leadT1ad

তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

হেগ-ভিত্তিক এই আদালত জানিয়েছে, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনার ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৪২
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৮: ০০
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এক্স থেকে নেওয়া ছবি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানে নারী ও কিশোরীদের প্রতি নিপীড়নের অভিযোগে তালেবানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবদেন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

হেগ-ভিত্তিক এই আদালত জানিয়েছে, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনার ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’রয়েছে। আদালতের মতে, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারীদের অধিকার দমন করা হয়েছে। যেমন ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা, নারীদের বিভিন্ন পেশায় কাজ করতে না দেওয়া ইত্যাদি।

এই ঘটনাকে মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে নজিরবিহীন হিসেবে দেখা হচ্ছে। নারী অধিকারের ওপর আঘাতকে সরাসরি মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

তবে এই সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে তালেবান সরকার। তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। তালেবান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে স্পষ্ট ‘শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা’ বলে উল্লেখ করেছে।

তালেবান সরকারের আরোপিত নানা বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে—নারীদের ভ্রমণের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া দূরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের উচ্চস্বরে কথা বলার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তালেবান পুরো জনগণের ওপর কিছু নিয়ম-নীতি চাপিয়ে দিলেও, তারা বিশেষভাবে নারীদেরকে লিঙ্গের ভিত্তিতে মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে।’

জাতিসংঘ এর আগে এসব নিষেধাজ্ঞাকে ‘লিঙ্গবৈষম্যমূলক শাসন’ বা ‘জেন্ডার অ্যাপার্থেইড’ বলে অভিহিত করেছে।

তালেবান সরকার অবশ্য দাবি করেছে, তারা নারীদের অধিকারকে সম্মান করবে ‘আফগান সংস্কৃতি ও ইসলামি শরিয়াহর ব্যাখ্যার আলোকে’।

হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের পর তিনি তথাকথিত ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে ১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন।

আবদুল হাকিম হাক্কানি ছিলেন তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় তালেবানের প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তালেবানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সম্ভাবনার কথা প্রথম উঠে আসে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। সে সময় আইসিসির প্রধান প্রসিউকিউটর করিম খান অভিযোগ তোলেন যে, ওই নেতারা আফগান মেয়েশিশু ও নারীদের প্রতি নিপীড়নের জন্য দায়ী।

Ad 300x250

শঙ্কায় পাহাড়িয়ারা, পাশে অনেকে

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে বিএনপি: বিপ্লব নয়, নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থার প্রবর্তন ক্যু হিসেবে গণ্য হবে

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন কীভাবে হয়, গুরুত্ব কোথায়

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ গঠনের প্রস্তাব দিল এনসিপি

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল: সব নির্যাতন সহ্য করে আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম

সম্পর্কিত