জাকসু হালচাল–০২
ছাত্র ইউনিয়নের দুইভাগ এবং সাংস্কৃতিক জোটের দুইভাগ আলাদাভাবে জাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দুইটি নয়, বামপন্থীদের প্যানেল হবে তিনটি। তিন নম্বর প্যানেলটি হবে জাহাঙ্গীরনগর শাখা সমাজতান্ত্রিক জোটের।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
নানা সময়ে তৈরি হওয়া বিভাজনের কারণে শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনেও এক কাতারে আসতে পারছে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। যদিও তাঁদের মধ্যে ঐক্য তৈরির মাধ্যমে একক প্যানেল গঠনের প্রচেষ্টা ছিল। সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ফলে তিন অংশের বিভাজনে দুর্বল হয়ে গেছে বামপন্থী সংগঠনগুলোর নির্বাচনী অবস্থান।
ইতিমধ্যে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও ইসলামী ছাত্রশিবির জাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও প্যানেল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বামপন্থীরা একক কোন প্যানেল দিতে পারছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্র ইউনিয়নের দুইটি আলাদা কমিটি আছে। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ১১ টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের জোট যেটি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট নামে পরিচিত সেটিও ভেঙ্গে দুইভাগ হয়ে গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ বিভক্তি প্রকাশ্যে আসে। পরে কয়েকটি সংগঠন মিলে সাংস্কৃতিক জোটের আরেকটি কমিটি গঠন করেন তাঁরা।
ছাত্র ইউনিয়নের দুইভাগ এবং সাংস্কৃতিক জোটের দুইভাগ আলাদাভাবে জাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে দুইটি নয়, বামপন্থীদের প্যানেল হবে তিনটি। তিন নম্বর প্যানেলটি হবে জাহাঙ্গীরনগর শাখা সমাজতান্ত্রিক জোটের।
ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন অদ্রি অংকুর ও ফাইজান আহমেদ অর্ক। তাঁরা সম্প্রীতির ঐক্য নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। এই প্যানেলে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা-কর্মী ছাড়াও সমমনা সংগঠনের শিক্ষার্থীরা থাকবেন।
জাকসুর পদ ২৫টি। সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলে ১১ জন নারী শিক্ষার্থীকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্র ইউনিয়নের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী হলেন ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি অমর্ত্য রায়। আর সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের সাবেক সভাপতি শরন এহসান।
এ ছাড়া সহসাধারণ সম্পাদক—এজিএস (ছেলে) পদে জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি নূরে তামিম স্রোত ও এজিএস (মেয়ে) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া জামান নিকি।
এর বাইরে সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে ফাইজান আহমেদ অর্ক, পরিবেশ ও প্রকৃতি সম্পাদক পদে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সংগঠক সোমা ডুমরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অদ্রি অংকুর স্ট্রিমকে বলেন, আমরা একসঙ্গে যেসব সংগঠন ও নির্দলীয় শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি তাদের সবাইকে নিয়েই প্যানেল তৈরি করছি।
জুলাই গণঅভুথ্যানে এবং তার আগে জাহাঙ্গীরনগরের বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নেওয়া সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে আমরা জাকসু নির্বাচনে লড়বো। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব গুণাবলি ও তাদের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে আংশিক প্যানেল করেছি। জাহিদুল ইসলাম ইমন, জিএস পদপ্রার্থী, ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের প্যানেল
২০২১ সালের ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভাঙন দেখা দেয়। দুটি কমিটিতে বিভক্ত হন নেতা-কর্মীরা। ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের একটি কমিটিই ছিল। তবে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের নতুন আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমানে ছাত্র ইউনিয়নের অন্য অংশের নেতৃত্বে আছেন জাহিদুল ইসলাম ইমন ও তানজীম আহমেদ।
ছাত্র ইউনিয়নের এই অংশের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের কয়েকজন নেতা-কর্মী মিলে জাকসুতে আংশিক প্যানেল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সাংস্কৃতিক জোটের এই অংশের সভাপতি মাহফুজ ইসলাম মেঘ। ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ ও সাংস্কৃতিক জোটের এই প্যানেলের সম্ভাব্য ভিপি পদপ্রার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ। এ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম ইমন। মেহের আফরোজ শাওলী এজিএস (মেয়ে) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এ ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম ইমন স্ট্রিমকে বলেন, জুলাই গণঅভুথ্যানে এবং তার আগে জাহাঙ্গীরনগরের বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নেওয়া সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে আমরা জাকসু নির্বাচনে লড়বো। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব গুণাবলি ও তাদের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে আংশিক প্যানেল করেছি।
জাকসুকে কেন্দ্র করে আমাদের দলের পক্ষ থেকে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ার প্রচেষ্টা করেছিলাম। কিন্ত ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক) রাজি না থাকায় তা করা সম্ভব হয়নি। সজীব আহমেদ জেনিচ, সংগঠক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী)
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে আংশিক আরেকটি প্যানেলে জাকসু নির্বাচনে অংশ নেবেন বামপন্থী শিক্ষার্থীদের আরেক অংশ।
এ প্যানেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ র ক রাসেল জিএস, ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগি সামিয়া (এজিএস) এবং ছাত্রফ্রন্টের কর্মী তানজিল আহমদ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ছাত্র ইউনিয়নের বিভাজন আমাদের দুর্বল করলেও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমরা এক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির আত্মপ্রকাশের দিন আমরা একসাথেই প্রতিবাদ করেছি। সোহাগি সামিয়া, সংগঠক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
জাকসু নির্বাচনে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে ঐক্য গড়ার চেষ্টা করেছিল সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী)। তবে ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশ সম্মত না হওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক (মার্কসবাদী) সজীব আহমেদ জেনিচ স্ট্রিমকে বলেন, জাকসুকে কেন্দ্র করে আমাদের দলের পক্ষ থেকে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ার প্রচেষ্টা করেছিলাম। কিন্ত ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক) রাজি না থাকায় তা করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা আলাদাভাবে স্বতন্ত্র হয়ে জাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অদ্রি অংকুর বলেন, আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারণে কিছু বামপন্থী সংগঠনের সাথে জোটবদ্ধতায় যাওয়া যায়নি।
বিভাজন থাকলেও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীরা এক থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগি সামিয়া।
তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘ছাত্র ইউনিয়নের বিভাজন আমাদের দুর্বল করলেও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমরা এক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির আত্মপ্রকাশের দিন আমরা একসাথেই প্রতিবাদ করেছি।’
জাকসু হালচাল ০১: জাকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ‘গুপ্ত রাজনীতির’ ছায়া
নানা সময়ে তৈরি হওয়া বিভাজনের কারণে শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনেও এক কাতারে আসতে পারছে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। যদিও তাঁদের মধ্যে ঐক্য তৈরির মাধ্যমে একক প্যানেল গঠনের প্রচেষ্টা ছিল। সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ফলে তিন অংশের বিভাজনে দুর্বল হয়ে গেছে বামপন্থী সংগঠনগুলোর নির্বাচনী অবস্থান।
ইতিমধ্যে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও ইসলামী ছাত্রশিবির জাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও প্যানেল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বামপন্থীরা একক কোন প্যানেল দিতে পারছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্র ইউনিয়নের দুইটি আলাদা কমিটি আছে। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ১১ টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের জোট যেটি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট নামে পরিচিত সেটিও ভেঙ্গে দুইভাগ হয়ে গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ বিভক্তি প্রকাশ্যে আসে। পরে কয়েকটি সংগঠন মিলে সাংস্কৃতিক জোটের আরেকটি কমিটি গঠন করেন তাঁরা।
ছাত্র ইউনিয়নের দুইভাগ এবং সাংস্কৃতিক জোটের দুইভাগ আলাদাভাবে জাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে দুইটি নয়, বামপন্থীদের প্যানেল হবে তিনটি। তিন নম্বর প্যানেলটি হবে জাহাঙ্গীরনগর শাখা সমাজতান্ত্রিক জোটের।
ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন অদ্রি অংকুর ও ফাইজান আহমেদ অর্ক। তাঁরা সম্প্রীতির ঐক্য নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। এই প্যানেলে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা-কর্মী ছাড়াও সমমনা সংগঠনের শিক্ষার্থীরা থাকবেন।
জাকসুর পদ ২৫টি। সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলে ১১ জন নারী শিক্ষার্থীকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্র ইউনিয়নের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী হলেন ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি অমর্ত্য রায়। আর সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের সাবেক সভাপতি শরন এহসান।
এ ছাড়া সহসাধারণ সম্পাদক—এজিএস (ছেলে) পদে জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি নূরে তামিম স্রোত ও এজিএস (মেয়ে) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া জামান নিকি।
এর বাইরে সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে ফাইজান আহমেদ অর্ক, পরিবেশ ও প্রকৃতি সম্পাদক পদে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সংগঠক সোমা ডুমরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অদ্রি অংকুর স্ট্রিমকে বলেন, আমরা একসঙ্গে যেসব সংগঠন ও নির্দলীয় শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি তাদের সবাইকে নিয়েই প্যানেল তৈরি করছি।
জুলাই গণঅভুথ্যানে এবং তার আগে জাহাঙ্গীরনগরের বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নেওয়া সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে আমরা জাকসু নির্বাচনে লড়বো। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব গুণাবলি ও তাদের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে আংশিক প্যানেল করেছি। জাহিদুল ইসলাম ইমন, জিএস পদপ্রার্থী, ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের প্যানেল
২০২১ সালের ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভাঙন দেখা দেয়। দুটি কমিটিতে বিভক্ত হন নেতা-কর্মীরা। ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের একটি কমিটিই ছিল। তবে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের নতুন আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমানে ছাত্র ইউনিয়নের অন্য অংশের নেতৃত্বে আছেন জাহিদুল ইসলাম ইমন ও তানজীম আহমেদ।
ছাত্র ইউনিয়নের এই অংশের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের কয়েকজন নেতা-কর্মী মিলে জাকসুতে আংশিক প্যানেল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সাংস্কৃতিক জোটের এই অংশের সভাপতি মাহফুজ ইসলাম মেঘ। ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ ও সাংস্কৃতিক জোটের এই প্যানেলের সম্ভাব্য ভিপি পদপ্রার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ। এ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম ইমন। মেহের আফরোজ শাওলী এজিএস (মেয়ে) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এ ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম ইমন স্ট্রিমকে বলেন, জুলাই গণঅভুথ্যানে এবং তার আগে জাহাঙ্গীরনগরের বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নেওয়া সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে আমরা জাকসু নির্বাচনে লড়বো। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব গুণাবলি ও তাদের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে আংশিক প্যানেল করেছি।
জাকসুকে কেন্দ্র করে আমাদের দলের পক্ষ থেকে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ার প্রচেষ্টা করেছিলাম। কিন্ত ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক) রাজি না থাকায় তা করা সম্ভব হয়নি। সজীব আহমেদ জেনিচ, সংগঠক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী)
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে আংশিক আরেকটি প্যানেলে জাকসু নির্বাচনে অংশ নেবেন বামপন্থী শিক্ষার্থীদের আরেক অংশ।
এ প্যানেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ র ক রাসেল জিএস, ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগি সামিয়া (এজিএস) এবং ছাত্রফ্রন্টের কর্মী তানজিল আহমদ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ছাত্র ইউনিয়নের বিভাজন আমাদের দুর্বল করলেও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমরা এক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির আত্মপ্রকাশের দিন আমরা একসাথেই প্রতিবাদ করেছি। সোহাগি সামিয়া, সংগঠক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
জাকসু নির্বাচনে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে ঐক্য গড়ার চেষ্টা করেছিল সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী)। তবে ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশ সম্মত না হওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক (মার্কসবাদী) সজীব আহমেদ জেনিচ স্ট্রিমকে বলেন, জাকসুকে কেন্দ্র করে আমাদের দলের পক্ষ থেকে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ার প্রচেষ্টা করেছিলাম। কিন্ত ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক) রাজি না থাকায় তা করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা আলাদাভাবে স্বতন্ত্র হয়ে জাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অদ্রি অংকুর বলেন, আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারণে কিছু বামপন্থী সংগঠনের সাথে জোটবদ্ধতায় যাওয়া যায়নি।
বিভাজন থাকলেও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীরা এক থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগি সামিয়া।
তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘ছাত্র ইউনিয়নের বিভাজন আমাদের দুর্বল করলেও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমরা এক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির আত্মপ্রকাশের দিন আমরা একসাথেই প্রতিবাদ করেছি।’
জাকসু হালচাল ০১: জাকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ‘গুপ্ত রাজনীতির’ ছায়া
জাকসুর প্রার্থী নির্ধারণ করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা ক্যাম্পাসে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলোচনার পর জাকসুর প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেন তাঁরা। পরে আগ্রহী প্রার্থীদের সবাইকে একাধিক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেবৈঠকে সমমনা ইসলামি দলগুলোর ঐক্যকে আরও সুসংগঠিত ও সম্প্রসারণের বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসময় ইসলামি শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নেতারা।
১৩ ঘণ্টা আগেছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা প্রতিবছরেই হাবিবুর রহমান কবিরের স্মরণে দোয়া মহফিলের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যানার পোস্টার ও আয়োজনের সঙ্গে জাকসু নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁদের কার্যক্রমকে তারা প্রাক্তনদের কর্মসূচি ও দোয়া মহফিলকে ধর্মীয় অনূভুতির অংশ হিসেবেই দেখছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেছাত্রত্ব না থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের শীর্ষ দুই নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদের নির্বাচনেও সংগঠনটি প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
১৬ ঘণ্টা আগে