জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করতে পারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করতে পারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টি নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় এক নেতা মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে প্রসিকিউশনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রসিকিউশনের একটি সূত্র স্ট্রিমকে জানান, আলোচনায় এনসিপির ওই নেতা প্রসিকিউশনের সদস্যের কাছে জানতে চান– আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হলে কীভাবে করতে হবে।
জবাবে ওই নেতাকে জানানো হয়, সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে অন্য একটি দলের করা অভিযোগের তদন্ত এরমধ্যে শুরু করেছেন। এনসিপি অভিযোগ করলে আগেরটির সঙ্গেই তদন্ত হতে পারে। এতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি আরও জোরালো হবে। আরও জানানো হয়, যে কেউ এই অভিযোগ দিতে পারবে। শহীদ পরিবার থেকেও অভিযোগ করা যাবে।
গত বছরের ২ অক্টোবর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর একটি অভিযোগ জমা দেন। সেখানে গণঅভ্যুত্থান দমনে সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শরিকদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার চাওয়া হয়।
এতে বলা হয়, গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের শরিক রাজনৈতিক দল-সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মেনন), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ ও জাতীয় পার্টি-জেপির বিরুদ্ধে দল হিসেবে গণহত্যার অভিযোগ গঠন করে তদন্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।
মামলাটির অগ্রগতি নিয়ে আজ সকালে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সংগঠন হিসেবে বিচারের মুখোমুখি করতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি তুলেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও। গত ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। কেননা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দলগতভাবে আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কারণ, অস্থায়ী সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগকে ট্যাকেল দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
নাহিদ আরও বলেন, আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাব। আদালতের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ এসেছে। কারণ রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে দলীয় প্রধান হিসেবে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হাসিনা। তাই জনগণই প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে রাজনৈতিকভাবে এটা আওয়ামী লীগের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ। এজন্য দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করতে পারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টি নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় এক নেতা মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে প্রসিকিউশনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রসিকিউশনের একটি সূত্র স্ট্রিমকে জানান, আলোচনায় এনসিপির ওই নেতা প্রসিকিউশনের সদস্যের কাছে জানতে চান– আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হলে কীভাবে করতে হবে।
জবাবে ওই নেতাকে জানানো হয়, সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে অন্য একটি দলের করা অভিযোগের তদন্ত এরমধ্যে শুরু করেছেন। এনসিপি অভিযোগ করলে আগেরটির সঙ্গেই তদন্ত হতে পারে। এতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি আরও জোরালো হবে। আরও জানানো হয়, যে কেউ এই অভিযোগ দিতে পারবে। শহীদ পরিবার থেকেও অভিযোগ করা যাবে।
গত বছরের ২ অক্টোবর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর একটি অভিযোগ জমা দেন। সেখানে গণঅভ্যুত্থান দমনে সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শরিকদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার চাওয়া হয়।
এতে বলা হয়, গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের শরিক রাজনৈতিক দল-সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মেনন), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ ও জাতীয় পার্টি-জেপির বিরুদ্ধে দল হিসেবে গণহত্যার অভিযোগ গঠন করে তদন্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।
মামলাটির অগ্রগতি নিয়ে আজ সকালে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সংগঠন হিসেবে বিচারের মুখোমুখি করতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি তুলেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও। গত ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। কেননা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দলগতভাবে আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কারণ, অস্থায়ী সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগকে ট্যাকেল দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
নাহিদ আরও বলেন, আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাব। আদালতের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ এসেছে। কারণ রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে দলীয় প্রধান হিসেবে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হাসিনা। তাই জনগণই প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে রাজনৈতিকভাবে এটা আওয়ামী লীগের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ। এজন্য দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রদল ৮ দফা ও ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল ৩৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
৪৪ মিনিট আগেইসি সূত্র মতে, জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মৌচাক শাখায় দলীয় হিসাব পরিচালনা করে থাকে। চিঠিতে হিসাব নম্বর, শাখার বিস্তারিত ঠিকানা, হিসাব খোলার তারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ইসিকে সরবরাহ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজা অভিমুখী জাহাজ থেকে আটক হওয়া বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
৫ ঘণ্টা আগেগত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রাজনীতিতে নানামুখী মেরুকরণ ঘটছে। বিএনপির এক সময়ের জোটসঙ্গী ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো স্বতন্ত্র নির্বাচনী জোট গড়ার চেষ্টা করছে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল সমঝোতার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
১ দিন আগে