মারুফ মল্লিক

(এই লেখা মারুফ মল্লিকের একটি সাক্ষাতকারের চুম্বক অংশ। সম্পূর্ণ সাক্ষাতকারটির লিংক দেওয়া আছে)
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার পরিচয় বহুমাত্রিক। তিনি একজন রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একটি বড় দলের চেয়ারপার্সন। কিন্তু এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে তার যে পরিচয়টি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়, তা হলো—তিনি একজন নিখাদ জাতীয়তাবাদী। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও কর্মের গভীরে প্রোথিত ছিল রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার ধারণা। জাতিকেন্দ্রিক বা গোষ্ঠীভিত্তিক জাতীয়তাবাদের সংকীর্ণ গণ্ডি পেরিয়ে তিনি রাষ্ট্রভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে ধারণ করেছিলেন, যেখানে দেশের স্বার্থই ছিল শেষ কথা।
রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই—এই বহুল প্রচলিত ধারণাকে তিনি ভুল প্রমাণ করেছেন। তাঁর কাছে রাজনীতিতে শেষ কথা ছিল দেশের পক্ষে, মানুষের পক্ষে এবং রাষ্ট্রের পক্ষে অবিচল থাকা। এই আদর্শের প্রতি তার অবিচলতাই তাকে পরিণত করেছিল এক অনন্য নেতৃত্বে। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও দেশের জন্য তার অবদানকে স্মরণ করা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার আগমন কোনো প্রথাগত পথে হয়নি। ছাত্র রাজনীতি বা তৃণমূল থেকে ধাপে ধাপে উঠে আসা কোনো নেতা তিনি ছিলেন না। স্বামী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর সাদামাটা পারিবারিক জীবন থেকে তিনি এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে রাজনীতির ময়দানে আসেন। একজন আনকোরা হিসেবে যাত্রা শুরু করে তিনি যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তা এককথায় অসাধারণ। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলেন অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত। তাদের তুলনায় তিনি নিজেকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর ‘আপসহীন’ মনোভাব। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি অটল থেকেছেন। এরশাদের শাসনামলে এবং পরবর্তীতে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়—দুইবারই তাঁর সামনে দেশত্যাগের সুযোগ কিংবা প্রলোভন এসেছিল। কিন্তু তিনি দেশের মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন। এমনকি যখন তিনি জানতেন যে দেশে ফিরলে নিশ্চিত জেল হবে, তখনও চিকিৎসা শেষে বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। দেশের প্রতি এই নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং জনগণের কাছে থাকার এই তীব্র আকাঙ্ক্ষাই তাকে সাধারণ রাজনীতিবিদদের থেকে আলাদা করেছে। তার কাছে দেশ ছিল তার তৃতীয় সন্তানের মতো, যাকে সব ব্যক্তিগত সংকট ও কষ্টের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। এই দেশপ্রেমই তাকে পারিবারিক ও রাজনৈতিক সব সংকট মোকাবেলার শক্তি জুগিয়েছে।
তবে খালেদা জিয়া কেবল একজন আপসহীন নেত্রীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দুই মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন এসেছিল। তাঁর শাসনামলে দেশের অর্থনীতির ‘খোলনলচে’ বদলে গিয়েছিল। তিনি যখন ১৯৯১ সালে দায়িত্ব নেন, তখন দেশে সচল গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৫০টি। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতা ছাড়েন, সেই সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারে উন্নীত হয়। এই শিল্প বিপ্লব কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনেনি, এটি দেশের সামাজিক কাঠামোতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশের হাত ধরে বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। গ্রামের লাখ লাখ নারী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন, যা তাদের পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি, তার সরকার মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও ‘খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা’ কর্মসূচির মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে একদিকে যেমন শিক্ষার হার বাড়ে, ঝরে পড়ার হার কমে, তেমনই বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধিও অনেকাংশে হ্রাস পায়। এই নীতিগুলোর ফলস্বরূপ দেশে একটি নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ঘটে, যাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং জীবনযাত্রায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দুর্ভাগ্য ছিল যে, ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় তাঁকে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ এবং নিম্নমানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। দেশের তথাকথিত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক এলিট এবং গণমাধ্যমও তাঁর প্রতি বরাবরই বিরূপ ছিল। প্রতিনিয়ত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও টিটকারির শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এই সবকিছুকে অতিক্রম করে তিনি সরাসরি জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছিলেন। তার স্বল্পভাষী, সংযত ও শালীন রাজনৈতিক আচরণ তাকে শুধুমাত্র বিএনপির নেত্রী হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং তিনি হয়ে উঠেছিলেন দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের নেতা। তার অসামান্য জনপ্রিয়তার প্রমাণ মেলে তার অপরাজিত নির্বাচনী রেকর্ডে। তিনি কেবল নিজের নিরাপদ আসনেই জেতেননি, দলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ আসনে দাঁড়িয়েও বিজয়ী হয়েছেন, যা তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিশমার প্রমাণ।
একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে খালেদা জিয়ার অবদান দুটি। এক, তিনি দেখিয়েছেন যে আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন থেকেও রাজনীতিতে সফল হওয়া যায়। দুই, তাঁর নেতৃত্বে গৃহীত নীতিগুলো বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি টেকসই মডেল তৈরি করেছে। তাঁর কাজগুলোই তাঁর নেতৃত্বের গভীরতা ও দূরদর্শিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি একজন বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি দেশপ্রেম, আদর্শ এবং উন্নয়নকে একসূত্রে গাঁথতে পেরেছিলেন।
মারুফ মল্লিক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ইউটিউব লিংক - https://www.youtube.com/watch?v=8magX19Cn1U&t=64s

(এই লেখা মারুফ মল্লিকের একটি সাক্ষাতকারের চুম্বক অংশ। সম্পূর্ণ সাক্ষাতকারটির লিংক দেওয়া আছে)
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার পরিচয় বহুমাত্রিক। তিনি একজন রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একটি বড় দলের চেয়ারপার্সন। কিন্তু এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে তার যে পরিচয়টি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়, তা হলো—তিনি একজন নিখাদ জাতীয়তাবাদী। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও কর্মের গভীরে প্রোথিত ছিল রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার ধারণা। জাতিকেন্দ্রিক বা গোষ্ঠীভিত্তিক জাতীয়তাবাদের সংকীর্ণ গণ্ডি পেরিয়ে তিনি রাষ্ট্রভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে ধারণ করেছিলেন, যেখানে দেশের স্বার্থই ছিল শেষ কথা।
রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই—এই বহুল প্রচলিত ধারণাকে তিনি ভুল প্রমাণ করেছেন। তাঁর কাছে রাজনীতিতে শেষ কথা ছিল দেশের পক্ষে, মানুষের পক্ষে এবং রাষ্ট্রের পক্ষে অবিচল থাকা। এই আদর্শের প্রতি তার অবিচলতাই তাকে পরিণত করেছিল এক অনন্য নেতৃত্বে। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও দেশের জন্য তার অবদানকে স্মরণ করা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার আগমন কোনো প্রথাগত পথে হয়নি। ছাত্র রাজনীতি বা তৃণমূল থেকে ধাপে ধাপে উঠে আসা কোনো নেতা তিনি ছিলেন না। স্বামী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর সাদামাটা পারিবারিক জীবন থেকে তিনি এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে রাজনীতির ময়দানে আসেন। একজন আনকোরা হিসেবে যাত্রা শুরু করে তিনি যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তা এককথায় অসাধারণ। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলেন অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত। তাদের তুলনায় তিনি নিজেকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর ‘আপসহীন’ মনোভাব। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি অটল থেকেছেন। এরশাদের শাসনামলে এবং পরবর্তীতে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়—দুইবারই তাঁর সামনে দেশত্যাগের সুযোগ কিংবা প্রলোভন এসেছিল। কিন্তু তিনি দেশের মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন। এমনকি যখন তিনি জানতেন যে দেশে ফিরলে নিশ্চিত জেল হবে, তখনও চিকিৎসা শেষে বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। দেশের প্রতি এই নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং জনগণের কাছে থাকার এই তীব্র আকাঙ্ক্ষাই তাকে সাধারণ রাজনীতিবিদদের থেকে আলাদা করেছে। তার কাছে দেশ ছিল তার তৃতীয় সন্তানের মতো, যাকে সব ব্যক্তিগত সংকট ও কষ্টের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। এই দেশপ্রেমই তাকে পারিবারিক ও রাজনৈতিক সব সংকট মোকাবেলার শক্তি জুগিয়েছে।
তবে খালেদা জিয়া কেবল একজন আপসহীন নেত্রীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দুই মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন এসেছিল। তাঁর শাসনামলে দেশের অর্থনীতির ‘খোলনলচে’ বদলে গিয়েছিল। তিনি যখন ১৯৯১ সালে দায়িত্ব নেন, তখন দেশে সচল গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৫০টি। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতা ছাড়েন, সেই সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারে উন্নীত হয়। এই শিল্প বিপ্লব কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনেনি, এটি দেশের সামাজিক কাঠামোতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশের হাত ধরে বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। গ্রামের লাখ লাখ নারী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন, যা তাদের পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি, তার সরকার মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও ‘খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা’ কর্মসূচির মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে একদিকে যেমন শিক্ষার হার বাড়ে, ঝরে পড়ার হার কমে, তেমনই বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধিও অনেকাংশে হ্রাস পায়। এই নীতিগুলোর ফলস্বরূপ দেশে একটি নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ঘটে, যাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং জীবনযাত্রায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দুর্ভাগ্য ছিল যে, ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় তাঁকে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ এবং নিম্নমানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। দেশের তথাকথিত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক এলিট এবং গণমাধ্যমও তাঁর প্রতি বরাবরই বিরূপ ছিল। প্রতিনিয়ত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও টিটকারির শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এই সবকিছুকে অতিক্রম করে তিনি সরাসরি জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছিলেন। তার স্বল্পভাষী, সংযত ও শালীন রাজনৈতিক আচরণ তাকে শুধুমাত্র বিএনপির নেত্রী হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং তিনি হয়ে উঠেছিলেন দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের নেতা। তার অসামান্য জনপ্রিয়তার প্রমাণ মেলে তার অপরাজিত নির্বাচনী রেকর্ডে। তিনি কেবল নিজের নিরাপদ আসনেই জেতেননি, দলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ আসনে দাঁড়িয়েও বিজয়ী হয়েছেন, যা তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিশমার প্রমাণ।
একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে খালেদা জিয়ার অবদান দুটি। এক, তিনি দেখিয়েছেন যে আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন থেকেও রাজনীতিতে সফল হওয়া যায়। দুই, তাঁর নেতৃত্বে গৃহীত নীতিগুলো বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি টেকসই মডেল তৈরি করেছে। তাঁর কাজগুলোই তাঁর নেতৃত্বের গভীরতা ও দূরদর্শিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি একজন বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি দেশপ্রেম, আদর্শ এবং উন্নয়নকে একসূত্রে গাঁথতে পেরেছিলেন।
মারুফ মল্লিক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ইউটিউব লিংক - https://www.youtube.com/watch?v=8magX19Cn1U&t=64s

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আজ এক অভূতপূর্ব রূপান্তরের পথে। প্রযুক্তির ঝড়ো স্রোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই হয়ে উঠেছে পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। সংসদে ২০২৪ সালে পাস হওয়া পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ডিজিটাল ব্যাংক গাইডলাইন ব্যাংকিং খাতকে নতুন কাঠামোয় বেঁধে দিয়েছে।
১ দিন আগে
গণতন্ত্রের পথে তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম, অবিচল মনোভাব, আপসহীন নেতৃত্ব এবং জনগণের প্রতি অকৃত্রিম দায়বদ্ধতা তাঁকে একজন পার্টি লিডার থেকে ‘ন্যাশনাল লিডার’ বা জাতীয় নেতায় রূপান্তরিত করেছে। তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার এক কেন্দ্রীয় চরিত্র, যিনি সংকটের মুহূর্তে রাজনীতিকে নতুন পথ দেখিয়েছেন।
২ দিন আগে
বর্তমান অর্থনীতির অবস্থাকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। প্রথমটি হলো সামষ্টিক স্থিতিশীলতা, যা ৫ আগস্টের আগে বেশ কয়েক বছর ধরেই একটি সংকটের মধ্যে ছিল। দ্বিতীয়টি হলো অর্থনীতির সার্বিক কর্মচাঞ্চল্য বা গতিশীলতা।
২ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিনের অলিগার্কি বা মুষ্টিমেয় লোকের আধিপত্য ভাঙা হয়েছে। আগে দেখা যেত ব্যাংকের মালিক, শিল্পপতি, সংসদ সদস্য এবং গণমাধ্যমের মালিক—সবাই মূলত একই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। এই সিন্ডিকেটের অনেকেই এখন পলাতক।
৪ দিন আগে