leadT1ad

হাদির খুনিদের দ্রুত হস্তান্তরের দাবি, হামলা-ভাঙচুরের নিন্দা আসিফ মাহমুদের

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪০
আসিফ মাহমুদ। ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একই সঙ্গে তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে গণমাধ্যম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশের মানুষ আজ শোকাহত এবং তারা শরিফ ওসমান হাদিকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চায়। আমরাও এই বিচার চাই এবং আমরা ইতোমধ্যেই দাবি করেছি, যত দ্রুত সম্ভব হাদিকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।’

শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সাধারণ মানুষের নেমে আসার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই আবেগকে পুঁজি করে বিভাজন উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা দেখেছি গণমাধ্যম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন অনেক জায়গায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবেই এর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করছি।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে এসব হামলা ও ভ্যান্ডালিজম (ভাঙচুর) চালাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় আসিফ মাহমুদ দেশের জনগণকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সেনসিটিভ প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের যেন কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়, সেটা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’

সামনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যেন কেউ অনুপ্রবেশ করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

নিহত ওসমান হাদিকে ‘বীর’ হিসেবে অভিহিত করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘তিনি ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার ও ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক লড়াই শুরু করেছিলেন এবং যোগ্য মানুষ গড়ার যে স্বপ্ন দেখতেন, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’

সবশেষে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওসমান হাদিকে সামনে রেখে কেউ যেন বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও ভাঙচুরের রাজনীতি করতে না পারে এবং নিজেদের ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থ হাসিল করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত