.png)
আজ হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন

তুফায়েল আহমদ

বাংলা চলচ্চিত্রের ক্যানভাসে যখনই কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা হুজুর-মাওলানা চরিত্রের আগমন ঘটেছে, দর্শক একপ্রকার ছকবাঁধা উপস্থাপনেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। এই চরিত্রগুলো প্রায়শই হয় অতিসরলীকৃত ভালো মানুষ, নয়তো সমাজের যাবতীয় নষ্টের গোড়া। হুমায়ূন আহমেদই সম্ভবত প্রথম তাঁর উপন্যাসের হুজুর চরিত্রের মতোই সিনেমার হুজুর চরিত্রকে রক্ত-মাংসে জীবন্ত করে তুলেছিলেন। হুমায়ূন কেবল একজন চলচ্চিত্রকারই ছিলেন না, ছিলেন দক্ষ সমাজ পর্যবেক্ষক।
হুমায়ূনের সিনেমায় হুজুর বা মাওলানা চরিত্রগুলো কোনো আরোপিত সত্তা নয়, বরং হয়ে উঠেছে আমাদের চারপাশের সমাজেরই এক অবিচ্ছেদ্য ও মানবিক প্রতিচ্ছবি। হুমায়ূন তাদের বিচারকের আসনে বসাননি। হুজুরদের জীবনের টানাপোড়েন, দ্বিধা, বিশ্বাস আর মানবিক দুর্বলতাগুলোকে তুলে ধরেছেন নিপুণ মমতায়। হুমায়ূনের গল্প, সিনেমায় ধর্মীয়ভাবে সমাজে সুবিধাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর অংশ হওয়া সত্ত্বেও সমাজের বিত্তশালী কিংবা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সামনে হুজুর চরিত্রের অসহায়ত্ব যেন আমাদের স্বাভাবিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।
মোল্লার খোলসের ভেতরের মানুষটি
হুমায়ূন আহমেদের অনন্যতা এখানেই যে তিনি ধর্মীয় পরিচয়ের খোলস ছাড়িয়ে চরিত্রগুলোর ভেতরের মানুষটিকে আবিষ্কার করতে চেয়েছেন। তাঁর নির্মিত মাওলানা চরিত্ররা কেবল ধর্মীয় অনুশাসন বা ফতোয়া দিয়েই থেমে যান না; তারা হাসেন, কাঁদেন, ভয় পান। হুমায়ূন আহমেদের এই ভিন্নধর্মী দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে উজ্জ্বল নিদর্শন পাওয়া যায় তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র শ্যামল ছায়ায় (২০০৪)। এই চলচ্চিত্রে অভিনেতা রিয়াজ অভিনীত মাওলানা চরিত্রটি প্রচলিত ধারণাকে পুরোপুরি ভেঙে দেয়। সিনেমার প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সাল।

একদল বিপদগ্রস্ত মানুষ নৌকায় করে অনিশ্চিত যাত্রায় পাড়ি জমিয়েছে। এই সহযাত্রীদের মধ্যে একদিকে যেমন আছেন একজন মাওলানা, তেমনি আছে একটি হিন্দু পরিবার। নৌকার মালিক যখন হিন্দু পরিবারটিকে নৌকায় তুলতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন এই মাওলানাই কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বিপদের সময় মানুষকে সাহায্য করাই ধর্মের মূল কথা। শ্যামল ছায়ার একটি দৃশ্যে দেখা যায়, নৌকার একদিকে হিন্দু পরিবারটি তাদের পূজা করছে, অন্যদিকে তখন মাওলানা নামাজ আদায় করছে। নৌকার মালিক পূজার উপকরণ নদীতে ফেলে দিতে বললেও মাওলানা তাতে বাধা দেন। তিনি ধর্মকে বিভেদের প্রাচীর হিসেবে নয়, বরং মানবিক মেলবন্ধনের সেতু হিসেবে দেখেছেন।
এই মাওলানা চরিত্রের রূপান্তর ঘটে পাকবাহিনীর নৃশংসতা স্বচক্ষে দেখার পর। প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের সমর্থক হলেও, তাদের বর্বরতা দেখে তিনি স্পষ্ট বলে ওঠেন, ‘ওরা জালিম’। চলচ্চিত্রের শেষের দিকে এই মাওলানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের (হুমায়ূন ফরীদি) কাছে যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন খাঁটি মুসলমান জালিমের শাসনে থাকতে পারে না’। এই একটি সংলাপের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ মাওলানার চরিত্রটিকে দেশপ্রেম ও মানবিকতার এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন।
হুমায়ূন নির্মিত এই চরিত্রগুলো বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহুরে জীবনের এক বাস্তব চিত্রায়ন। এখানকার মসজিদের ইমাম বা মক্তবের হুজুররা কেবল ধর্মীয় দায়িত্বই পালন করেন না, তারা সামাজিক জীবনেরও অংশ। তারা গ্রামের দশজনের সঙ্গে ওঠাবসা করেন, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান, আবার কখনো কখনো নিজেদের ব্যক্তিগত সংকট বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে জর্জরিত হন। হুমায়ূন আহমেদ এই বাস্তবতাকে তাঁর চলচ্চিত্রে তুলে এনেছেন। তাঁর হুজুর চরিত্ররা আকাশ থেকে পড়া কেউ নন; তারা এ মাটিরই সন্তান। তাদের মুখের ভাষা, তাদের আচরণ, তাদের বিশ্বাস ও কুসংস্কার—সবই যেন আমাদের চিরচেনা পরিবেশ থেকে উঠে আসা।
ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২) চলচ্চিত্রে আমরা যে মৌলভি চরিত্রটি সমাজের প্রচলিত প্রথার কাছে একজন পরাজিত মানুষ। তিনি ঘেটুগানের আসরকে পাপ মনে করেন, কিন্তু জমিদারের ভয়ে কিছুই বলতে পারেন না। তাঁর এই অসহায়ত্ব বা আপসকামিতা কোনো খলনায়কোচিত বিষয় নয়, বরং তা ক্ষমতার সামনে একজন সাধারণ মানুষের টিকে থাকার লড়াইয়ের অংশ। হুমায়ূন আহমেদ এভাবেই তাঁর চরিত্রগুলোকে বৃহত্তর সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটে স্থাপন করেন, যা তাদেরকে বহুমাত্রিক ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
অন্যান্য চলচ্চিত্র থেকে এখানেই তিনি অনন্য। বাংলাদেশের মূলধারার চলচ্চিত্রে হুজুর বা মাওলানা চরিত্রকে যেভাবে নেতিবাচক বা ইতিবাচক—এই দুই মেরুতে ভাগ করে উপস্থাপন করা হয়, সাদা-কালোর সেই পথ সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন হুমায়ূন। অন্যান্য চলচ্চিত্রে প্রায়শই দেখা যায়, মাওলানা চরিত্র মানেই যেন একজন ভণ্ড, নারীলোভী অথবা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি। নয়তো তিনি এতটাই ভালো মানুষ, তাঁর মধ্যে মানবিক কোনো দুর্বলতার চিহ্নমাত্র নেই। এই দুটি উপস্থাপনাই বাস্তবতাবিবর্জিত ও নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সরলীকরণের নামান্তর।
হুমায়ূন আহমেদ এই ছক থেকে বেরিয়ে এসে দেখিয়েছেন, একজন মানুষ তাঁর ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে ভালো বা মন্দ হন না। তাঁর কর্ম ও মানবিক গুণাবলিই তাঁর আসল পরিচয়। এখানেই হুমায়ূন অন্যান্য নির্মাতাদের থেকে নিজেকে আলাদা করেছেন। তিনি তাঁর চরিত্রগুলোকে কোনো নির্দিষ্ট মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেননি, বরং তাদের নিজেদের গল্প বলতে দিয়েছেন।
হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র এক মানবিক আয়নার মতো, যেখানে বাংলাদেশের সমাজ ভালো-মন্দ, আলো-অন্ধকার নিয়ে প্রতিফলিত হয়। তাঁর নির্মিত হুজুর বা মাওলানা চরিত্রগুলো সেই আয়নারই এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই চরিত্রগুলোকে স্টেরিওটাইপের খাঁচা থেকে মুক্ত করে রক্ত-মাংসের মানুষ হিসেবে দর্শকের সামনে হাজির করেন।

বাংলা চলচ্চিত্রের ক্যানভাসে যখনই কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা হুজুর-মাওলানা চরিত্রের আগমন ঘটেছে, দর্শক একপ্রকার ছকবাঁধা উপস্থাপনেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। এই চরিত্রগুলো প্রায়শই হয় অতিসরলীকৃত ভালো মানুষ, নয়তো সমাজের যাবতীয় নষ্টের গোড়া। হুমায়ূন আহমেদই সম্ভবত প্রথম তাঁর উপন্যাসের হুজুর চরিত্রের মতোই সিনেমার হুজুর চরিত্রকে রক্ত-মাংসে জীবন্ত করে তুলেছিলেন। হুমায়ূন কেবল একজন চলচ্চিত্রকারই ছিলেন না, ছিলেন দক্ষ সমাজ পর্যবেক্ষক।
হুমায়ূনের সিনেমায় হুজুর বা মাওলানা চরিত্রগুলো কোনো আরোপিত সত্তা নয়, বরং হয়ে উঠেছে আমাদের চারপাশের সমাজেরই এক অবিচ্ছেদ্য ও মানবিক প্রতিচ্ছবি। হুমায়ূন তাদের বিচারকের আসনে বসাননি। হুজুরদের জীবনের টানাপোড়েন, দ্বিধা, বিশ্বাস আর মানবিক দুর্বলতাগুলোকে তুলে ধরেছেন নিপুণ মমতায়। হুমায়ূনের গল্প, সিনেমায় ধর্মীয়ভাবে সমাজে সুবিধাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর অংশ হওয়া সত্ত্বেও সমাজের বিত্তশালী কিংবা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সামনে হুজুর চরিত্রের অসহায়ত্ব যেন আমাদের স্বাভাবিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।
মোল্লার খোলসের ভেতরের মানুষটি
হুমায়ূন আহমেদের অনন্যতা এখানেই যে তিনি ধর্মীয় পরিচয়ের খোলস ছাড়িয়ে চরিত্রগুলোর ভেতরের মানুষটিকে আবিষ্কার করতে চেয়েছেন। তাঁর নির্মিত মাওলানা চরিত্ররা কেবল ধর্মীয় অনুশাসন বা ফতোয়া দিয়েই থেমে যান না; তারা হাসেন, কাঁদেন, ভয় পান। হুমায়ূন আহমেদের এই ভিন্নধর্মী দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে উজ্জ্বল নিদর্শন পাওয়া যায় তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র শ্যামল ছায়ায় (২০০৪)। এই চলচ্চিত্রে অভিনেতা রিয়াজ অভিনীত মাওলানা চরিত্রটি প্রচলিত ধারণাকে পুরোপুরি ভেঙে দেয়। সিনেমার প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সাল।

একদল বিপদগ্রস্ত মানুষ নৌকায় করে অনিশ্চিত যাত্রায় পাড়ি জমিয়েছে। এই সহযাত্রীদের মধ্যে একদিকে যেমন আছেন একজন মাওলানা, তেমনি আছে একটি হিন্দু পরিবার। নৌকার মালিক যখন হিন্দু পরিবারটিকে নৌকায় তুলতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন এই মাওলানাই কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বিপদের সময় মানুষকে সাহায্য করাই ধর্মের মূল কথা। শ্যামল ছায়ার একটি দৃশ্যে দেখা যায়, নৌকার একদিকে হিন্দু পরিবারটি তাদের পূজা করছে, অন্যদিকে তখন মাওলানা নামাজ আদায় করছে। নৌকার মালিক পূজার উপকরণ নদীতে ফেলে দিতে বললেও মাওলানা তাতে বাধা দেন। তিনি ধর্মকে বিভেদের প্রাচীর হিসেবে নয়, বরং মানবিক মেলবন্ধনের সেতু হিসেবে দেখেছেন।
এই মাওলানা চরিত্রের রূপান্তর ঘটে পাকবাহিনীর নৃশংসতা স্বচক্ষে দেখার পর। প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের সমর্থক হলেও, তাদের বর্বরতা দেখে তিনি স্পষ্ট বলে ওঠেন, ‘ওরা জালিম’। চলচ্চিত্রের শেষের দিকে এই মাওলানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের (হুমায়ূন ফরীদি) কাছে যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন খাঁটি মুসলমান জালিমের শাসনে থাকতে পারে না’। এই একটি সংলাপের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ মাওলানার চরিত্রটিকে দেশপ্রেম ও মানবিকতার এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন।
হুমায়ূন নির্মিত এই চরিত্রগুলো বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহুরে জীবনের এক বাস্তব চিত্রায়ন। এখানকার মসজিদের ইমাম বা মক্তবের হুজুররা কেবল ধর্মীয় দায়িত্বই পালন করেন না, তারা সামাজিক জীবনেরও অংশ। তারা গ্রামের দশজনের সঙ্গে ওঠাবসা করেন, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান, আবার কখনো কখনো নিজেদের ব্যক্তিগত সংকট বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে জর্জরিত হন। হুমায়ূন আহমেদ এই বাস্তবতাকে তাঁর চলচ্চিত্রে তুলে এনেছেন। তাঁর হুজুর চরিত্ররা আকাশ থেকে পড়া কেউ নন; তারা এ মাটিরই সন্তান। তাদের মুখের ভাষা, তাদের আচরণ, তাদের বিশ্বাস ও কুসংস্কার—সবই যেন আমাদের চিরচেনা পরিবেশ থেকে উঠে আসা।
ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২) চলচ্চিত্রে আমরা যে মৌলভি চরিত্রটি সমাজের প্রচলিত প্রথার কাছে একজন পরাজিত মানুষ। তিনি ঘেটুগানের আসরকে পাপ মনে করেন, কিন্তু জমিদারের ভয়ে কিছুই বলতে পারেন না। তাঁর এই অসহায়ত্ব বা আপসকামিতা কোনো খলনায়কোচিত বিষয় নয়, বরং তা ক্ষমতার সামনে একজন সাধারণ মানুষের টিকে থাকার লড়াইয়ের অংশ। হুমায়ূন আহমেদ এভাবেই তাঁর চরিত্রগুলোকে বৃহত্তর সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটে স্থাপন করেন, যা তাদেরকে বহুমাত্রিক ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
অন্যান্য চলচ্চিত্র থেকে এখানেই তিনি অনন্য। বাংলাদেশের মূলধারার চলচ্চিত্রে হুজুর বা মাওলানা চরিত্রকে যেভাবে নেতিবাচক বা ইতিবাচক—এই দুই মেরুতে ভাগ করে উপস্থাপন করা হয়, সাদা-কালোর সেই পথ সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন হুমায়ূন। অন্যান্য চলচ্চিত্রে প্রায়শই দেখা যায়, মাওলানা চরিত্র মানেই যেন একজন ভণ্ড, নারীলোভী অথবা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি। নয়তো তিনি এতটাই ভালো মানুষ, তাঁর মধ্যে মানবিক কোনো দুর্বলতার চিহ্নমাত্র নেই। এই দুটি উপস্থাপনাই বাস্তবতাবিবর্জিত ও নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সরলীকরণের নামান্তর।
হুমায়ূন আহমেদ এই ছক থেকে বেরিয়ে এসে দেখিয়েছেন, একজন মানুষ তাঁর ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে ভালো বা মন্দ হন না। তাঁর কর্ম ও মানবিক গুণাবলিই তাঁর আসল পরিচয়। এখানেই হুমায়ূন অন্যান্য নির্মাতাদের থেকে নিজেকে আলাদা করেছেন। তিনি তাঁর চরিত্রগুলোকে কোনো নির্দিষ্ট মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেননি, বরং তাদের নিজেদের গল্প বলতে দিয়েছেন।
হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র এক মানবিক আয়নার মতো, যেখানে বাংলাদেশের সমাজ ভালো-মন্দ, আলো-অন্ধকার নিয়ে প্রতিফলিত হয়। তাঁর নির্মিত হুজুর বা মাওলানা চরিত্রগুলো সেই আয়নারই এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই চরিত্রগুলোকে স্টেরিওটাইপের খাঁচা থেকে মুক্ত করে রক্ত-মাংসের মানুষ হিসেবে দর্শকের সামনে হাজির করেন।
.png)

হুমায়ূন আহমেদ চাইলেই কখনো কাশেম বিন আবু বকরকে অনুসরণ করতে পারতেন না। বিসমিল্লাহ বলে প্রেম করলেই সেটা কাশেম বিন আবু বকর হবে না। আমার অনুমান, বাংলা সিনেমা বা উপমহাদেশের সাবেকী ধারার গল্পে মানুষজন হারিয়ে যাওয়া আর ফিরে আসা, সমাজ যে পরিবারিক মূল্যবোধের ওপর গড়ে উঠে তার দিক থেকে দেখার ঘটনা।
১০ ঘণ্টা আগে
হুমায়ূনরে একজন হিউমারিস্ট প্রমাণ করলে ফায়দাটা কী? ফায়দাটা এই যে, হুমায়ূন-সাহিত্যের প্রতি করা অভিযোগের অনেকগুলো হুমায়ূনরে হিউমারিস্ট হিসেবে দেখতে পারলে আর থাকে না। কারণ একজন হিউমারিস্টের কাছে পাঠকের প্রত্যাশা আলাদা।
১০ ঘণ্টা আগে
ফেসবুকে এখন হুমায়ূনের অজস্র ক্লোন। তাঁর নামে উদ্ধৃতি ও দর্শন ছড়িয়ে পড়ছে নেটস্ফিয়ারের সর্বত্র। এইসব জাল হুমায়ূনের দিনরাত্রি ও স্বভাব-চরিত্র নিয়ে এই লেখা।
১ দিন আগে
পিনিক! তিন বর্ণের ছোট্ট, পাঞ্চি একটা শব্দ। বাংলার ইয়ুথের বুলিতে ব্যাপকভাবে চালু একটা শব্দ। শব্দটার উৎপত্তি কীভাবে ঘটলো? কোত্থেকে ঘটলো? এই লেখা পিনিক শব্দের ব্রিফ হিস্ট্রি।
৮ দিন আগে