জাকসু হালচাল – ০৩
জাকসুর প্রার্থী নির্ধারণ করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা ক্যাম্পাসে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলোচনার পর জাকসুর প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেন তাঁরা। পরে আগ্রহী প্রার্থীদের সবাইকে একাধিক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
ছাত্রদলের প্যানেল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের শীর্ষ চার পদে কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা নিয়ে একমত হননি সংগঠনটির নেতারা। ফলে তফশিল ঘোষণার ১৮ দিন পার হলেও প্যানেল ঘোষণা করতে পারেনি ছাত্রদল। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছর পর প্রকাশ্যে আসা ছাত্রশিবির এবং নতুন করে গড়ে ওঠা সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ইতিমধ্যে প্যানেল ঘোষণা করেছে।
এর মধ্যে গত ২১ আগস্ট জাকসুর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। গত সোমবার খসড়া প্রার্থী তালিকাও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার শেষ দিন। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে আগামী শুক্রবার।
শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিয়মিত ছাত্র না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ শীর্ষ নেতারা জাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তবে শীর্ষ অন্তত ১০ নেতা নিজ অনুসারীদের জাকসু নির্বাচনে প্রার্থী করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সে কারণে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং নারী ও পুরুষের সহ-সাধারণ সম্পাদকের (এজিএস) পৃথক দুই পদে কারা নির্বাচন করবেন সেটি নিয়ে এ পর্যন্ত ঐকমত্যে আসতে পারেনি ছাত্রদল। এ কারণেই প্যানেল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে।
জাকসুর প্রার্থী নির্ধারণ করতে গত বুধবার ক্যাম্পাসে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ কয়েকজন নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলোচনার পর জাকসুর প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেন তাঁরা। পরে আগ্রহী প্রার্থীদের সবাইকে একাধিক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের প্রাথমিক ওই তালিকায় ভিপি পদে নয়জন, জিএস পদে দুই নারীসহ ছয়জন, এজিএস (ছেলে) পদে ১১ জন ও এজিএস (মেয়ে) পদে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে কয়েক দফায় আলোচনার পরেও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি ছাত্রদল।
শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ এক নেতা স্ট্রিমকে বলেন, ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে ‘সুপার টেন’ নেতাদের নিজেদের অনুসারীরা প্রার্থীতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নেতারা প্রার্থী হিসেবে নিজ নিজ অনুসারীকে চান। ফলে একমত হওয়া যাচ্ছে না।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর স্ট্রিমকে বলেন, জাকসু নির্বাচেনের ভিপি, জিএস এবং এজিএস পদের জন্য ছাত্রদলে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। এজন্য আমরা কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা করছি। আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি প্রায় শেষ এবং আশা করছি আগামী ২/১ দিনের মধ্যে আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিপি পদে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ছাত্রদলের সভাপতি হামিদুল্লাহ সালমানকে প্রার্থী করতে চান শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। অন্যদিকে সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক একই পদের জন্য প্রার্থী হিসেবে চান অব্যাহতিপ্রাপ্ত সদস্য আব্দুল গফফার জিসানকে। এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফয়সাল ভিপি পদে চান তার অনুসারী ও শাখা ছাত্রদলের সদস্য শেখ সাদীকে।
এদিকে গত ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটির পাশাপাশি ১৭টি আবাসিক হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর কমিটিতে ত্যাগীদের বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানান ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের একটি অংশ। সেই ‘বিদ্রোহী’ নেতা-কর্মীরাও জাকসুতে নিজেদের মধ্য থেকে প্রার্থী করতে চান। জানা গেছে, ভিপি পদে এই অংশের পক্ষ থেকে প্রার্থী হতে চান ছাত্রদলের সদস্য জাকিরুল ইসলাম।
জিএস পদে ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রার্থী করতে চান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদি ইমনকে। একই পদে ছাত্রদলের সদস্যসচিব ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের কেউ কেউ প্রার্থী করতে চান সংগঠনের ১৩ নম্বর ছাত্রী হলের সভাপতি তানজিলা বৈশাখীকে। ওই পদে ছাত্রদলের সদস্য রাসেল আকন্দকে প্রার্থী হিসেবে চান ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল তমালসহ কয়েকজন নেতা।
জাকসু নির্বাচেনের ভিপি, জিএস এবং এজিএস পদের জন্য ছাত্রদলে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। এজন্য আমরা কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা করছি। জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, আহ্বায়ক, জাবি ছাত্রদল
জাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহী নেতা-কর্মীদের একাধিক পদে মনোনয়নপত্র তোলার নির্দেশ দিয়েছিল ছাত্রদল। সংগঠনটির একাধিক যুগ্ম আহ্বায়ক স্ট্রিমকে বলেছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া পদগুলোর বিপরীতে প্রত্যাহার ফরমও তৈরি করা হয়েছে। প্যানেল ঘোষণার পর বাকিরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন।
ছাত্রদলের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিতে ৫৪৭ জন নেতা-কর্মী রয়েছেন। তবে জাকসুর ভিপি পদে নির্বাচনের জন্য সংগঠনের বাইরে থেকে এক নারী শিক্ষার্থীকে প্যানেলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা। ওই শিক্ষার্থীর নাম তাপসী দে প্রাপ্তি। তবে প্রাপ্তি এতে সম্মত হননি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, তাপসী দে ক্যাম্পাস ও জাতীয় পরিসরে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেট অর্গানাইজেশনের (জেইউডিও) সভাপতি ছিলেন।
প্রাপ্তিকে রাজি করাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিএনপিপন্থী শিক্ষকও চেষ্টা চালান। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তাপসী দে প্রাপ্তি।
জাকসু হালচাল–০১ : জাকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ‘গুপ্ত রাজনীতির’ ছায়া
জাকসু হালচাল–০২:জাকসু নির্বাচন: ভেস্তে গেছে ঐক্যের প্রচেষ্টা, বিভাজনে দুর্বল বামপন্থীরা
ছাত্রদলের প্যানেল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের শীর্ষ চার পদে কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা নিয়ে একমত হননি সংগঠনটির নেতারা। ফলে তফশিল ঘোষণার ১৮ দিন পার হলেও প্যানেল ঘোষণা করতে পারেনি ছাত্রদল। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছর পর প্রকাশ্যে আসা ছাত্রশিবির এবং নতুন করে গড়ে ওঠা সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ইতিমধ্যে প্যানেল ঘোষণা করেছে।
এর মধ্যে গত ২১ আগস্ট জাকসুর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। গত সোমবার খসড়া প্রার্থী তালিকাও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার শেষ দিন। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে আগামী শুক্রবার।
শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিয়মিত ছাত্র না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ শীর্ষ নেতারা জাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তবে শীর্ষ অন্তত ১০ নেতা নিজ অনুসারীদের জাকসু নির্বাচনে প্রার্থী করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সে কারণে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং নারী ও পুরুষের সহ-সাধারণ সম্পাদকের (এজিএস) পৃথক দুই পদে কারা নির্বাচন করবেন সেটি নিয়ে এ পর্যন্ত ঐকমত্যে আসতে পারেনি ছাত্রদল। এ কারণেই প্যানেল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে।
জাকসুর প্রার্থী নির্ধারণ করতে গত বুধবার ক্যাম্পাসে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ কয়েকজন নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলোচনার পর জাকসুর প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেন তাঁরা। পরে আগ্রহী প্রার্থীদের সবাইকে একাধিক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের প্রাথমিক ওই তালিকায় ভিপি পদে নয়জন, জিএস পদে দুই নারীসহ ছয়জন, এজিএস (ছেলে) পদে ১১ জন ও এজিএস (মেয়ে) পদে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে কয়েক দফায় আলোচনার পরেও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি ছাত্রদল।
শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ এক নেতা স্ট্রিমকে বলেন, ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে ‘সুপার টেন’ নেতাদের নিজেদের অনুসারীরা প্রার্থীতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নেতারা প্রার্থী হিসেবে নিজ নিজ অনুসারীকে চান। ফলে একমত হওয়া যাচ্ছে না।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর স্ট্রিমকে বলেন, জাকসু নির্বাচেনের ভিপি, জিএস এবং এজিএস পদের জন্য ছাত্রদলে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। এজন্য আমরা কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা করছি। আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি প্রায় শেষ এবং আশা করছি আগামী ২/১ দিনের মধ্যে আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিপি পদে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ছাত্রদলের সভাপতি হামিদুল্লাহ সালমানকে প্রার্থী করতে চান শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। অন্যদিকে সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক একই পদের জন্য প্রার্থী হিসেবে চান অব্যাহতিপ্রাপ্ত সদস্য আব্দুল গফফার জিসানকে। এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফয়সাল ভিপি পদে চান তার অনুসারী ও শাখা ছাত্রদলের সদস্য শেখ সাদীকে।
এদিকে গত ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটির পাশাপাশি ১৭টি আবাসিক হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর কমিটিতে ত্যাগীদের বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানান ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের একটি অংশ। সেই ‘বিদ্রোহী’ নেতা-কর্মীরাও জাকসুতে নিজেদের মধ্য থেকে প্রার্থী করতে চান। জানা গেছে, ভিপি পদে এই অংশের পক্ষ থেকে প্রার্থী হতে চান ছাত্রদলের সদস্য জাকিরুল ইসলাম।
জিএস পদে ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রার্থী করতে চান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদি ইমনকে। একই পদে ছাত্রদলের সদস্যসচিব ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের কেউ কেউ প্রার্থী করতে চান সংগঠনের ১৩ নম্বর ছাত্রী হলের সভাপতি তানজিলা বৈশাখীকে। ওই পদে ছাত্রদলের সদস্য রাসেল আকন্দকে প্রার্থী হিসেবে চান ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল তমালসহ কয়েকজন নেতা।
জাকসু নির্বাচেনের ভিপি, জিএস এবং এজিএস পদের জন্য ছাত্রদলে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। এজন্য আমরা কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা করছি। জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, আহ্বায়ক, জাবি ছাত্রদল
জাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহী নেতা-কর্মীদের একাধিক পদে মনোনয়নপত্র তোলার নির্দেশ দিয়েছিল ছাত্রদল। সংগঠনটির একাধিক যুগ্ম আহ্বায়ক স্ট্রিমকে বলেছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া পদগুলোর বিপরীতে প্রত্যাহার ফরমও তৈরি করা হয়েছে। প্যানেল ঘোষণার পর বাকিরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন।
ছাত্রদলের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিতে ৫৪৭ জন নেতা-কর্মী রয়েছেন। তবে জাকসুর ভিপি পদে নির্বাচনের জন্য সংগঠনের বাইরে থেকে এক নারী শিক্ষার্থীকে প্যানেলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা। ওই শিক্ষার্থীর নাম তাপসী দে প্রাপ্তি। তবে প্রাপ্তি এতে সম্মত হননি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, তাপসী দে ক্যাম্পাস ও জাতীয় পরিসরে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেট অর্গানাইজেশনের (জেইউডিও) সভাপতি ছিলেন।
প্রাপ্তিকে রাজি করাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিএনপিপন্থী শিক্ষকও চেষ্টা চালান। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তাপসী দে প্রাপ্তি।
জাকসু হালচাল–০১ : জাকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ‘গুপ্ত রাজনীতির’ ছায়া
জাকসু হালচাল–০২:জাকসু নির্বাচন: ভেস্তে গেছে ঐক্যের প্রচেষ্টা, বিভাজনে দুর্বল বামপন্থীরা
ছাত্র ইউনিয়নের দুইভাগ এবং সাংস্কৃতিক জোটের দুইভাগ আলাদাভাবে জাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দুইটি নয়, বামপন্থীদের প্যানেল হবে তিনটি। তিন নম্বর প্যানেলটি হবে জাহাঙ্গীরনগর শাখা সমাজতান্ত্রিক জোটের।
১১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে সমমনা ইসলামি দলগুলোর ঐক্যকে আরও সুসংগঠিত ও সম্প্রসারণের বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসময় ইসলামি শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নেতারা।
১৬ ঘণ্টা আগেছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা প্রতিবছরেই হাবিবুর রহমান কবিরের স্মরণে দোয়া মহফিলের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যানার পোস্টার ও আয়োজনের সঙ্গে জাকসু নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁদের কার্যক্রমকে তারা প্রাক্তনদের কর্মসূচি ও দোয়া মহফিলকে ধর্মীয় অনূভুতির অংশ হিসেবেই দেখছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেছাত্রত্ব না থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের শীর্ষ দুই নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদের নির্বাচনেও সংগঠনটি প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
১৯ ঘণ্টা আগে