স্ট্রিম প্রতিবেদক
যৌথভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও নির্বাচনী ঐক্য শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডের ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স অডিটরিয়ামে এ আলোচনা সভা হবে।
এবি পার্টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে, আপ বাংলাদেশকে রাজনৈতিক দল বলা হচ্ছে না। আপ বাংলাদেশ দল না হলেও বলা হচ্ছে ‘রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম’। চলতি বছরের ৯ মে ৮২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আপ বাংলাদেশ।
এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। অন্যদিকে, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আত্মপ্রকাশের আগে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক দুই নেতা আলী আহসান জুনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত। তবে এনসিপিতে যোগ না দিয়ে তাঁরা আলাদা প্ল্যাটফরম হিসেবে আপ বাংলাদেশ গঠন করেন। দুজনই এখন আছেন আপ বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ জনের অর্গানোগ্রামে।
অন্যদিকে, ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার করা হয় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জুকে। একইবছর ২৭ এপ্রিল শিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতির নেতৃত্বে ‘জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ নামে একটি মঞ্চের আত্মপ্রকাশ হয়।
পরে ২০২০ সালের মে মাসে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণার পাশাপাশি ২২২ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। নতুন দলের আহ্বায়ক হন জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগকারী নেতা এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যিনি ছিলেন একজন সাবেক সচিব। আর মঞ্জুকে ওই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাবেক শিবির নেতাদের দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক দলের যৌথ আয়োজন বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় কী ধরনের বার্তা দিচ্ছে! কেউ কেউ বলছেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে সাবেক শিবির নেতাদের দুই দলের যৌথ আয়োজনকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম আগামীকাল বৃহস্পতিবারের আলোচনা সভার একজন অতিথি। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে আর পরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন। রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতামূলক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমরা আগামীর বাংলাদেশকে দেখতে চাই। আপ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বে যেমন সাবেক শিবির নেতা রয়েছে আবার এবি পার্টির শীর্ষ পর্যায়েও রয়েছে সাবেক শিবির নেতা। তারা এখন সমঝোতার পর্যায়ে এসে আলোচনা সভা করছে— এটা ইতিবাচক।’
ভবিষ্যতে যদি সাবেক শিবির নেতাদের আরও ট্রান্সফর্মেশান হয় তাহলে সেটা আরও বেশি ইতিবাচক হবে বলে মনে করেন হাসনাত কাইয়ূম।
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল মো. দিদারুল আলম (অব.) স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি সামরিক বাহিনীর লোক, আগে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। ৫ আগস্টের পর সাবেক শিবির, সাবেক জামায়াত—বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ উঠেছে। এগুলোর কোনো মূল্য এখন নেই। ফ্যাসিবাদী চরিত্র ছাড়া অতীতে কে কী রাজনীতি করেছে এসব এখন অপ্রাসঙ্গিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘কে ডান, কে বাম—আমরা এসব বাইনারি রাজনীতির মধ্যে যেমন নাই, ঠিক তেমনি সাবেক শিবির দেখে অন্য কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এসেছে এসবেও আমরা বিশ্বাসী না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারে ইন্ডিয়ান বয়ান প্রতিষ্ঠা পেয়ে নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা হয়েছে। এখন আগের মতো এসব জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, জনগণ এসব বুঝে। নতুন বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্য যে কোনো ঘরানার রাজনৈতিক দলেরই সুসম্পর্ক থাকতে পারে। সবাই মিলে আমরা এরকম বাংলাদেশই দেখতে চাই।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন,‘সাবেক শিবির নেতাদের দুইটা সংগঠন এক সঙ্গে চলার দুইটা দিক হতে পারে। জামায়াতও তাদেরকে দলের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে আবার একেবারে জামায়াত থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবেও তারা কাজ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুইটা সংগঠনেরই জামায়াতের সঙ্গে ভিন্নতা আছে। আছে দেখেই তারা এখন আলাদা। তবে দল ভাঙনের পেছনে তৃতীয় শক্তির ইন্ধনও থাকতে পারে। আমি ষড়যন্ত্রও দেখি।’
আবার জামায়াত ইচ্ছাকৃতভাবেও দল দুটি করে থাকতে পারেও বলে জানান এই বিশ্লেষক।
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন একটা দল হলে সেখানে নানা ধরনের স্বার্থ জড়িত থাকে। জামায়াত তার স্বার্থের জন্যও এই দলগুলোর সাথে থাকতে পারে। তবে দুইটা দিকই আমি বিবেচেনায় নেবো। এক পক্ষে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।’
যৌথভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও নির্বাচনী ঐক্য শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডের ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স অডিটরিয়ামে এ আলোচনা সভা হবে।
এবি পার্টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে, আপ বাংলাদেশকে রাজনৈতিক দল বলা হচ্ছে না। আপ বাংলাদেশ দল না হলেও বলা হচ্ছে ‘রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম’। চলতি বছরের ৯ মে ৮২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আপ বাংলাদেশ।
এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। অন্যদিকে, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আত্মপ্রকাশের আগে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক দুই নেতা আলী আহসান জুনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত। তবে এনসিপিতে যোগ না দিয়ে তাঁরা আলাদা প্ল্যাটফরম হিসেবে আপ বাংলাদেশ গঠন করেন। দুজনই এখন আছেন আপ বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ জনের অর্গানোগ্রামে।
অন্যদিকে, ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার করা হয় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জুকে। একইবছর ২৭ এপ্রিল শিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতির নেতৃত্বে ‘জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ নামে একটি মঞ্চের আত্মপ্রকাশ হয়।
পরে ২০২০ সালের মে মাসে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণার পাশাপাশি ২২২ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। নতুন দলের আহ্বায়ক হন জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগকারী নেতা এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যিনি ছিলেন একজন সাবেক সচিব। আর মঞ্জুকে ওই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাবেক শিবির নেতাদের দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক দলের যৌথ আয়োজন বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় কী ধরনের বার্তা দিচ্ছে! কেউ কেউ বলছেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে সাবেক শিবির নেতাদের দুই দলের যৌথ আয়োজনকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম আগামীকাল বৃহস্পতিবারের আলোচনা সভার একজন অতিথি। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে আর পরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন। রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতামূলক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমরা আগামীর বাংলাদেশকে দেখতে চাই। আপ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বে যেমন সাবেক শিবির নেতা রয়েছে আবার এবি পার্টির শীর্ষ পর্যায়েও রয়েছে সাবেক শিবির নেতা। তারা এখন সমঝোতার পর্যায়ে এসে আলোচনা সভা করছে— এটা ইতিবাচক।’
ভবিষ্যতে যদি সাবেক শিবির নেতাদের আরও ট্রান্সফর্মেশান হয় তাহলে সেটা আরও বেশি ইতিবাচক হবে বলে মনে করেন হাসনাত কাইয়ূম।
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল মো. দিদারুল আলম (অব.) স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি সামরিক বাহিনীর লোক, আগে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। ৫ আগস্টের পর সাবেক শিবির, সাবেক জামায়াত—বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ উঠেছে। এগুলোর কোনো মূল্য এখন নেই। ফ্যাসিবাদী চরিত্র ছাড়া অতীতে কে কী রাজনীতি করেছে এসব এখন অপ্রাসঙ্গিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘কে ডান, কে বাম—আমরা এসব বাইনারি রাজনীতির মধ্যে যেমন নাই, ঠিক তেমনি সাবেক শিবির দেখে অন্য কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এসেছে এসবেও আমরা বিশ্বাসী না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারে ইন্ডিয়ান বয়ান প্রতিষ্ঠা পেয়ে নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা হয়েছে। এখন আগের মতো এসব জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, জনগণ এসব বুঝে। নতুন বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্য যে কোনো ঘরানার রাজনৈতিক দলেরই সুসম্পর্ক থাকতে পারে। সবাই মিলে আমরা এরকম বাংলাদেশই দেখতে চাই।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন,‘সাবেক শিবির নেতাদের দুইটা সংগঠন এক সঙ্গে চলার দুইটা দিক হতে পারে। জামায়াতও তাদেরকে দলের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে আবার একেবারে জামায়াত থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবেও তারা কাজ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুইটা সংগঠনেরই জামায়াতের সঙ্গে ভিন্নতা আছে। আছে দেখেই তারা এখন আলাদা। তবে দল ভাঙনের পেছনে তৃতীয় শক্তির ইন্ধনও থাকতে পারে। আমি ষড়যন্ত্রও দেখি।’
আবার জামায়াত ইচ্ছাকৃতভাবেও দল দুটি করে থাকতে পারেও বলে জানান এই বিশ্লেষক।
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন একটা দল হলে সেখানে নানা ধরনের স্বার্থ জড়িত থাকে। জামায়াত তার স্বার্থের জন্যও এই দলগুলোর সাথে থাকতে পারে। তবে দুইটা দিকই আমি বিবেচেনায় নেবো। এক পক্ষে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।’
“আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি; সামনে আরও অনেক উদ্যোগ আপনারা দেখতে পাবেন,” জামায়াত নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
৬ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যারা গণভোটের আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আলাপ তুলতে চায় তাদের আচরণ দুরভিসন্ধিমূলক।’
৮ ঘণ্টা আগেইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বৈঠকে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও তরুণদের সম্পৃক্ততাসহ ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক দর্শন, দলীয় কাঠামো, চলমান কার্যক্রম ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
৮ ঘণ্টা আগেআমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির পাঁচ জেলা কমিটি হঠাৎ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা পাঁচটি হচ্ছে— লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও কক্সবাজার জেলা।
৯ ঘণ্টা আগে