leadT1ad

আমরা শিশুদের আয়ুর ভাগ নিচ্ছি: ফারুক ওয়াসিফ

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন, আমরা শিশুদের আয়ুর ভাগ নিয়ে চলছি। উপকূলীয় অঞ্চলের শিশুদের স্বাভাবিক একটা জীবনের জন্য অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫৮
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পিআইবি মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। ছবি: সংগৃহীত

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন, আমরা শিশুদের আয়ুর ভাগ নিয়ে চলছি। উপকূলীয় অঞ্চলের শিশুদের স্বাভাবিক একটা জীবনের জন্য অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় পিআইবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। উপকূলীয় শিশু ফোরাম এবং জাগ্রত যুব সংঘের (জেজেএস) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভাটির শিরোনাম ছিল ‘সংকটাপন্ন শৈশব: জলবায়ু পরিবর্তন ও উপকূলীয় শিশুদের উপর এর প্রভাব’।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ফারুক ওয়াসিফ আরও বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোকে আমরা জলবায়ু জাস্টিসের কথা বলি। আমদের নিজেদের দেশেও সেইসব জাস্টিসের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের এইসব সংকটকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যেখানে কথাগুলো শোনা হবে।’

সভায় উপকূলীয় শিশু ফোরামের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
সভায় উপকূলীয় শিশু ফোরামের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

সভায় উপস্থিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিমাই চন্দ্র দে সরকার বলেন, ‘শিশুদের জীবনযাপন যেমন দুর্যোগের প্রভাবে ব্যহত হচ্ছে তেমনি ভালো শিক্ষা থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছে। সভায় উপস্থিত শিশুরা বিভিন্ন প্ল্যানিংয়ে তাদের অংশগ্রহণ চেয়েছে, তাদের এই চাহিদা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করব। সামনে থেকে জাতীয় পরিকল্পনায় শিশুদের অংশগ্রহণের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব।’

জাগ্রত যুব সংঘের (জেজেএস) নির্বাহী পরিচালক এটিএম জাকির হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় শিশুরা বহুমুখী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শিশুদের উপস্থাপিত বিভিন্ন সংকট ও দাবির সঙ্গে সবাই একমত পোষণ করবেন বলে আশা রাখছি।’

সভায় উপকূলীয় শিশু ফোরামের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— সকল ঝুঁকিপূর্ণ শিশুর জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও আশ্রয়কেন্দ্রে নারী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় জরুরি পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা, উপকূলের শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য বিশেষ তহবিল গঠন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) পরিকল্পনা ও আলোচনায় শিশুদের অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব নিশ্চিত করা, সুন্দরবন ও নদনদীকে দখল ও দূষণমুক্ত রাখা, বেড়ি বাঁধ ভাঙন ও লবণাক্ততার কারণে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করা।’

সভায় অংশগ্রহণকারীরা উপকূলীয় শিশুদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত