স্ট্রিম প্রতিবেদক
সকালে ঘুম ভাঙল আম্মার ফোনে। চোখ খুলে দেয়ালে দেখলাম ১০টার কাঁটা পার হয়ে গেছে। রাতে বৃষ্টি হয়েছে বোঝা গেলো বারান্দার তার থেকে তোয়ালে নিতে গিয়ে। জুতার ফিতা বেঁধে নেমে পড়লাম নয়াটোলার ছোট্ট ভাড়াবাসা থেকে। গন্তব্য কারওয়ানবাজার।
পরপর তিনটি রিক্সা ‘না’ করে দিল। অবশ্য মগবাজার থেকে কারওয়ানবাজার যাওয়া আসার পথে প্রত্যাখাত হওয়ার এই ঘটনা নতুন নয়। মিনিট পাঁচেক পরে একজন অটো রিকশাচালক যেতে রাজি হলেন। ভাড়া ৬০ টাকা নির্ধারণ হলো।
রিকশা চলতে শুরু করল দালানের ক্ষেতের ভেতর দিয়ে। অল্প দূরেই মগবাজার রেলগেট, তার সামান্য আগে গাবতলা মোড়ের গলি। কারওয়ানবাজার কিংবা সাতরাস্তায় যেতে চাওয়া যানবাহন এই সরু গলি ধরেই মেইন রোডে ওঠে। আমাকে বহন করা রিক্সাটিও গাবতলা গলিতে ঢুকল। গুলফেঁশা আফরোজ নামক ভবনের সামনে ব্রেক কষলেন চালক সাহেব। সেখান থেকে সামনে মেইন রোড পর্যন্ত সব গাড়ি একে অপরের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। এই পথে মাঝেমাঝেই এমন যানজট হয় সামনের রেলগেটের কারণে।
খেয়াল করলাম, মগবাজার ফ্লাইওভারের পেট দেখা যাচ্ছে ওপরে। যানবাহন নেই। দল ধরে মানুষ হাঁটছে। পতাকাবাহী একজনকে দেখে বুঝলাম এরা জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণের উদ্দেশে আগত লোকজন। কান থেকে এয়ারবাডস খুললাম। রিক্সাচালক ভদ্রলোক কিছু বলছেন। ‘মামা পয়সা লাগব না, আপনে রেল লাইন ধইরা হাইটা যানগা এই জ্যাম ছুটবো না’।
মেজাজ খারাপ হলো। মনে হলো জেদ দেখিয়ে ঘন্টাখানেক বসে থাকি। দেখি, যানজট ছোটে কিনা। কিন্তু সময় কম। অফিস পৌছানো জরুরি। তাঁকে ২০ টাকা দিয়ে সামনে হাঁটা শুরু করলাম। মেইন রোডে পৌঁছে তাঁর প্রতি রাগ কিছুটা প্রশমিত হলো। ভদ্রলোক ভালো কথাই বলেছেন। রাস্তায় জামায়েত নেতাকর্মী অনেক বেশি, ফলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।
রাস্তা পার হতে তেমন অসুবিধা হলো না। জামায়াতের স্লোগান দিতে দিতে সিরাজগঞ্জ থেকে জনসভায় আসা একটি জটলা বাংলামোটরের দিকে গেল। আমি মগবাজার রেলগেট থেকে রেললাইন ধরে কারওয়ানবাজারের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। কারণ এফডিসির দিক দিয়ে হেঁটে গেলে সময় আর শ্রম দুটোই বেশি লাগবে। রেললাইনের দুই পাশেই সমাবেশে আগত মানুষ দেখা গেল। তাঁদের মাথায় দলীয় কাপড় বাঁধা।
কারওয়ানবাজার রেলগেট এসে বাঁ পাশের ফুটপাত ধরে চার রাস্তার মাঝখানের ফোয়ারা বরাবর হাঁটতে থাকলাম। ঢাকার কোনো ব্যস্ত এলাকায় এত চওড়া ফাঁকা ফুটপাত কমই আছে। সোনারগাঁ হোটেলের প্রাচীর ধরে কেউ কেউ জটলা করে বসে খাবার খাচ্ছেন। বোঝা যাচ্ছে তাঁরা মুসাফির। দীর্ঘ সফর পার করে সমাবেশে এসেছেন। সোনারগাঁ হোটেলের দ্বিতীয় প্রবেশদ্বারের পাশে রেন্ট-এ কারের যাত্রী ছাউনি। সেখানে ঝিমাচ্ছেন তাদেরই কেউ কেউ। পাঞ্জাবির ওপরে সমাবেশের টি-শার্ট।
ফুটপাতের লাল ইট থেকে চোখ তুলে দেখলাম সামনে কারওয়ানবাজার ফোয়ারা চত্বর। পিপাসা পেয়েছে। পানি ফেরি করছে এমন কাউকে পেলাম না। সমাবেশে আগতদের মধ্যে একটা দলের খাবার বাড়তি হয়ে গেছে। পথিকদের সেসব বিলিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। দৃশ্যটা সুন্দর।
ফোয়ারার চারপাশের বিজ্ঞাপনের ডিসপ্লেগুলো ঢেকে গেছে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের প্রচারণার ব্যানারে। ৭ দফা দাবির কথা পড়লাম সেখানে। তার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় সব গণহত্যার বিচার চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ফোয়ারার পাশে চত্বরের ওপরেই ট্র্যাফিক পুলিশের ধাতব ছাতা। এর পাশে খুব উশকো-খুশকো এক লোকের হাতে মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের পতাকা। বাড়তি খাবারের একটা প্যাকেট তাঁকে দিতে চাইলেন সেই দলের লোকজন। লোকটি খাবার নিল না। কেন নিল না, কে জানে!
জুতার বাহারি দোকান সামনে, সেসব পেরিয়ে প্রথম গলিতেই অফিস। পকেট থেকে বের করে, এয়ারবাডস কানে লাগালাম। ইউটিউবের সাজেশন থেকে গণবিষাণের গান বাজছে—‘কোন দিক সাথী কোন দিক বল/কোন দিক বেছে নিবি তুই?’
সকালে ঘুম ভাঙল আম্মার ফোনে। চোখ খুলে দেয়ালে দেখলাম ১০টার কাঁটা পার হয়ে গেছে। রাতে বৃষ্টি হয়েছে বোঝা গেলো বারান্দার তার থেকে তোয়ালে নিতে গিয়ে। জুতার ফিতা বেঁধে নেমে পড়লাম নয়াটোলার ছোট্ট ভাড়াবাসা থেকে। গন্তব্য কারওয়ানবাজার।
পরপর তিনটি রিক্সা ‘না’ করে দিল। অবশ্য মগবাজার থেকে কারওয়ানবাজার যাওয়া আসার পথে প্রত্যাখাত হওয়ার এই ঘটনা নতুন নয়। মিনিট পাঁচেক পরে একজন অটো রিকশাচালক যেতে রাজি হলেন। ভাড়া ৬০ টাকা নির্ধারণ হলো।
রিকশা চলতে শুরু করল দালানের ক্ষেতের ভেতর দিয়ে। অল্প দূরেই মগবাজার রেলগেট, তার সামান্য আগে গাবতলা মোড়ের গলি। কারওয়ানবাজার কিংবা সাতরাস্তায় যেতে চাওয়া যানবাহন এই সরু গলি ধরেই মেইন রোডে ওঠে। আমাকে বহন করা রিক্সাটিও গাবতলা গলিতে ঢুকল। গুলফেঁশা আফরোজ নামক ভবনের সামনে ব্রেক কষলেন চালক সাহেব। সেখান থেকে সামনে মেইন রোড পর্যন্ত সব গাড়ি একে অপরের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। এই পথে মাঝেমাঝেই এমন যানজট হয় সামনের রেলগেটের কারণে।
খেয়াল করলাম, মগবাজার ফ্লাইওভারের পেট দেখা যাচ্ছে ওপরে। যানবাহন নেই। দল ধরে মানুষ হাঁটছে। পতাকাবাহী একজনকে দেখে বুঝলাম এরা জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণের উদ্দেশে আগত লোকজন। কান থেকে এয়ারবাডস খুললাম। রিক্সাচালক ভদ্রলোক কিছু বলছেন। ‘মামা পয়সা লাগব না, আপনে রেল লাইন ধইরা হাইটা যানগা এই জ্যাম ছুটবো না’।
মেজাজ খারাপ হলো। মনে হলো জেদ দেখিয়ে ঘন্টাখানেক বসে থাকি। দেখি, যানজট ছোটে কিনা। কিন্তু সময় কম। অফিস পৌছানো জরুরি। তাঁকে ২০ টাকা দিয়ে সামনে হাঁটা শুরু করলাম। মেইন রোডে পৌঁছে তাঁর প্রতি রাগ কিছুটা প্রশমিত হলো। ভদ্রলোক ভালো কথাই বলেছেন। রাস্তায় জামায়েত নেতাকর্মী অনেক বেশি, ফলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।
রাস্তা পার হতে তেমন অসুবিধা হলো না। জামায়াতের স্লোগান দিতে দিতে সিরাজগঞ্জ থেকে জনসভায় আসা একটি জটলা বাংলামোটরের দিকে গেল। আমি মগবাজার রেলগেট থেকে রেললাইন ধরে কারওয়ানবাজারের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। কারণ এফডিসির দিক দিয়ে হেঁটে গেলে সময় আর শ্রম দুটোই বেশি লাগবে। রেললাইনের দুই পাশেই সমাবেশে আগত মানুষ দেখা গেল। তাঁদের মাথায় দলীয় কাপড় বাঁধা।
কারওয়ানবাজার রেলগেট এসে বাঁ পাশের ফুটপাত ধরে চার রাস্তার মাঝখানের ফোয়ারা বরাবর হাঁটতে থাকলাম। ঢাকার কোনো ব্যস্ত এলাকায় এত চওড়া ফাঁকা ফুটপাত কমই আছে। সোনারগাঁ হোটেলের প্রাচীর ধরে কেউ কেউ জটলা করে বসে খাবার খাচ্ছেন। বোঝা যাচ্ছে তাঁরা মুসাফির। দীর্ঘ সফর পার করে সমাবেশে এসেছেন। সোনারগাঁ হোটেলের দ্বিতীয় প্রবেশদ্বারের পাশে রেন্ট-এ কারের যাত্রী ছাউনি। সেখানে ঝিমাচ্ছেন তাদেরই কেউ কেউ। পাঞ্জাবির ওপরে সমাবেশের টি-শার্ট।
ফুটপাতের লাল ইট থেকে চোখ তুলে দেখলাম সামনে কারওয়ানবাজার ফোয়ারা চত্বর। পিপাসা পেয়েছে। পানি ফেরি করছে এমন কাউকে পেলাম না। সমাবেশে আগতদের মধ্যে একটা দলের খাবার বাড়তি হয়ে গেছে। পথিকদের সেসব বিলিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। দৃশ্যটা সুন্দর।
ফোয়ারার চারপাশের বিজ্ঞাপনের ডিসপ্লেগুলো ঢেকে গেছে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের প্রচারণার ব্যানারে। ৭ দফা দাবির কথা পড়লাম সেখানে। তার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় সব গণহত্যার বিচার চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ফোয়ারার পাশে চত্বরের ওপরেই ট্র্যাফিক পুলিশের ধাতব ছাতা। এর পাশে খুব উশকো-খুশকো এক লোকের হাতে মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের পতাকা। বাড়তি খাবারের একটা প্যাকেট তাঁকে দিতে চাইলেন সেই দলের লোকজন। লোকটি খাবার নিল না। কেন নিল না, কে জানে!
জুতার বাহারি দোকান সামনে, সেসব পেরিয়ে প্রথম গলিতেই অফিস। পকেট থেকে বের করে, এয়ারবাডস কানে লাগালাম। ইউটিউবের সাজেশন থেকে গণবিষাণের গান বাজছে—‘কোন দিক সাথী কোন দিক বল/কোন দিক বেছে নিবি তুই?’
ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শেখ নূর উদ্দিন আবির, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নাফিউল ইসলাম জীবন ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহিন বিশ্বাস এষা।
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্রদলের প্রার্থীরা এই শপথ ধারণ করে বলে শপথে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে প্রত্যেকের জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ কর্মকান্ডের মাধ্যমে শপথ বাস্তবায়ন করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগেশোকবার্তায় জানানো হয়, স্বাধীনচেতা, নির্ভীক কণ্ঠস্বরের এই বুদ্ধিজীবীর এই মুহূর্তে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া জনমনে হতাশার সৃষ্টি করেছে। জনগণের সম্মান ও নিদারুণ বেদনাকে মর্মে মর্মে উপলব্ধি এবং সেটিকে প্রতিবাদের ভাষায় মূর্ত করতে পারতেন বদরুদ্দীন উমর।
৫ ঘণ্টা আগে