ইয়াশাব ওসামা রহমান
গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে গণঅধিকার পরিষদের মিছিল থেকে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুললে এক পর্যায়ে তা সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে জাতীয় পার্টির পতনের উদ্দেশ্যে নেওয়া এ পদক্ষেপ হয়তো পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়নি, বরং গণঅধিকার পরিষদ নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে, উত্তেজনার ফুলকি তো অবশ্যই জ্বলে উঠেছে।
নুরের রক্তাক্ত ছবি সামাজিক সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লে দলীয় কর্মী ও বাইরের বিভিন্ন মহল থেকে জাতীয় পার্টিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধের একযোগে দাবি ওঠে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জাতীয় পার্টি ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তিনি জানান, দলটির মুখোশ খসে পড়েছে। দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিটি সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।
আসন্ন নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিকে ঘিরে আলোচনা যত বাড়ছে দলটি ততই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসছে। তবে বাস্তবতা এবার ভিন্ন। দীর্ঘদিন ধরে দলটি যে রাজনৈতিক প্রভাব ও নিরাপত্তার বলয় উপভোগ করতো, তা এখন আর দেখা যাচ্ছে না।
শনিবার বিকেলে বিক্ষোভকারীরা যখন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে, তখন মনে হলো ক্ষমতার যে মুখোশ এতদিন দলটিকে আড়াল করে রেখেছিল, তা পুরোপুরি খসে পড়েছে।
একসময়ের সেই ‘সম্রাট’ কি তবে এখন আর কোনো পোশাকেই নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না?
সময়টা ১৯৯১ সাল। ক্ষমতাচ্যুত জেনারেল এরশাদ তখন কারাগারে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত দেশ আগে কখনও দেখেনি। এরশাদ তখন রাজনৈতিক বন্দি, প্রায় উপেক্ষিত এক চরিত্র। একনায়ক, ক্ষমতাচ্যুত, বিলুপ্তপ্রায়।
প্রধান লড়াইটা ছিল এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রাখা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। দল দুটির নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সেবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন তাঁরা। ফলে জয়ী হলেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ ছিল দুই নেত্রীর জন্যই।
নির্বাচন এক ঐতিহাসিক মোড় নিচ্ছিল। সবার দৃষ্টির আড়ালে, কারাগারে বসেই এরশাদ বুঝিয়ে দিলেন— তিনি ক্ষমতা নির্ধারণী খেলোয়াড়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ৩৫টি আসন, যেখানে বিএনপি পায় ১৪০টি, আওয়ামী লীগ পায় ৮৮টি। বড় ব্যবধানে পরাজিত হলেও ওই ৩৫ আসনই অদূর ভবিষ্যতে 'কিংমেকার' হিসেবে জাতীয় পার্টিকে নতুন পরিচয় দেয়।
১৯৯৬ সাল নাগাদ রাজনৈতিক অস্থিরতার ছাপ স্পষ্ট। ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিরোধী দলের বয়কট বিএনপিকে এক জটিল পরিস্থিতিতে ফেলে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলাম একত্রে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি তোলে। জুন মাসে এ ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত হয় এক ঐতিহাসিক ভোট। নির্বাচনে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি রেকর্ড হয়। আওয়ামী লীগ পায় ১৪৬ আসন, বিএনপি ১১৬ আর জাতীয় পার্টি ৩২টি। তবে হাসিনার সামনে আসে অন্যরকম এক সমস্যা। সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৫১টি আসন, যেটি তাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ‘শত্রু’ জাতীয় পার্টিই এবার হয়ে ওঠে সম্ভাব্য মিত্র। এরশাদ তখনো কারাগারে, তবুও গঠিত হয় জোট সরকার। জোটের শর্ত অনুযায়ী, পার্টির তৎকালীন মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়—দুই দলের সম্পর্ক নতুন মোড় নিচ্ছে। ১৯৯৭ সালে এরশাদ জামিনে মুক্তি পান।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগেই জাতীয় পার্টি ভেতরে ভেতরে দ্বিধাবিভক্ত। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট নিয়ে দ্বিমত দেখা দেয় এরশাদ ও মঞ্জুর মধ্যে। মঞ্জু আলাদা একটি দল গঠন করেন। এরশাদ বিএনপির সঙ্গে জোট করেন, তবে সেটিও ভেঙে যায়। এর ফলে গঠিত হয় আরেকটি ভাঙন। নাজিউর রহমান মঞ্জুর আবার নতুন করে বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোটে অংশ নেন। ২০০০ সালে এরশাদ দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হন। ফলে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে তিন অংশে বিভক্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) পায় ১৪টি আসন, জাতীয় পার্টি (নাজিউর) পায় ৪টি এবং জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) একটি আসন পায়।
সেবার জাতীয় পার্টির দুর্বলতার জায়গাটি স্পষ্ট ধরা পড়লো। ভাঙা অংশগুলো টেনে ধরার অর্থ আরও বিভক্তি। আর তাতে রাজনৈতিক হুমকি হিসেবেও গুরুত্ব হারাবে দলটি। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির চারদলীয় জোট বিজয় লাভ করে। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদও প্রথমটির মতোই শেষ হয়। নির্বাচনকালীন সরকারের পদ্ধতি নিয়ে চরম অস্থিরতা দেখা দেয়। এর পরিণতিতে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবির্ভাব ঘটে। এই সময় শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দুজনকেই দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যেতে হয়। পরবর্তী সময়ে তারা মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক পরিবেশ অনিশ্চিত রয়ে যায়। ২০০৬ সালে বিএনপির মেয়াদ শেষের দিকে এলে এরশাদ প্রথমে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে খালেদা জিয়ার মঈনুল রোডের বাসায় বৈঠকের পর চারদলীয় জোটে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু অক্টোবরের শেষের দিকে হঠাৎ ঘোষণা দেন যে তিনি কোনো জোটে নেই। কিন্তু, ঘোষণার পরদিনই অবস্থান পাল্টান এরশাদ। এরপর তিনদিন জনসম্মুখ আসেননি তিনি। পরে পল্টন ময়দানে এক জনসভায় এসে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দেন। এসময় তিনি নিজেকে “মুক্ত” ঘোষণা করেন।
দুর্নীতির মামলায় জামিনে থাকা এরশাদ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছান। ধারণা করা হয়, এরশাদের আইনি জটিলতাই তার অবস্থান পাল্টানোর পেছনে প্রভাব ফেলেছিল।
আওয়ামী লীগের হিসাব ছিল সহজ। এরশাদকে জোটে পেলে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের আসন নিশ্চিত। একইসঙ্গে এরশাদকে পাশে পাওয়া মানে বিএনপিবিরোধী অবস্থানকে আরও জোরালো করা। এরশাদের জাতীয় পার্টি ছাড়াও মহাজোটে ১৪টি দল ছিল।
২০০৮ সালের নভেম্বরে হাইকোর্ট এরশাদের দণ্ড স্থগিত করে তাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়। অনেকে একে রাজনৈতিক সমঝোতার ফল বলে মনে করেন। এভাবেই এরশাদ রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত হলো। তাঁর জন্য এটার প্রয়োজনও ছিল।
তবে এ ঘটনার কয়েক মাস আগে এরশাদকে ঘিরে আরেকটি আলোচনা তৈরি হয়েছিল। সেই বছরের জানুয়ারিতে সাংবাদিক মাসুদ কামাল অভিযোগ করেন যে এরশাদের সমর্থকরা তাকে তিন ঘণ্টা বাসায় আটকে রেখেছিল। এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা অভিযোগ করেন, তাঁর বাসার সামনে থেকে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিদিশা বলেন, ওই সাংবাদিক সাপ্তাহিক ২০০০-এর জন্য তাঁর একটি সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের জোটে গেলে এরশাদের আইনি ঝামেলা দূর হয়ে যায়, এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হলে এরশাদ সুযোগটি লুফে নেন।
সেই বছরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০ আসনে জয়লাভ করে। এরশাদের দল সেই জোটে ২৭টি আসন যোগ করে। এটি ছিল এরশাদের শেষ বড় রাজনৈতিক সাফল্য।
২০১৪ সালের নির্বাচনের সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। যদিও এই ব্যবস্থার জন্য দলটি একসময় প্রাণপন লড়াই করেছিল। এতে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট আরও গভীর হয়। বিএনপি ও তার মিত্ররা ভোট বর্জন করে। কিন্তু বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচনকে অর্থহীন। তাই আওয়ামী লীগ চেয়েছিল জাতীয় পার্টি সেই নির্বাচনে অংশ নিক। এতে নির্বাচন অন্তত দেখানোর মতো বৈধতা পেয়ে যায়।
তবে এরশাদ তখন অন্য কিছু ভেবেছিলেন। দুই বছর আগে তিনি ভারত সফরে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ধারণা করা হয়, ২০১৪ নির্বাচনের আগে তিনি নিজের রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা জোরদার করার জন্য এ সফর করেছিলেন।
তবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এরশাদ হঠাৎ তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানান। এই নাটকীয় অবস্থান পাল্টানো আওয়ামী লীগ সরকারকে তৎপর করে তোলে।
শিগগিরই এরশাদ দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং অসুস্থতার অজুহাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) রাখা হয়।
সরকারিভাবে একে “চিকিৎসা” বলা হলেও সবাই বুঝেছিল এটি আসলে একধরণের গৃহবন্দিত্ব। ফলে এরশাদ নির্বাচন বর্জনের য়ায়োজন করতে পারলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতেই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি রেকর্ড ৩৪ আসন পায়।
একই সঙ্গে কিছু জাতীয় পার্টির কিছু সদস্য মন্ত্রিসভায়ও জায়গা পান। রাজনীতিতে ‘সরকারে থেকেও বিরোধী’ রূপকথার সূচনা এখানেই।
নির্বাচনের পর এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বানানো হয়। আর জাতীয় পার্টি সংসদে আনুষ্ঠানিক বিরোধীদল হিসেবে স্বীকৃতি পায়, যদিও তা নামেমাত্র।
২০১৮ সালের নির্বাচনও ছিল অত্যন্ত বিতর্কিত। শেষ মুহূর্তে অংশ নিলেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে বিএনপি। আওয়ামী লীগের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থেকে গেল জাতীয় পার্টি। ২২ আসনে জয়লাভ করে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা হন।
এরশাদ ধীরে ধীরে একঘরে হয়ে পড়েন। এক বছর পর তিনি মারা গেলে তার ভাই জিএম কাদের দলটির চেয়ারম্যান হন।
২০২৪ সালে জাতীয় পার্টি আবারও ‘নিয়ন্ত্রিত বিরোধীদলের’ ভূমিকা নেয়। প্রধান বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকায় নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু মানুষের কাছে তাদের উপস্থিতি ছিল কেবল বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ প্রদর্শনী।
কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর জাতীয় পার্টির অবস্থান আবারো প্রশ্নবিদ্ধ হতে শুরু করে। গত বছরের অক্টোবরে দলটির কার্যালয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিকরা’ আগুন লাগিয়ে দেয়। চলতি বছরের মে মাসে জিএম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে হামলা হয়। জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকায়ও দলটির দুর্বল অবস্থান প্রকাশ্যে আসে। গত শনিবার দেশের বিভিন্ন জেলায় আবারও তাদের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।
এই মুহূর্তে দলটির মাথার ওপর কোনো নতুন জোট বা আশ্রয়দাতার ছায়া নেই। অন্তত সাতটি ভাঙনের পর দুর্বল জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, ক্ষমতার মুকুট মাথায় পরলেও যে তা ক্লান্ত হয়ে পড়ে, প্রচলিত এ কথাটিই এখন সত্য হতে চলেছে।
সময় হয়তো তাদের সামনে আবার পুরনো মিত্রদের এনে দাঁড় করাবে। সেই বন্ধুত্বই হয়তো আবার নির্ধারণ করবে জাতীয় পার্টির ভাগ্য।
গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে গণঅধিকার পরিষদের মিছিল থেকে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুললে এক পর্যায়ে তা সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে জাতীয় পার্টির পতনের উদ্দেশ্যে নেওয়া এ পদক্ষেপ হয়তো পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়নি, বরং গণঅধিকার পরিষদ নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে, উত্তেজনার ফুলকি তো অবশ্যই জ্বলে উঠেছে।
নুরের রক্তাক্ত ছবি সামাজিক সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লে দলীয় কর্মী ও বাইরের বিভিন্ন মহল থেকে জাতীয় পার্টিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধের একযোগে দাবি ওঠে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জাতীয় পার্টি ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তিনি জানান, দলটির মুখোশ খসে পড়েছে। দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিটি সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।
আসন্ন নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিকে ঘিরে আলোচনা যত বাড়ছে দলটি ততই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসছে। তবে বাস্তবতা এবার ভিন্ন। দীর্ঘদিন ধরে দলটি যে রাজনৈতিক প্রভাব ও নিরাপত্তার বলয় উপভোগ করতো, তা এখন আর দেখা যাচ্ছে না।
শনিবার বিকেলে বিক্ষোভকারীরা যখন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে, তখন মনে হলো ক্ষমতার যে মুখোশ এতদিন দলটিকে আড়াল করে রেখেছিল, তা পুরোপুরি খসে পড়েছে।
একসময়ের সেই ‘সম্রাট’ কি তবে এখন আর কোনো পোশাকেই নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না?
সময়টা ১৯৯১ সাল। ক্ষমতাচ্যুত জেনারেল এরশাদ তখন কারাগারে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত দেশ আগে কখনও দেখেনি। এরশাদ তখন রাজনৈতিক বন্দি, প্রায় উপেক্ষিত এক চরিত্র। একনায়ক, ক্ষমতাচ্যুত, বিলুপ্তপ্রায়।
প্রধান লড়াইটা ছিল এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রাখা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। দল দুটির নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সেবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন তাঁরা। ফলে জয়ী হলেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ ছিল দুই নেত্রীর জন্যই।
নির্বাচন এক ঐতিহাসিক মোড় নিচ্ছিল। সবার দৃষ্টির আড়ালে, কারাগারে বসেই এরশাদ বুঝিয়ে দিলেন— তিনি ক্ষমতা নির্ধারণী খেলোয়াড়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ৩৫টি আসন, যেখানে বিএনপি পায় ১৪০টি, আওয়ামী লীগ পায় ৮৮টি। বড় ব্যবধানে পরাজিত হলেও ওই ৩৫ আসনই অদূর ভবিষ্যতে 'কিংমেকার' হিসেবে জাতীয় পার্টিকে নতুন পরিচয় দেয়।
১৯৯৬ সাল নাগাদ রাজনৈতিক অস্থিরতার ছাপ স্পষ্ট। ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিরোধী দলের বয়কট বিএনপিকে এক জটিল পরিস্থিতিতে ফেলে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলাম একত্রে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি তোলে। জুন মাসে এ ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত হয় এক ঐতিহাসিক ভোট। নির্বাচনে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি রেকর্ড হয়। আওয়ামী লীগ পায় ১৪৬ আসন, বিএনপি ১১৬ আর জাতীয় পার্টি ৩২টি। তবে হাসিনার সামনে আসে অন্যরকম এক সমস্যা। সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৫১টি আসন, যেটি তাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ‘শত্রু’ জাতীয় পার্টিই এবার হয়ে ওঠে সম্ভাব্য মিত্র। এরশাদ তখনো কারাগারে, তবুও গঠিত হয় জোট সরকার। জোটের শর্ত অনুযায়ী, পার্টির তৎকালীন মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়—দুই দলের সম্পর্ক নতুন মোড় নিচ্ছে। ১৯৯৭ সালে এরশাদ জামিনে মুক্তি পান।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগেই জাতীয় পার্টি ভেতরে ভেতরে দ্বিধাবিভক্ত। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট নিয়ে দ্বিমত দেখা দেয় এরশাদ ও মঞ্জুর মধ্যে। মঞ্জু আলাদা একটি দল গঠন করেন। এরশাদ বিএনপির সঙ্গে জোট করেন, তবে সেটিও ভেঙে যায়। এর ফলে গঠিত হয় আরেকটি ভাঙন। নাজিউর রহমান মঞ্জুর আবার নতুন করে বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোটে অংশ নেন। ২০০০ সালে এরশাদ দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হন। ফলে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে তিন অংশে বিভক্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) পায় ১৪টি আসন, জাতীয় পার্টি (নাজিউর) পায় ৪টি এবং জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) একটি আসন পায়।
সেবার জাতীয় পার্টির দুর্বলতার জায়গাটি স্পষ্ট ধরা পড়লো। ভাঙা অংশগুলো টেনে ধরার অর্থ আরও বিভক্তি। আর তাতে রাজনৈতিক হুমকি হিসেবেও গুরুত্ব হারাবে দলটি। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির চারদলীয় জোট বিজয় লাভ করে। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদও প্রথমটির মতোই শেষ হয়। নির্বাচনকালীন সরকারের পদ্ধতি নিয়ে চরম অস্থিরতা দেখা দেয়। এর পরিণতিতে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবির্ভাব ঘটে। এই সময় শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দুজনকেই দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যেতে হয়। পরবর্তী সময়ে তারা মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক পরিবেশ অনিশ্চিত রয়ে যায়। ২০০৬ সালে বিএনপির মেয়াদ শেষের দিকে এলে এরশাদ প্রথমে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে খালেদা জিয়ার মঈনুল রোডের বাসায় বৈঠকের পর চারদলীয় জোটে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু অক্টোবরের শেষের দিকে হঠাৎ ঘোষণা দেন যে তিনি কোনো জোটে নেই। কিন্তু, ঘোষণার পরদিনই অবস্থান পাল্টান এরশাদ। এরপর তিনদিন জনসম্মুখ আসেননি তিনি। পরে পল্টন ময়দানে এক জনসভায় এসে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দেন। এসময় তিনি নিজেকে “মুক্ত” ঘোষণা করেন।
দুর্নীতির মামলায় জামিনে থাকা এরশাদ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছান। ধারণা করা হয়, এরশাদের আইনি জটিলতাই তার অবস্থান পাল্টানোর পেছনে প্রভাব ফেলেছিল।
আওয়ামী লীগের হিসাব ছিল সহজ। এরশাদকে জোটে পেলে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের আসন নিশ্চিত। একইসঙ্গে এরশাদকে পাশে পাওয়া মানে বিএনপিবিরোধী অবস্থানকে আরও জোরালো করা। এরশাদের জাতীয় পার্টি ছাড়াও মহাজোটে ১৪টি দল ছিল।
২০০৮ সালের নভেম্বরে হাইকোর্ট এরশাদের দণ্ড স্থগিত করে তাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়। অনেকে একে রাজনৈতিক সমঝোতার ফল বলে মনে করেন। এভাবেই এরশাদ রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত হলো। তাঁর জন্য এটার প্রয়োজনও ছিল।
তবে এ ঘটনার কয়েক মাস আগে এরশাদকে ঘিরে আরেকটি আলোচনা তৈরি হয়েছিল। সেই বছরের জানুয়ারিতে সাংবাদিক মাসুদ কামাল অভিযোগ করেন যে এরশাদের সমর্থকরা তাকে তিন ঘণ্টা বাসায় আটকে রেখেছিল। এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা অভিযোগ করেন, তাঁর বাসার সামনে থেকে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিদিশা বলেন, ওই সাংবাদিক সাপ্তাহিক ২০০০-এর জন্য তাঁর একটি সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের জোটে গেলে এরশাদের আইনি ঝামেলা দূর হয়ে যায়, এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হলে এরশাদ সুযোগটি লুফে নেন।
সেই বছরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০ আসনে জয়লাভ করে। এরশাদের দল সেই জোটে ২৭টি আসন যোগ করে। এটি ছিল এরশাদের শেষ বড় রাজনৈতিক সাফল্য।
২০১৪ সালের নির্বাচনের সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। যদিও এই ব্যবস্থার জন্য দলটি একসময় প্রাণপন লড়াই করেছিল। এতে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট আরও গভীর হয়। বিএনপি ও তার মিত্ররা ভোট বর্জন করে। কিন্তু বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচনকে অর্থহীন। তাই আওয়ামী লীগ চেয়েছিল জাতীয় পার্টি সেই নির্বাচনে অংশ নিক। এতে নির্বাচন অন্তত দেখানোর মতো বৈধতা পেয়ে যায়।
তবে এরশাদ তখন অন্য কিছু ভেবেছিলেন। দুই বছর আগে তিনি ভারত সফরে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ধারণা করা হয়, ২০১৪ নির্বাচনের আগে তিনি নিজের রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা জোরদার করার জন্য এ সফর করেছিলেন।
তবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এরশাদ হঠাৎ তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানান। এই নাটকীয় অবস্থান পাল্টানো আওয়ামী লীগ সরকারকে তৎপর করে তোলে।
শিগগিরই এরশাদ দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং অসুস্থতার অজুহাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) রাখা হয়।
সরকারিভাবে একে “চিকিৎসা” বলা হলেও সবাই বুঝেছিল এটি আসলে একধরণের গৃহবন্দিত্ব। ফলে এরশাদ নির্বাচন বর্জনের য়ায়োজন করতে পারলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতেই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি রেকর্ড ৩৪ আসন পায়।
একই সঙ্গে কিছু জাতীয় পার্টির কিছু সদস্য মন্ত্রিসভায়ও জায়গা পান। রাজনীতিতে ‘সরকারে থেকেও বিরোধী’ রূপকথার সূচনা এখানেই।
নির্বাচনের পর এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বানানো হয়। আর জাতীয় পার্টি সংসদে আনুষ্ঠানিক বিরোধীদল হিসেবে স্বীকৃতি পায়, যদিও তা নামেমাত্র।
২০১৮ সালের নির্বাচনও ছিল অত্যন্ত বিতর্কিত। শেষ মুহূর্তে অংশ নিলেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে বিএনপি। আওয়ামী লীগের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থেকে গেল জাতীয় পার্টি। ২২ আসনে জয়লাভ করে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা হন।
এরশাদ ধীরে ধীরে একঘরে হয়ে পড়েন। এক বছর পর তিনি মারা গেলে তার ভাই জিএম কাদের দলটির চেয়ারম্যান হন।
২০২৪ সালে জাতীয় পার্টি আবারও ‘নিয়ন্ত্রিত বিরোধীদলের’ ভূমিকা নেয়। প্রধান বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকায় নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু মানুষের কাছে তাদের উপস্থিতি ছিল কেবল বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ প্রদর্শনী।
কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর জাতীয় পার্টির অবস্থান আবারো প্রশ্নবিদ্ধ হতে শুরু করে। গত বছরের অক্টোবরে দলটির কার্যালয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিকরা’ আগুন লাগিয়ে দেয়। চলতি বছরের মে মাসে জিএম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে হামলা হয়। জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকায়ও দলটির দুর্বল অবস্থান প্রকাশ্যে আসে। গত শনিবার দেশের বিভিন্ন জেলায় আবারও তাদের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।
এই মুহূর্তে দলটির মাথার ওপর কোনো নতুন জোট বা আশ্রয়দাতার ছায়া নেই। অন্তত সাতটি ভাঙনের পর দুর্বল জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, ক্ষমতার মুকুট মাথায় পরলেও যে তা ক্লান্ত হয়ে পড়ে, প্রচলিত এ কথাটিই এখন সত্য হতে চলেছে।
সময় হয়তো তাদের সামনে আবার পুরনো মিত্রদের এনে দাঁড় করাবে। সেই বন্ধুত্বই হয়তো আবার নির্ধারণ করবে জাতীয় পার্টির ভাগ্য।
দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে চলমান তদন্তের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিষেধা
৯ ঘণ্টা আগেবিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় তাঁদের এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
১১ ঘণ্টা আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থীর ডোপ টেস্ট করা হবে।
২ দিন আগেআসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা করেছে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল। প্যানেলটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন জুলাই অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা।
২ দিন আগে