leadT1ad

টাকার মান কমায় বাড়ছে উদ্বেগ, করণীয় কী

শোয়েব সাম্য সিদ্দিক
শোয়েব সাম্য সিদ্দিক

স্ট্রিম গ্রাফিক

কাগজ-কলমে দেশের অর্থনীতিকে যতই ঊর্ধ্বগতির দেখানো হোক, বাজারে গিয়ে তার আলাদা চেহারাটাই দেখা যায়। বাজারে ঢুকলেই বোঝা যায়, কীভাবে টাকার দুর্বলতা নীরবে মানুষের দৈনন্দিনকে বদলে দেয়। চাল, ডাল, তেল, ভাড়া, চিকিৎসা সবকিছুরই হিসাব ক্রমেই ভারী হয়ে উঠছে। বাস্তবতা হলো মুদ্রার শক্তি বা দুর্বলতা কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিতে আটকে থাকে না, তা প্রভাব ফেলে একটা দেশের আস্থা, নাগরিকের মানসিক অবস্থা, ব্যবসার বিনিয়োগ পরিকল্পনা এমনকি ভবিষ্যৎ বিষয়ক কল্পনায়ও। আমরা দেখতে পাই যে বছরের শুরু থেকেই টাকার মান বারবার পশ্চাদপসরণ করেছে। এই পশ্চাদপসরণ শুধু বৈদেশিক মুদ্রার দামে নয়, মানুষের ক্রয়ক্ষমতার টেবিলে গিয়ে বসেছে। নিঃসন্দেহে বলা যায় টাকার গল্প আজ খাঁটি অর্থনীতির গল্পের সঙ্গে নাগরিক জীবনের গল্পকেও একই সুতোয় গেঁথে ফেলেছে।

বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর দেশ। তাই টাকার দামে সামান্য ওঠানামা হলেই পণ্যের দামে বড় ঢেউ লাগে। সেই ঢেউ গিয়ে লাগে বাজারে, আছড়ে পড়ে মানুষের ঘাড়ে। নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত—সবাই এর ধাক্কা খায়। কেউ মাসের প্রথম সপ্তাহেই টের পান, হাতে থাকা টাকায় মাসের বাজারের হিসাব আর মেলে না। কেউ আবার ঋণের কিস্তি দিতে গিয়ে দম আটকে ফেলেন। টাকার দুর্বলতা যেন এক হাতে দাম বাড়ায়, আরেক হাতে নতুন খরচ ঠেলে দেয়। পরিসংখ্যান বলছে, মূল্যস্ফীতি অনেক দিন ধরে উঁচুতেই। কিন্তু সংখ্যার বাইরে বেরিয়ে বাজারে দাঁড়ালে বোঝা যায়, এই অস্থিরতা কাগজে যতটা ঠান্ডা, জীবনে তার উত্তাপ ততটাই তীব্র।

অভিজ্ঞতা দেখায় দাম কমতে যতটা সময় নেয় তার চেয়ে অনেক দ্রুত বেড়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষের মনে জন্মায় এক ধরনের স্থায়ী উৎকণ্ঠা। আগামী মাসে কী হবে, ছেলের স্কুল ফি দিতে পারব তো, মায়ের ওষুধ জোগাড় হবে তো—এসব প্রশ্ন এখন আর বাড়ির ভেতর সীমাবদ্ধ থাকে না অফিস, গণপরিবহন, চায়ের দোকান সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়।

তৈরি পোশাকই যদি মুখ্য ভরসা হয় তবে বৈশ্বিক বাজারে একটুখানি ধাক্কাতেই দেশীয় কারখানার নড়বড়ে অবস্থা ধরা পড়ে। তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্ডারের ওঠানামা, জ্বালানির খরচ, শিপমেন্টের জট, সব মিলিয়ে ব্যয়ের ওপর যে বাড়তি চাপ তৈরি হয় তা পরবর্তী সময়ে পণ্যমূল্যে সঞ্চারিত হয় আর চক্রটা আবার ফিরে আসে মানুষের দৈনন্দিন টেবিলে।

এর পেছনে কারণ হিসেবে যে কয়েকটি বিষয় বারবার সামনে আসে তার একটি বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের চাপ। মজুত কমে গেলে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানির বিল মেটাতে বেশি সতর্ক হতে বাধ্য হয়। এই সতর্কতা ব্যবসার চক্রে ধীর গতি আনে, কাঁচামাল ঢুকতে দেরি হয়, উৎপাদন পরিকল্পনা ভেঙে পড়ে।

আবার রপ্তানির অস্থিরতা এই সমস্যাকে ঘনীভূত করে। তৈরি পোশাকই যদি মুখ্য ভরসা হয় তবে বৈশ্বিক বাজারে একটুখানি ধাক্কাতেই দেশীয় কারখানার নড়বড়ে অবস্থা ধরা পড়ে। তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্ডারের ওঠানামা, জ্বালানির খরচ, শিপমেন্টের জট, সব মিলিয়ে ব্যয়ের ওপর যে বাড়তি চাপ তৈরি হয় তা পরবর্তী সময়ে পণ্যমূল্যে সঞ্চারিত হয় আর চক্রটা আবার ফিরে আসে মানুষের দৈনন্দিন টেবিলে।

অন্যদিকে দুর্বল মুদ্রা বিদেশি ঋণের হিসাবকে কড়াকড়ি করে তোলে। ঋণ যখন ডলারে ধরা হয় তখন পরিশোধের দিন কাছে এলে স্থানীয় মুদ্রার যে আঘাত লাগে তা কেবল টাকাতেই মাপা যায় না, তা মাপে আস্থার সূচকেও। বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষায় থাকেন দেখবেন নীতিগত সিগন্যাল কোথায় যায়। যদিও বিনিয়োগ অনেক সময় ঝুঁকির ভেতর দিয়েই এগোয় তবুও অস্থিরতা বেশি হলে পুঁজি অপেক্ষা বেছে নেয়। ফলে নতুন মেশিন আসে না, নতুন কর্মসংস্থান তৈরির উদ্যোগ পিছিয়ে যায়।

বিপরীতে দেখা যায় যে টাকার স্থিরতা বজায় থাকলে এবং ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতার বার্তা গেলে বিনিয়োগ এগোতে চায়, এমনকি কঠিন সময়েও। এই মানসিক টানাপোড়েনটাই আসলে অর্থনীতির ভেতরে বড় ভূমিকা রাখে। নীতির কাগজে সেটা দেখা যায় না, কিন্তু বোঝা যায় কারখানার ভেতর দাঁড়ালে, দেখা যায় উদ্যোক্তার চোখে—যেখানে সিদ্ধান্ত থেমে থাকে অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে।

রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কার না ঘটলে, বাজেটের ব্যয় যদি লক্ষ্যভেদী না হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি নীতিনির্ধারণে যথেষ্ট স্বাধীনতার বাতাস না পায়, তাহলে টাকার ওপর চাপ কমে না। আমি মনে করি স্বচ্ছতা আর শৃঙ্খলার দুই হাত ধরেই এগোতে হবে।

তবে মনে রাখা দরকার দুর্বল মুদ্রা নিয়ে একটা জনপ্রিয় যুক্তি হলো, এতে দেশের রপ্তানির প্রবণতা বাড়ে। তাত্ত্বিকভাবে দাম কমলে বিদেশি ক্রেতা আগ্রহী হয়, কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় উৎপাদনের বহু উপকরণ আমদানি করতে হয়। জ্বালানি, রাসায়নিক, যন্ত্রাংশ, খুচরা যন্ত্র, অনেক কাঁচামালের দাম অচিরেই বেড়ে যায়। ফলে যেটুকু দর কষাকষির সুবিধা মিলতে পারত সেটুকু খেয়ে নেয় আমদানির বাড়তি খরচ। বরং এখানে প্রয়োজন হয় উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, প্রযুক্তিতে দক্ষতা, জ্বালানি ব্যবহারে সচেতনতা, পণ্যমান উন্নয়ন ও বাজারের বৈচিত্র্য। এগুলো পেলে দুর্বল মুদ্রার সম্ভাব্য ক্ষতি কিছুটা হলেও ঠেকানো যায়, আর শক্তিশালী মুদ্রার সময়ে তা বাড়তি সুবিধায় রূপ নেয়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কার না ঘটলে, বাজেটের ব্যয় যদি লক্ষ্যভেদী না হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি নীতিনির্ধারণে যথেষ্ট স্বাধীনতার বাতাস না পায়, তাহলে টাকার ওপর চাপ কমে না। আমি মনে করি স্বচ্ছতা আর শৃঙ্খলার দুই হাত ধরেই এগোতে হবে। কর জালে ন্যায্য বিস্তার, ভর্তুকির বুদ্ধিমান টার্গেটিং, অপচয় রোধ, অবকাঠামোয় গুণগত বিনিয়োগ, আর সামাজিক নিরাপত্তায় যথাযথ অগ্রাধিকার এই মিলিত পথেই আস্থা ফেরে। আস্থা ফিরলে রপ্তানিকারক সময়মতো রফতানির আয় আনতে আগ্রহী হয়, প্রবাসী আয় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে প্রবাহ বাড়ায়, বিনিয়োগকারী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় সাহস পায়।

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে একই সঙ্গে নিজেদের ভিত শক্ত করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ, কৃষি-প্রক্রিয়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, এমনকি ক্রিয়েটিভ সার্ভিস এসব খাতে বাজার খোঁজার সাহস দেখাতে হবে। তৈরি পোশাক আমাদের গর্ব অবশ্যই কিন্তু এক ফসলের মাঠে বারবার বন্যা নামলে ক্ষয়ক্ষতি থামে না। এর পেছনে কারণ কেবল বৈশ্বিক চাহিদা নয়, আমাদের নিজেদের সক্ষমতারও পরীক্ষা। দক্ষ জনবল তৈরি, গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ, মান নিয়ন্ত্রণে আপসহীনতা, এগুলো ছাড়া নতুন বাজারে দাঁড়ানো কঠিন। আর নতুন বাজারে দাঁড়াতে পারলেই বৈদেশিক মুদ্রার ঝর্ণাধারা একটু একটু করে স্থায়ী নদীতে গড়ায়।

এখন দরকার বড় বড় কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দেওয়ার। স্বল্পমেয়াদি সাফল্যের মোহ ছেড়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রজ্ঞায় ভরসা রাখলে, দায়িত্ব ভাগ হবে, কিন্তু দায় কেউ এড়াবে না। তবেই টাকার পতনের ছায়া সরে গিয়ে ভোরের আলো দেখা দেবে।

এই কথাগুলো বলার সময় মনে রাখতে হয় সাধারণ মানুষদের। পরিবারের বাজেটে যে সংকোচন এসেছে তা কেবল ধার নিয়ে সামাল দেওয়া যায় না। প্রয়োজন আর্থিক শিক্ষার সহজ ভাষা, ছোট সঞ্চয়ের নিরাপদ পথ, সুলভ স্বাস্থ্যবিমা, শিক্ষায় লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা। সরকার যদি মুদ্রাস্ফীতির উত্তাপে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে সময়মতো দাঁড়ায়, বাজার তদারকিতে দৃঢ় থাকে, নিত্যপণ্যে সরবরাহ নিশ্চিত রাখে, তাহলে টাকার দুর্বলতার তাত্ক্ষণিক ব্যথা কিছুটা কমে। মানুষ যদি দেখে রাষ্ট্র তাদের পাশে আছে, তারা আবারও আস্থার টেবিলে ফিরে আসে, ক্রয়বিলম্ব আর আতঙ্ক কমে।

আন্তর্জাতিক বাস্তবতা থেকেও চোখ সরানো যায় না। জ্বালানির ঝাঁপ, ভূরাজনীতির টানাপোড়েন, বাণিজ্যপথের বিঘ্ন, বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির ঢেউ, এসব বাংলাদেশের মতো দেশে অতিসংবেদনশীল ঢেউ তোলে। তাই একার শক্তিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে যখন জোয়ার নামে তখন আঞ্চলিক সহযোগিতার হাত ধরতে হয়। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি, কৌশলগত রিজার্ভ গঠন, সীমান্ত বাণিজ্যে সুবিধা ইত্যাদি বাস্তব পদক্ষেপ নিলে বাইরের ঝড় ঢোকার পথ কিছুটা সরু হয়।

অভিজ্ঞতা দেখায় পরিকল্পিত বৈদেশিক সহায়তা সঠিক খাতে গেলে চাপ কমে, আর অবিমৃশ্যকারিতায় গেলে কিস্তির বোঝা বেড়ে ফের টাকার ঘারে এসে বসে।

যদিও আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জের তালিকা বড়, তবুও আশার জায়গাও কম নয়। তরুণ জনসংখ্যা এখনো আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাদের দক্ষতা বাড়ানোর বিনিয়োগই দীর্ঘমেয়াদে মুদ্রার শক্তি বাড়ায়। প্রযুক্তি শিক্ষায় জোর, কারিগরি প্রশিক্ষণের আধুনিকীকরণ, নারীশক্তির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ, এগুলো মিলেই টাকার গল্পে নতুন অধ্যায় লেখে। যখন উন্নয়নের মানে হয় মেধা, উদ্ভাবন আর ন্যায়—তখন টাকার দাম শুধু মুদ্রাবাজারে নয়, মানুষের জীবনে প্রতিফলিত হয়।

টাকার ভবিষ্যৎকে শক্তিশালী করার পথ একদিনের নয়, কিন্তু প্রতিদিনের। প্রতিটি ছোটো আস্থা ফিরে পাওয়া, প্রতিটি সুশীল নীতি প্রয়োগ, প্রতিটি সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত, প্রতিটি ন্যায্য হিসাবনিকাশ যোগ হয়ে বড় ছবিটা বদলায়।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে এইসব কথা কি কেবল নীতিগত স্লোগান, নাকি মাঠে তার বাস্তব রেখাচিত্র এঁকে ফেলা যায়। আমার মতে উত্তরটা মাঝামাঝি। কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্তই জরুরি, যেমন অর্থবছরের শুরুতেই বাস্তবসম্মত বিনিময় হার নীতি, রেমিট্যান্সে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের আকর্ষণ বাড়াতে সময়সীমাবদ্ধ প্রণোদনা, আমদানি অগ্রাধিকারে স্বচ্ছ তালিকা, শক্তিশালী নজরদারিতে মূল্যচক্রের কারসাজি রোধ।

কিছু কাজ ধীরে ফল দেয়—যেমন মানুষ গড়ার শিক্ষা, শিল্পে নতুন প্রযুক্তি আনা, বা বিচারব্যবস্থায় গতি ফেরানো। আগুন নেভাতে যেমন পানি লাগে, তেমনি ভবিষ্যৎ বাঁচাতে বাঁধও তুলতে হয়। এই দুই কাজ একসঙ্গে না হলে নদী বারবার উপচে পড়ে, আর আমরা একই সমস্যায় আবার ডুবে যাই।

তাই বলা যায় টাকার ভবিষ্যৎকে শক্তিশালী করার পথ একদিনের নয়, কিন্তু প্রতিদিনের। প্রতিটি ছোটো আস্থা ফিরে পাওয়া, প্রতিটি সুশীল নীতি প্রয়োগ, প্রতিটি সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত, প্রতিটি ন্যায্য হিসাবনিকাশ যোগ হয়ে বড় ছবিটা বদলায়।

সারকথা হলো অর্থনীতি শেষ পর্যন্ত মানুষেরই প্রতিচ্ছবি। মানুষ যদি ভরসা পায়, যদি তারা দেখে শ্রমের মূল্য আছে, সৎ ব্যবসায়ীর মর্যাদা আছে, আইনের শাসন নিশ্চিত আছে, তবে টাকা কাগজের সীমা পেরিয়ে শক্তিতে রূপ নেয়। আর শক্তি যখন গৃহস্থের টেবিলে আলো জ্বালায় তখন দেশের নামও বিশ্ববাজারে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

সবশেষে বলা যায়, কুয়াশা যত ঘনই হোক, সামনে পথ আছে। সেই পথ হয়তো মসৃণ নয়, কিন্তু হাঁটা যায়—ধৈর্য, সাহস আর বিশ্বাস নিয়ে। নীতিতে শৃঙ্খলা, বাজারে স্বচ্ছতা, বিনিয়োগে সাহস, উৎপাদনে নতুন চিন্তা, আর সমাজে ন্যায্যতার ভারসাম্য—এই পাঁচ শক্তি একসঙ্গে কাজ করলে টাকার ভবিষ্যৎও শক্ত হয়ে উঠবে।

এখন দরকার বড় বড় কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দেওয়ার। স্বল্পমেয়াদি সাফল্যের মোহ ছেড়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রজ্ঞায় ভরসা রাখলে, দায়িত্ব ভাগ হবে, কিন্তু দায় কেউ এড়াবে না। তবেই টাকার পতনের ছায়া সরে গিয়ে ভোরের আলো দেখা দেবে।

আশা আছে, শক্তিও আছে—এখন শুধু দরকার দৃঢ় পা ফেলে এগিয়ে চলার সাহস।

লেখক: ব্যাংকার এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষক

Ad 300x250

সম্পর্কিত