উভয় দেশই ভারী ক্ষয়ক্ষতি ও সীমান্তচৌকি দখলের দাবি করেছে। তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকার জানায়, পাকিস্তানের বিমান হামলার জবাবে তাদের বাহিনী ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে, ৩০ জনকে আহত করেছে এবং ২৫টি সেনা পোস্ট

আফগান তালেবান সরকার স্বীকার করেছে যে তারা পাকিস্তানি সেনাদের ওপর একাধিক স্থানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এসব হামলা আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় ঘটে।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাবুলের ‘সার্বভৌম ভূখণ্ড’ লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলেছে আফগানিস্তান। গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) তালেবানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের এসব কর্মকাণ্ড ‘নজিরবিহীন, হিংসাত্মক ও উসকানিমূলক’। এই অভিযোগ আসার আগের রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দুটি বিকট বিস্ফোরণ ঘ

সেপ্টেম্বরের শেষদিকে তালেবানরা আফগানিস্তানে হঠাৎ করে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। এতে ৪৩ মিলিয়ন মানুষ টানা ৪৮ ঘণ্টা ডিজিটাল বিচ্ছিন্নতায় পড়ে। মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট টিভি এবং ল্যান্ডলাইন যোগাযোগও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

আফগানিস্তানে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রায় পুরো দেশজুড়ে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট। সংযোগ নেমে আসে স্বাভাবিক অবস্থার ১ শতাংশেরও নিচে। মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট টিভি ও ল্যান্ডলাইন যোগাযোগও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি আফগান সীমান্তের কাছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর তিনটি আস্তানায় অভিযান চালায়। এতে তীব্র সংঘর্ষে অন্তত ১৯ সেনা ও ৪৫ জন তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়।

মোসাদ-প্রধানের কাতার সফর
সাম্প্রতিক প্রবণতায় এর উত্তর পাওয়া যাবে। তালেবানের সঙ্গে গোপন আলোচনা থেকে শুরু করে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আড়ালে চলা সমঝোতা—সব জায়গাতেই এই ছোট্ট উপসাগরীয় দেশটি বিশ্বে মধ্যস্থতার অন্যতম নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হয়ে উঠছে। এর পেছনে রয়েছে তাদের বিপুল অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও কৌশলগত অস্পষ্ট অবস্থান।

হেগ-ভিত্তিক এই আদালত জানিয়েছে, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনার ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।