প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
স্ট্রিম প্রতিবেদক
জাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান হলেও, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) প্যানেল ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। এদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের বিতর্কিত ভূমিকা, ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতাকে এই বয়কটের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসবের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল বলছে, নির্বাচন বর্জন দূরভিসন্ধিমূলক। শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে আজকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এমন কোনো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নাই, যেটা ছাত্রদল ও অন্যরা করে নাই। এরপর তারা আবার নির্বাচন বর্জনের স্টেটমেন্ট দেয়। এটা আসলে তাদের একটা দূরভিসন্ধিমূলক আচরণ। তারা শিক্ষার্থীদের সমর্থন না পেয়ে পরাজিত হয়েছে। এখন মনে করছে, বর্জন কারাই তাদের জন্য ভালো হবে। আমার মনে হয় না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটার কোনো ইমপেক্ট পড়বে।’
বর্জনকারী প্যানেলগুলোর অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের অসহযোগিতা এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অনীহা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রীতির ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, জহির রায়হান মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশনের প্রার্থীদের সাথে প্রথম ও একমাত্র সভাতেই চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক এবং পক্ষপাতদুষ্টতার মধ্য দিয়ে জাকসু নির্বাচনের আয়োজন শুরু হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির কারণে এই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সম্প্রীতির ঐক্য ছাড়াও এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংশপ্তক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদের প্রার্থীরা। পাশাপাশি কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও সংহতি জানান।
‘আমরা অনিয়মের নির্বাচন বয়কট করছি। দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্বাচন দাবি করছি। পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’ শরণ এহসান, সম্প্রীতির ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী, জাকসু
‘সংশপ্তক পর্ষদ’ তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের ন্যক্কারজনক ভূমিকার পাশাপাশি ছাত্রশিবিরকে ভোট জালিয়াতিতে সহায়তা করার অভিযোগ এনেছে। প্যানেলটি সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করে, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ছাত্রী সংস্থার শিক্ষার্থীরা জাল ভোট দিচ্ছিল। শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ৪০০টি ব্যালট পেপার গেছে। এ ছাড়া, ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত না করার কারণে যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছিল এবং রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণ মিলেছে বলে জানায় প্যানেলটি। প্রতিটি হলেই বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতদের উপস্থিতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এই বয়কটের কারণ বলে জানানো হয়।
আজ সন্ধ্যার সংবাদ সম্মেলনে সারাদিনব্যাপী ঘটে যাওয়া নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন শরণ এহসান। সেখানে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়, তার মধ্যে রয়েছে—নির্বাচনের ঠিক পাঁচ ঘণ্টা আগে পোলিং এজেন্টদের প্রবেশের ব্যাপার নিশ্চিত করা হলেও, সকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থীদের স্বাক্ষর, পোলিং এজেন্টদের ছবি ইত্যাদি অজুহাতে অন্তত দুই ঘণ্টা প্রবেশ করতে না দেওয়া। সকাল থেকে সব কেন্দ্রে আঙুলে অমোচনীয় কালি না দেওয়া এবং পরে আনা হলেও তা দ্রুত উঠে যাওয়ার অভিযোগও করা হয়। নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে, বিশেষত ছাত্রী হলগুলোতে ছাত্রশিবিরের লিফলেট হাতে হাতে সরবরাহ করা এবং জাহানারা ইমাম হলে বুথের মধ্যে শিবির ও ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের’ লিফলেট সাজিয়ে রাখার ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করেন তাঁরা। এমনকি জাহানারা ইমাম হলে মেয়েদের মারধোরের অভিযোগও পাওয়া যায়। প্রশাসন কর্তৃক ১০% বেশি ব্যালট পেপার ছাপানো, নজরুল হলে সদস্য পদে সব প্রার্থীর নাম না থাকার ব্যাপারেও প্রশ্ন তোলা হয়।
‘গতকাল রাত থেকে আজকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এমন কোনো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নাই, যেটা ছাত্রদল ও অন্যরা করে নাই। এরপর তারা আবার নির্বাচন বর্জনের স্টেটমেন্ট দেয়। এটা আসলে তাদের একটা দূরভিসন্ধিমূলক আচরণ।’ মাজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী, শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল
সংবাদ সম্মেলনে অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিল নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলা হয়। হাইকোর্টে তাঁর প্রার্থিতা বহাল রাখার নোটিশ আসার পরও চেম্বার কোর্টে পুনরায় কেস উত্থাপন করে ‘ব্যালট পেপার ছাপা হয়ে গেছে’ এই অজুহাতে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়, যা প্রশাসন কর্তৃক জাকসু নির্বাচন বানচালের দুরভিসন্ধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হলেও কিছু প্রার্থী এতে অংশগ্রহণ করেনি এবং এখনো ডোপ টেস্টের ফলাফল পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করা হয়।
সব মিলিয়ে, নারী হলে পুরুষ প্রার্থী প্রবেশ, ভোটার তালিকায় ছবি না থাকা, আঙুলে কালির দাগ না দেওয়া, ভোটার হওয়ার পরও তালিকায় নাম না থাকা, ভোটারের তুলনায় ব্যালট বেশি ছাপানো, লাইন জ্যামিং, বহিরাগতদের আনাগোনা – এমন অসংখ্য অনিয়মের কারণে নির্বাচনকে ঘিরে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বলে বর্জনকারী প্যানেলগুলো গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
প্রগতিশীল সংগঠনের প্রার্থীরা এবং তাদের সঙ্গে সংহতি জানানো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই নির্বাচনকে বয়কট করে দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। শরণ এহসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা অনিয়মের নির্বাচন বয়কট করছি। দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্বাচন দাবি করছি।’ তারা পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিও জানিয়েছেন।
জাকসু নির্বাচন বয়কট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিল বের করেন শাখা ছাত্রদল মনোনীত জাকসুর প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে শাখা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বলেন, জাকসুর নির্বাচন বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।
জাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান হলেও, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) প্যানেল ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। এদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের বিতর্কিত ভূমিকা, ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতাকে এই বয়কটের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসবের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল বলছে, নির্বাচন বর্জন দূরভিসন্ধিমূলক। শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে আজকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এমন কোনো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নাই, যেটা ছাত্রদল ও অন্যরা করে নাই। এরপর তারা আবার নির্বাচন বর্জনের স্টেটমেন্ট দেয়। এটা আসলে তাদের একটা দূরভিসন্ধিমূলক আচরণ। তারা শিক্ষার্থীদের সমর্থন না পেয়ে পরাজিত হয়েছে। এখন মনে করছে, বর্জন কারাই তাদের জন্য ভালো হবে। আমার মনে হয় না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটার কোনো ইমপেক্ট পড়বে।’
বর্জনকারী প্যানেলগুলোর অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের অসহযোগিতা এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অনীহা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রীতির ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, জহির রায়হান মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশনের প্রার্থীদের সাথে প্রথম ও একমাত্র সভাতেই চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক এবং পক্ষপাতদুষ্টতার মধ্য দিয়ে জাকসু নির্বাচনের আয়োজন শুরু হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির কারণে এই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সম্প্রীতির ঐক্য ছাড়াও এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংশপ্তক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদের প্রার্থীরা। পাশাপাশি কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও সংহতি জানান।
‘আমরা অনিয়মের নির্বাচন বয়কট করছি। দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্বাচন দাবি করছি। পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’ শরণ এহসান, সম্প্রীতির ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী, জাকসু
‘সংশপ্তক পর্ষদ’ তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের ন্যক্কারজনক ভূমিকার পাশাপাশি ছাত্রশিবিরকে ভোট জালিয়াতিতে সহায়তা করার অভিযোগ এনেছে। প্যানেলটি সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করে, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ছাত্রী সংস্থার শিক্ষার্থীরা জাল ভোট দিচ্ছিল। শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ৪০০টি ব্যালট পেপার গেছে। এ ছাড়া, ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত না করার কারণে যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছিল এবং রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণ মিলেছে বলে জানায় প্যানেলটি। প্রতিটি হলেই বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতদের উপস্থিতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এই বয়কটের কারণ বলে জানানো হয়।
আজ সন্ধ্যার সংবাদ সম্মেলনে সারাদিনব্যাপী ঘটে যাওয়া নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন শরণ এহসান। সেখানে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়, তার মধ্যে রয়েছে—নির্বাচনের ঠিক পাঁচ ঘণ্টা আগে পোলিং এজেন্টদের প্রবেশের ব্যাপার নিশ্চিত করা হলেও, সকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থীদের স্বাক্ষর, পোলিং এজেন্টদের ছবি ইত্যাদি অজুহাতে অন্তত দুই ঘণ্টা প্রবেশ করতে না দেওয়া। সকাল থেকে সব কেন্দ্রে আঙুলে অমোচনীয় কালি না দেওয়া এবং পরে আনা হলেও তা দ্রুত উঠে যাওয়ার অভিযোগও করা হয়। নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে, বিশেষত ছাত্রী হলগুলোতে ছাত্রশিবিরের লিফলেট হাতে হাতে সরবরাহ করা এবং জাহানারা ইমাম হলে বুথের মধ্যে শিবির ও ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের’ লিফলেট সাজিয়ে রাখার ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করেন তাঁরা। এমনকি জাহানারা ইমাম হলে মেয়েদের মারধোরের অভিযোগও পাওয়া যায়। প্রশাসন কর্তৃক ১০% বেশি ব্যালট পেপার ছাপানো, নজরুল হলে সদস্য পদে সব প্রার্থীর নাম না থাকার ব্যাপারেও প্রশ্ন তোলা হয়।
‘গতকাল রাত থেকে আজকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এমন কোনো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নাই, যেটা ছাত্রদল ও অন্যরা করে নাই। এরপর তারা আবার নির্বাচন বর্জনের স্টেটমেন্ট দেয়। এটা আসলে তাদের একটা দূরভিসন্ধিমূলক আচরণ।’ মাজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী, শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল
সংবাদ সম্মেলনে অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিল নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলা হয়। হাইকোর্টে তাঁর প্রার্থিতা বহাল রাখার নোটিশ আসার পরও চেম্বার কোর্টে পুনরায় কেস উত্থাপন করে ‘ব্যালট পেপার ছাপা হয়ে গেছে’ এই অজুহাতে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়, যা প্রশাসন কর্তৃক জাকসু নির্বাচন বানচালের দুরভিসন্ধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হলেও কিছু প্রার্থী এতে অংশগ্রহণ করেনি এবং এখনো ডোপ টেস্টের ফলাফল পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করা হয়।
সব মিলিয়ে, নারী হলে পুরুষ প্রার্থী প্রবেশ, ভোটার তালিকায় ছবি না থাকা, আঙুলে কালির দাগ না দেওয়া, ভোটার হওয়ার পরও তালিকায় নাম না থাকা, ভোটারের তুলনায় ব্যালট বেশি ছাপানো, লাইন জ্যামিং, বহিরাগতদের আনাগোনা – এমন অসংখ্য অনিয়মের কারণে নির্বাচনকে ঘিরে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বলে বর্জনকারী প্যানেলগুলো গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
প্রগতিশীল সংগঠনের প্রার্থীরা এবং তাদের সঙ্গে সংহতি জানানো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই নির্বাচনকে বয়কট করে দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। শরণ এহসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা অনিয়মের নির্বাচন বয়কট করছি। দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্বাচন দাবি করছি।’ তারা পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিও জানিয়েছেন।
জাকসু নির্বাচন বয়কট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিল বের করেন শাখা ছাত্রদল মনোনীত জাকসুর প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে শাখা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বলেন, জাকসুর নির্বাচন বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।
জাকসু নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় হয়েছে এবং ভোটে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, বিএনপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এর মধ্য দিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু হবে।
৬ ঘণ্টা আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা হবে ম্যানুয়ালি। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব একেএম রাশিদুল আলম স্ট্রিমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ শেষে তা ম্যানুয়ালি গণনা করা হবে। এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের এট
১৫ ঘণ্টা আগে১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পরের বছরই প্রথম জাকসু নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮১, ১৯৮৯, ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালসহ মোট ৮ বার নির্বাচন হয়েছে। ১৯৯২ সালে শেষবারের মতো নির্বাচন হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে