জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখতে পাচ্ছি—তাঁরা কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখতে পাচ্ছি—তাঁরা কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো। এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি সরকার কাজ করতে পারে না। তাঁরা এত শহীদের রক্তের উপর ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। এখন তাঁরা জীবন নিয়ে যদি থ্রেটের চিন্তা করেন তাহলে তাঁদের ওই দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল না। সুতরাং কথা স্পষ্ট, তাঁরা যদি এত ত্যাগ ভুলে গিয়ে শুধু ওইটুকু চেষ্টা করে, সবাই না, কিছু উপদেষ্টা। তাঁরা যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারবে না। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোথায় সেফ এক্সিট? সেফ এক্সিট তো একমাত্র মৃত্যু। মৃত্যু ছাড়া তো মানুষের সেফ এক্সিট নেই। দেশ থেকে পালায় যাবেন, ওখানেও আপনাকে মানুষ আটকাবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের ওই মন্ত্রী, এমপি, জেলা, উপজেলার যারা সভাপতি-সেক্রেটারি ছিল, যারা বড় বড় চেয়ারম্যান ছিল তাদেরকে নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানায়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করছে তা আপনারা প্রত্যেকেই ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোঁজা, যারা হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানালো, সেই সুযোগ তাদেরকে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষরা একত্রিত হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।
প্রতীক নিয়ে আইনগত বাধা না থাকার কথা উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজেটিভ ছাড়া পাচ্ছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে। এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে— সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে, তখন দাবি, চিন্তাভাবনা, দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো মিলে যায়। তখন জনগণের হয়ে একসাথে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া হতেই পারে। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, উনি বলেছেন— ওনার যে ভাইকে দেশে রেখে এসেছিলেন দেশে গিয়ে আর তাঁকে দেখতে পারবেন না, যে ঘরে সারা জীবনের স্মৃতি সেই ঘরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। উনি যে সুস্থ মাকে দেখে গিয়েছিলেন তাঁকে অসুস্থ করে ফেলা হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই প্রত্যেকটা বিষয়ের সঙ্গে আমাদের সহমর্মিতা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে আমরা আর এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশা করি না।
সারজিস আলম বলেন, এই যে ব্যথা-বেদনা, তাঁরটা (তারেক রহমানের) আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, তাঁর এরকম হাজার হাজার নেতাকর্মীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁদের ব্যথা-বেদনাগুলো যেন স্থানীয় পর্যায়ে প্রকাশ হয় এবং যাঁরা করেছে তাদের বিচার হয়। এগুলো কে করেছে? আওয়ামী লীগ করেছে। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের অর্থের বিনিময়ে অথবা কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময় যেনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। বিএনপির সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ে পর্যন্ত তাঁরা যেন এ বিষয়টিতে কঠোর থাকে। আবার যদি আওয়ামী লীগ কোনোদিন ফিরে আসে তারা কেউ মাফ পাবে না। সুতরাং আমরা এই আহ্বানটুকু জানাই। তাঁর ব্যথার সঙ্গে আমরাও সমব্যথী। আমরা চাই, ওই খুনিরা আর যেন কোনোভাবেই দেশে আশ্রিত না হয়।
সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখতে পাচ্ছি—তাঁরা কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো। এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি সরকার কাজ করতে পারে না। তাঁরা এত শহীদের রক্তের উপর ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। এখন তাঁরা জীবন নিয়ে যদি থ্রেটের চিন্তা করেন তাহলে তাঁদের ওই দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল না। সুতরাং কথা স্পষ্ট, তাঁরা যদি এত ত্যাগ ভুলে গিয়ে শুধু ওইটুকু চেষ্টা করে, সবাই না, কিছু উপদেষ্টা। তাঁরা যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারবে না। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোথায় সেফ এক্সিট? সেফ এক্সিট তো একমাত্র মৃত্যু। মৃত্যু ছাড়া তো মানুষের সেফ এক্সিট নেই। দেশ থেকে পালায় যাবেন, ওখানেও আপনাকে মানুষ আটকাবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের ওই মন্ত্রী, এমপি, জেলা, উপজেলার যারা সভাপতি-সেক্রেটারি ছিল, যারা বড় বড় চেয়ারম্যান ছিল তাদেরকে নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানায়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করছে তা আপনারা প্রত্যেকেই ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোঁজা, যারা হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানালো, সেই সুযোগ তাদেরকে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষরা একত্রিত হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।
প্রতীক নিয়ে আইনগত বাধা না থাকার কথা উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজেটিভ ছাড়া পাচ্ছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে। এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে— সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে, তখন দাবি, চিন্তাভাবনা, দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো মিলে যায়। তখন জনগণের হয়ে একসাথে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া হতেই পারে। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, উনি বলেছেন— ওনার যে ভাইকে দেশে রেখে এসেছিলেন দেশে গিয়ে আর তাঁকে দেখতে পারবেন না, যে ঘরে সারা জীবনের স্মৃতি সেই ঘরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। উনি যে সুস্থ মাকে দেখে গিয়েছিলেন তাঁকে অসুস্থ করে ফেলা হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই প্রত্যেকটা বিষয়ের সঙ্গে আমাদের সহমর্মিতা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে আমরা আর এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশা করি না।
সারজিস আলম বলেন, এই যে ব্যথা-বেদনা, তাঁরটা (তারেক রহমানের) আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, তাঁর এরকম হাজার হাজার নেতাকর্মীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁদের ব্যথা-বেদনাগুলো যেন স্থানীয় পর্যায়ে প্রকাশ হয় এবং যাঁরা করেছে তাদের বিচার হয়। এগুলো কে করেছে? আওয়ামী লীগ করেছে। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের অর্থের বিনিময়ে অথবা কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময় যেনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। বিএনপির সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ে পর্যন্ত তাঁরা যেন এ বিষয়টিতে কঠোর থাকে। আবার যদি আওয়ামী লীগ কোনোদিন ফিরে আসে তারা কেউ মাফ পাবে না। সুতরাং আমরা এই আহ্বানটুকু জানাই। তাঁর ব্যথার সঙ্গে আমরাও সমব্যথী। আমরা চাই, ওই খুনিরা আর যেন কোনোভাবেই দেশে আশ্রিত না হয়।
সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ২ অক্টোবর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর একটি অভিযোগ জমা দেন। সেখানে গণঅভ্যুত্থান দমনে সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শরিকদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার চাওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেগত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রাজনীতিতে নানামুখী মেরুকরণ ঘটছে। বিএনপির এক সময়ের জোটসঙ্গী ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো স্বতন্ত্র নির্বাচনী জোট গড়ার চেষ্টা করছে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল সমঝোতার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজেকে রাষ্ট্রগঠনের পক্ষের মানুষ দাবি করে মাহফুজ আলম বলেন, ফ্যাসিবাদী সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের সামনে একটি ইতিবাচক বিকল্প উপস্থাপন করতে হবে। তা করতে না পারলে জনগণ পুরোনো সাংস্কৃতিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যভিত্তিক এই বিএনপি নেতা আরও বলেছেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে পরিচালিত যে আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন ঘটে, সেটির পূর্ণতা আসবে কেবল একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে। ‘আমরা নিশ্চিত, আমরা জিতব,’ বলেছেন তারেক রহমান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস-কে দেওয়া তাঁর প্রথম স
৪ ঘণ্টা আগে