মো. আবুল কালাম আজাদ
বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তার পুরোটাই এসেছে ছাত্র-সিপাহী-জনতার মুষ্ঠিবদ্ধ ঐক্যে। দেশের প্রতিটি বিপর্যয়ে ওরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশকে রক্ষা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা সামরিক বাহিনী কখনও এই জাতির সাথে বেঈমানি করেনি। স্বৈরশাসক এরশাদ বা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে তারাই ছিল অগ্রবর্তি।
১৯৭১-এর ৯ মাস ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধ বা ৯ বছর ব্যাপী এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, সফল হওয়ার হওয়ার পর ‘ওরা’ তো যার যার কাজে ফিরে গেছে। এবার ওরা যাচ্ছে না কেন? গলদটা কোথায়? তাহলে কী রাজনৈতিক দলগুলোর রোগ ছাত্র-জনতা ধরে ফেলেছে? কী সেই রোগ?
প্রতিটি অভ্যুত্থানের পর এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারাই এসেছে, তারা কখনই অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দেয়া শহীদদের কষ্ট, আকাঙ্খা ও স্বপ্ন কিছুই ধারন করেনি। অভ্যুত্থানের ফসল যাদের ঘরে উঠেছে তারা কেবল নির্দিষ্ট ঐ দিন লোক দেখানো কিছু আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে। যেমন শহীদ নূর হোসেন দিবস বা ডা. মিলন দিবস।
‘জুলাই-৩৬’ এর অভ্যুত্থানকারীদের বলতেই হয় অনেক স্মার্ট। তারা এদেশের সকল ক্ষমতাসীন দলের উপর যথেষ্ট লেখাপড়া করেছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি, বাস্তবায়ন রেকর্ড, স্ববিরোধীতা, কামড়াকামড়ি, চোখের সামনে লুটপাট ও পাচার, ইচ্ছাতন্ত্র কায়েম দেখে বড় হয়েছে। তাই এবার তারা তাদের মতো করে দেশটাকে গড়তে চায়। যেসব দল ওদের ছন্দে ছন্দ মেলাবে হয়তো তারাই ভালো করবে এবারের জাতীয় নির্বাচনে। যেমনটা দেখা গেল ডাকসু’তে।
১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর বা ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের ফসল বিএনপি’র ঘরে উঠেছিল। এবার ফসল কী অন্য কেউ কাটবে? ১৯৯০ এর ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের আমান-মিলন জুটি পাস করেছিল। এবার কেন ছাত্রদলের হাতছাড়া হল ডাকসু? অন্যান্য ক্যাম্পাসে কী ঘটতে যাচ্ছে?
উত্তর খুব সোজা। বিগত ১৭ বছর ছাত্রদল ক্যাম্পাসে মুক্ত রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। ক্যাম্পাসগুলোতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার মতো জনবল তাদের ছিল না। ৫ই আগষ্টের পর মাত্র একটা ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিল যাদেরকে আবার ‘নো পলিটিক্স’ ব্যানারে থাকতে হয়েছে। যখনই ছাত্রদল নতুন ছাত্রদেরকে ‘ইনটেক’ করার চেষ্টা করেছে, তখনই বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে ঐসব ছাত্রদেরকে ছাত্রদল থেকে দূরে রাখা হয়েছে। এইসব ট্যাগিং কারা করেছে? কারা সহযোগিতা করেছে? এসব তথ্য প্রতিটি ক্যাম্পাসের সকলেই জানে।
একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো, ২০১৩ সালের পর যখন জামাতের জাতীয় রাজনীতি কোনঠাসা হয়, তখন জামাতের অধিকাংশ শিক্ষক তাদের দল ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেয়। এমনকী তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র শিবির ঢুকে যায় ছাত্রলীগের পেটের ভেতর। এই ‘কম্বোপ্যাক’-এ জুলাই অভ্যুত্থানের পর পর যার যার খোলস ছেড়ে নিজেদের পতাকা তলে অবস্থান নেয়। আর ক্যাম্পাসে গড়ে তোলে নিজেদের রাজত্ব।
এখানে ‘ছাত্রশিবির’ ব্যাকগ্রাউন্ডের বিএনপি-মনা কিছু শিক্ষকও ওই কম্বোপ্যাককে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। এর বড় উদাহারণ হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। হাসিনা পলায়নের পর থেকেই জামাত দখল করল বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিচারাঙ্গন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর বিএনপি চলে গেল হাট-মাঠ-ঘাট-ইজারা মহল-টেম্পু, বাস স্ট্যান্ড, জমি ও ফ্ল্যাট দখলে। আজ বাংলাদেশের ৫১ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির মধ্যে অন্তত ২৬ টি জামাতপন্থীদের দখলে। বাকী ২৫ টির মধ্যে বিএনপি মনা ৫-৬টি হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসক ও সুসংগঠিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের যৌথ প্রযোজনায় আপনি আর কী আশা করতে পারেন?
এখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দায় অবশ্যই রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে যখন আমার ক্যাম্পাসের ছাত্রদলের নেতাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছি—তোমরা হলে গিয়ে নতুন ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছো না কেন? নেতারা উত্তর দেয়—কেন্দ্রীয় নেতারা তাদেরকে হলে উঠতে নিষেধ করেছে। এরকম অবস্থা যদি প্রতিটি ক্যাম্পাসের হয়, তবে বিএনপিকে নতুন করে ভাবতে হবে।
টিভি মিডিয়ায় বিশেষ করে টকশোগুলোতে ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের প্রতিবিম্ব বলে প্রচার পাচ্ছে। আসলেই কী তাই? নাকি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে? হ্যা, অনেকটাই এরকম। কারন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই জামাতের বট বাহিনীর হাতে। এমনকী অনেক মিডিয়া হাউস ওদের কথায় ওঠে বসে। বিএনপির আলোচকরা যুৎসই জবাবের পরিবর্তে আওয়ামী বাদ্য বাজায়। এমনকী দলের জ্যৈষ্ঠ নেতাদের অযাচিত শব্দচয়নে বা অতিকথনে দলের বারোটা ইতিমধ্যে বেজে গেছে।
মনে রাখতে হবে সাড়ে বারো কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ ভাগ মেয়ে ভোটার এবং টোটাল মোট ৪০% তরুণ। এই তরুণ ভোটারাই হবে আগামী নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের নির্ধারক শক্তি। জামাত নারীদের হিজাব নিয়ে রাজনীতি বাদ দিয়েছে। তারা মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার কথা বলছে। বলছে নারীদের জন্য নিরাপত্তার কথা। তরুণদের জন্য বাস্তব কর্মমূখী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
জামাত যদি সমাজের শিক্ষিত নারী ও তরুণ ভোটারদের আস্থা ডাকসু নির্বাচনের মতো নিয়ে আসতে পারে, তবে ফল কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। বিএনপির নেতাকর্মীদের হুঁশ হওয়া উচিত। ক্ষমতায় না গিয়েই যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, তাতে জনগন বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের আস্থা নস্ট করছেন না তো?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার নেতাকর্মীদের বলছেন ‘আগামী নির্বাচন হবে খুবই কঠিন’। ডাকসু নির্বাচন কী তা প্রমাণ করে না? বিএনপির নেতা-কর্মীদের উচিত জনগনের কাছে যাওয়া। দিনশেষে তারাই বিএনপি’র প্রাণ।
বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তার পুরোটাই এসেছে ছাত্র-সিপাহী-জনতার মুষ্ঠিবদ্ধ ঐক্যে। দেশের প্রতিটি বিপর্যয়ে ওরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশকে রক্ষা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা সামরিক বাহিনী কখনও এই জাতির সাথে বেঈমানি করেনি। স্বৈরশাসক এরশাদ বা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে তারাই ছিল অগ্রবর্তি।
১৯৭১-এর ৯ মাস ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধ বা ৯ বছর ব্যাপী এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, সফল হওয়ার হওয়ার পর ‘ওরা’ তো যার যার কাজে ফিরে গেছে। এবার ওরা যাচ্ছে না কেন? গলদটা কোথায়? তাহলে কী রাজনৈতিক দলগুলোর রোগ ছাত্র-জনতা ধরে ফেলেছে? কী সেই রোগ?
প্রতিটি অভ্যুত্থানের পর এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারাই এসেছে, তারা কখনই অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দেয়া শহীদদের কষ্ট, আকাঙ্খা ও স্বপ্ন কিছুই ধারন করেনি। অভ্যুত্থানের ফসল যাদের ঘরে উঠেছে তারা কেবল নির্দিষ্ট ঐ দিন লোক দেখানো কিছু আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে। যেমন শহীদ নূর হোসেন দিবস বা ডা. মিলন দিবস।
‘জুলাই-৩৬’ এর অভ্যুত্থানকারীদের বলতেই হয় অনেক স্মার্ট। তারা এদেশের সকল ক্ষমতাসীন দলের উপর যথেষ্ট লেখাপড়া করেছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি, বাস্তবায়ন রেকর্ড, স্ববিরোধীতা, কামড়াকামড়ি, চোখের সামনে লুটপাট ও পাচার, ইচ্ছাতন্ত্র কায়েম দেখে বড় হয়েছে। তাই এবার তারা তাদের মতো করে দেশটাকে গড়তে চায়। যেসব দল ওদের ছন্দে ছন্দ মেলাবে হয়তো তারাই ভালো করবে এবারের জাতীয় নির্বাচনে। যেমনটা দেখা গেল ডাকসু’তে।
১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর বা ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের ফসল বিএনপি’র ঘরে উঠেছিল। এবার ফসল কী অন্য কেউ কাটবে? ১৯৯০ এর ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের আমান-মিলন জুটি পাস করেছিল। এবার কেন ছাত্রদলের হাতছাড়া হল ডাকসু? অন্যান্য ক্যাম্পাসে কী ঘটতে যাচ্ছে?
উত্তর খুব সোজা। বিগত ১৭ বছর ছাত্রদল ক্যাম্পাসে মুক্ত রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। ক্যাম্পাসগুলোতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার মতো জনবল তাদের ছিল না। ৫ই আগষ্টের পর মাত্র একটা ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিল যাদেরকে আবার ‘নো পলিটিক্স’ ব্যানারে থাকতে হয়েছে। যখনই ছাত্রদল নতুন ছাত্রদেরকে ‘ইনটেক’ করার চেষ্টা করেছে, তখনই বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে ঐসব ছাত্রদেরকে ছাত্রদল থেকে দূরে রাখা হয়েছে। এইসব ট্যাগিং কারা করেছে? কারা সহযোগিতা করেছে? এসব তথ্য প্রতিটি ক্যাম্পাসের সকলেই জানে।
একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো, ২০১৩ সালের পর যখন জামাতের জাতীয় রাজনীতি কোনঠাসা হয়, তখন জামাতের অধিকাংশ শিক্ষক তাদের দল ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেয়। এমনকী তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র শিবির ঢুকে যায় ছাত্রলীগের পেটের ভেতর। এই ‘কম্বোপ্যাক’-এ জুলাই অভ্যুত্থানের পর পর যার যার খোলস ছেড়ে নিজেদের পতাকা তলে অবস্থান নেয়। আর ক্যাম্পাসে গড়ে তোলে নিজেদের রাজত্ব।
এখানে ‘ছাত্রশিবির’ ব্যাকগ্রাউন্ডের বিএনপি-মনা কিছু শিক্ষকও ওই কম্বোপ্যাককে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। এর বড় উদাহারণ হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। হাসিনা পলায়নের পর থেকেই জামাত দখল করল বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিচারাঙ্গন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর বিএনপি চলে গেল হাট-মাঠ-ঘাট-ইজারা মহল-টেম্পু, বাস স্ট্যান্ড, জমি ও ফ্ল্যাট দখলে। আজ বাংলাদেশের ৫১ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির মধ্যে অন্তত ২৬ টি জামাতপন্থীদের দখলে। বাকী ২৫ টির মধ্যে বিএনপি মনা ৫-৬টি হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসক ও সুসংগঠিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের যৌথ প্রযোজনায় আপনি আর কী আশা করতে পারেন?
এখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দায় অবশ্যই রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে যখন আমার ক্যাম্পাসের ছাত্রদলের নেতাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছি—তোমরা হলে গিয়ে নতুন ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছো না কেন? নেতারা উত্তর দেয়—কেন্দ্রীয় নেতারা তাদেরকে হলে উঠতে নিষেধ করেছে। এরকম অবস্থা যদি প্রতিটি ক্যাম্পাসের হয়, তবে বিএনপিকে নতুন করে ভাবতে হবে।
টিভি মিডিয়ায় বিশেষ করে টকশোগুলোতে ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের প্রতিবিম্ব বলে প্রচার পাচ্ছে। আসলেই কী তাই? নাকি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে? হ্যা, অনেকটাই এরকম। কারন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই জামাতের বট বাহিনীর হাতে। এমনকী অনেক মিডিয়া হাউস ওদের কথায় ওঠে বসে। বিএনপির আলোচকরা যুৎসই জবাবের পরিবর্তে আওয়ামী বাদ্য বাজায়। এমনকী দলের জ্যৈষ্ঠ নেতাদের অযাচিত শব্দচয়নে বা অতিকথনে দলের বারোটা ইতিমধ্যে বেজে গেছে।
মনে রাখতে হবে সাড়ে বারো কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ ভাগ মেয়ে ভোটার এবং টোটাল মোট ৪০% তরুণ। এই তরুণ ভোটারাই হবে আগামী নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের নির্ধারক শক্তি। জামাত নারীদের হিজাব নিয়ে রাজনীতি বাদ দিয়েছে। তারা মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার কথা বলছে। বলছে নারীদের জন্য নিরাপত্তার কথা। তরুণদের জন্য বাস্তব কর্মমূখী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
জামাত যদি সমাজের শিক্ষিত নারী ও তরুণ ভোটারদের আস্থা ডাকসু নির্বাচনের মতো নিয়ে আসতে পারে, তবে ফল কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। বিএনপির নেতাকর্মীদের হুঁশ হওয়া উচিত। ক্ষমতায় না গিয়েই যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, তাতে জনগন বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের আস্থা নস্ট করছেন না তো?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার নেতাকর্মীদের বলছেন ‘আগামী নির্বাচন হবে খুবই কঠিন’। ডাকসু নির্বাচন কী তা প্রমাণ করে না? বিএনপির নেতা-কর্মীদের উচিত জনগনের কাছে যাওয়া। দিনশেষে তারাই বিএনপি’র প্রাণ।
বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামসহ বিভিন্ন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে।
১ দিন আগেনেপাল সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ২৬টি প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার পর যে জেন-জি বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশটির তরুণ সমাজ। এমন আন্দোলনের কোনো অতীত নজির নেই। ৭৭টি জেলা শহরে ছড়িয়ে পড়া এ আন্দোলনে অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
১ দিন আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যাই না বহুদিন। আজ ৩৩ বছর পর ফিরে এসেছে জাকসু নির্বাচন। সেই উছিলায় আজ যাওয়া যেতেই পারে।
২ দিন আগেঅনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়কে সমাজের হু-বুহু প্রতিবিম্ব হিসেবে গড়ে তুলতে চান। বিশ্ববিদ্যালয় মানে তা নয়। সামাজিক বিজ্ঞানের চর্চাকারী হিসাবে জানি, সমাজের হু-বুহু প্রতিভূ হলে তা এমন সংকীর্ণ হবে যে সেখানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন কিছু সৃষ্টি করা আর হবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় নতুন জ্ঞান সৃষ্টিরই পরিসর, তা অনেকেই
২ দিন আগে