অম্লান মোসতাকিম হোসেন
গত রোববার রাতে আফগানিস্তানকে দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। এদিকে মেয়েদের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ মাত্রই পাকিস্তানকে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছে। তবে পরদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়ায় এসব নিয়ে কোনো হেলদোলই নেই। দেশের ক্রিকেট যখন ভুগছে নির্বাচন জ্বরে, তখন মাঠের ক্রিকেট নিয়ে ভাবার সময় কই? কিন্তু এমন একটা জ্বর, যেটার উত্তাপটাও একরকম কৃত্রিম। নির্বাচনের ফল যখন আগে থেকেই জানা হয়ে থাকে, তখন সেখানে রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা কই?
গতকাল সোমবার দেশের এক পাঁচতারকা হোটেলে হয়ে যাওয়া বিসিবি নির্বাচন কাছ থেকে দেখে যেটা মনে হলো, উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও নির্বাচনী টানটান উত্তেজনা ছিল না। যাঁরা জিতেছেন, তাঁরা প্রায় সবাই জানতেন আগে থেকে জিতবেন। বলতে গেলে একরকম ফাঁকা মাঠেই গোল দিয়েছেন বেশিরভাগ বিসিবি পরিচালক। একজনের কথা অবশ্য আলাদা করে বলতে হয়। দুপুর নাগাদ যখন সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হোটেল প্রাঙ্গনে গাড়ি থেকে নামলেন, তখন তাঁকে ঘিরে মুহূর্তেই মিডিয়াকর্মী আর উপস্থিত জনতার তুমুল ভিড়। ফারুকের মুখেও চওড়া হাসি। যে বিসিবি থেকে তাঁকে মাসকয়েক আগেই প্রায় বেরই করে দেওয়া হয়েছে, সেখানেই ফিরলেন হাসিমুখে। সভাপতি হতে না পারলেও অসাধারণ এক কামব্যাক দিয়ে হয়ে গেছেন সহ-সভাপতি। বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলামের যে এত বড় ভূমিকা ছিল, সেটা জানা গেল নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলনে খোদ আমিনুলের মুখ থেকেই, ‘আজকে যখন আমি সভাপতি হয়েছি, তখন প্রস্তাবক ছিলেন ফারুক ভাই এবং ফারুক ভাই যখন সহ-সভাপতি হয়েছেন, সেটার প্রস্তাবক ছিলাম আমি।’ বলা যায়, দিনের সবচেয়ে বড় ঘটনাই এটি। কিন্তু ফারুক বিসিবি থেকে ব্রাত্য হয়ে যাওয়ার মাস খানেক পর সেই বিসিবিতেই সহ-সভাপতি পদে রাজার বেশেই ফিরে আসাটা জানান দেয়, নির্বাচনে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
নির্বাচনটা আসলে পানসে হয়ে গেছে গত কয়েক দিনের ঘটনা পরিক্রমায়। তামিম ইকবাল শুরুতে বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর মোটামুটি উত্তপ্ত ছিল ক্রিকেটপাড়া। তামিমকে মনে করা হয়েছিল মোটামুটি আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছেন। কিন্তু মাঠে নামার পর তামিম বুঝতে পারলেন, এখানে অনেক ছকই তাঁর বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। তাই বিসিবি নির্বাচনে নোংরামির অভিযোগ তুলে তিনি নির্বাচনী মাঠ থেকে বিদায় নিলেন। শুধু তামিম নয়, আরও বেশ কয়েকজন পরিচালক পদপ্রার্থী একই সঙ্গে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলেন। যাঁর মধ্যে আছেন ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের একাধিক পরীক্ষিত সংগঠকও। নির্বাচন তাই শুরুর আগেই একরকম শেষ। আমিনুল ইসলাম যে সভাপতি হচ্ছেন, সেটিও আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসে আরও চার বছরের লম্বা টেস্ট ইনিংস খেলার ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়াও বেশ কৌতূহলোদ্দীপক, ‘আমি এটাকে একটা যাত্রার অংশ ধরে নিয়েছি। বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নের প্রেমে পড়ে গিয়েছি।’
বিসিবির নির্বাচনে মূলত পক্ষে-বিপক্ষে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে ক্যাটাগরি ২ অর্থাৎ ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের পরিচালকদের নিয়েই। ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ বাতিল, আবার আদালতের রায়ে ফেরত আসার নাটক চলেছে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত সেই ১৫টি ক্লাব টিকে গেছে, যেখান থেকে পরিচালকও হয়েছেন কেউ কেউ।
জেলা ও বিভাগের ক্যাটাগরি ১ থেকে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। যাঁদের ভোটের লড়াইয়ে নামতে হয়েছে, তাঁরাও একেকজন বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী। একমাত্র ক্যাটাগরি ৩ এ কিছুটা লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল নির্বাচনের আগে। সেখানে দুই প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট ও দেবব্রত পালের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত লড়াই জমেনি। বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন পাইলট। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনী ধারা মেনে দেবব্রত আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই ক্রীড়াঙ্গনে ‘সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রভাবের’ অভিযোগ এনে ভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন। পরে অবশ্য নির্বাচন কমিশন এই বক্তব্য যে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাতেও বিস্ময়ের কিছুই নেই।
বিস্ময় বললে শুধু একটা ব্যাপার। তিন ক্যাটাগরির ২৩ পরিচালকের বাইরে আরও দুজন পরিচালক আছেন, যাঁরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সুপারিশে এসেছেন বোর্ডে। অতীতে এই ক্যাটাগরিতে বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠকদের দেখা গেলেও এবার এমন দুজন নির্বাচিত হয়েছেন, যাঁদের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা খুঁজে পাওয়া গেল না। এই দুজনের মধ্যে একজনের বিসিবি ইনিংস আবার খেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় শেষ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীতদের একজন ব্যবসায়ী ইশফাক আহসানের নির্বাচিত হওয়ার পর পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাইরাল হয়। বোঝা গেছে, সেটা উর্ধ্বতন কর্তাদের মুঠোফোনে পৌঁছে যেতে দেরি হয়নি। রাতেই তাই খবর আসে, ইশফাক আহসানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। জানা যাছে, একজন নারী পরিচালক আসতে পারেন তাঁর জায়গায়।
দিন শেষে নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য তাঁরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করবেন। বোর্ডে যাঁরা নেই, তাঁদেরও আহবান করেছেন এক সঙ্গে কাজ করতে। কথাগুলো আশা জোগানোর মতো হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অতীত ইতিহাস দেখে খুব আশাবাদী হওয়া কঠিন। কারণ বিসিবি নির্বাচনে রাজনীতির নানান সমীকরণ থাকলেও ক্রিকেট আদৌ কতটা ছিল, সেই প্রশ্ন তোলাই যায়।
লেখক: ক্রীড়া সাংবাদিক
গত রোববার রাতে আফগানিস্তানকে দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। এদিকে মেয়েদের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ মাত্রই পাকিস্তানকে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছে। তবে পরদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়ায় এসব নিয়ে কোনো হেলদোলই নেই। দেশের ক্রিকেট যখন ভুগছে নির্বাচন জ্বরে, তখন মাঠের ক্রিকেট নিয়ে ভাবার সময় কই? কিন্তু এমন একটা জ্বর, যেটার উত্তাপটাও একরকম কৃত্রিম। নির্বাচনের ফল যখন আগে থেকেই জানা হয়ে থাকে, তখন সেখানে রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা কই?
গতকাল সোমবার দেশের এক পাঁচতারকা হোটেলে হয়ে যাওয়া বিসিবি নির্বাচন কাছ থেকে দেখে যেটা মনে হলো, উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও নির্বাচনী টানটান উত্তেজনা ছিল না। যাঁরা জিতেছেন, তাঁরা প্রায় সবাই জানতেন আগে থেকে জিতবেন। বলতে গেলে একরকম ফাঁকা মাঠেই গোল দিয়েছেন বেশিরভাগ বিসিবি পরিচালক। একজনের কথা অবশ্য আলাদা করে বলতে হয়। দুপুর নাগাদ যখন সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হোটেল প্রাঙ্গনে গাড়ি থেকে নামলেন, তখন তাঁকে ঘিরে মুহূর্তেই মিডিয়াকর্মী আর উপস্থিত জনতার তুমুল ভিড়। ফারুকের মুখেও চওড়া হাসি। যে বিসিবি থেকে তাঁকে মাসকয়েক আগেই প্রায় বেরই করে দেওয়া হয়েছে, সেখানেই ফিরলেন হাসিমুখে। সভাপতি হতে না পারলেও অসাধারণ এক কামব্যাক দিয়ে হয়ে গেছেন সহ-সভাপতি। বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলামের যে এত বড় ভূমিকা ছিল, সেটা জানা গেল নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলনে খোদ আমিনুলের মুখ থেকেই, ‘আজকে যখন আমি সভাপতি হয়েছি, তখন প্রস্তাবক ছিলেন ফারুক ভাই এবং ফারুক ভাই যখন সহ-সভাপতি হয়েছেন, সেটার প্রস্তাবক ছিলাম আমি।’ বলা যায়, দিনের সবচেয়ে বড় ঘটনাই এটি। কিন্তু ফারুক বিসিবি থেকে ব্রাত্য হয়ে যাওয়ার মাস খানেক পর সেই বিসিবিতেই সহ-সভাপতি পদে রাজার বেশেই ফিরে আসাটা জানান দেয়, নির্বাচনে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
নির্বাচনটা আসলে পানসে হয়ে গেছে গত কয়েক দিনের ঘটনা পরিক্রমায়। তামিম ইকবাল শুরুতে বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর মোটামুটি উত্তপ্ত ছিল ক্রিকেটপাড়া। তামিমকে মনে করা হয়েছিল মোটামুটি আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছেন। কিন্তু মাঠে নামার পর তামিম বুঝতে পারলেন, এখানে অনেক ছকই তাঁর বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। তাই বিসিবি নির্বাচনে নোংরামির অভিযোগ তুলে তিনি নির্বাচনী মাঠ থেকে বিদায় নিলেন। শুধু তামিম নয়, আরও বেশ কয়েকজন পরিচালক পদপ্রার্থী একই সঙ্গে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলেন। যাঁর মধ্যে আছেন ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের একাধিক পরীক্ষিত সংগঠকও। নির্বাচন তাই শুরুর আগেই একরকম শেষ। আমিনুল ইসলাম যে সভাপতি হচ্ছেন, সেটিও আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসে আরও চার বছরের লম্বা টেস্ট ইনিংস খেলার ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়াও বেশ কৌতূহলোদ্দীপক, ‘আমি এটাকে একটা যাত্রার অংশ ধরে নিয়েছি। বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নের প্রেমে পড়ে গিয়েছি।’
বিসিবির নির্বাচনে মূলত পক্ষে-বিপক্ষে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে ক্যাটাগরি ২ অর্থাৎ ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের পরিচালকদের নিয়েই। ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ বাতিল, আবার আদালতের রায়ে ফেরত আসার নাটক চলেছে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত সেই ১৫টি ক্লাব টিকে গেছে, যেখান থেকে পরিচালকও হয়েছেন কেউ কেউ।
জেলা ও বিভাগের ক্যাটাগরি ১ থেকে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। যাঁদের ভোটের লড়াইয়ে নামতে হয়েছে, তাঁরাও একেকজন বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী। একমাত্র ক্যাটাগরি ৩ এ কিছুটা লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল নির্বাচনের আগে। সেখানে দুই প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট ও দেবব্রত পালের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত লড়াই জমেনি। বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন পাইলট। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনী ধারা মেনে দেবব্রত আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই ক্রীড়াঙ্গনে ‘সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রভাবের’ অভিযোগ এনে ভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন। পরে অবশ্য নির্বাচন কমিশন এই বক্তব্য যে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাতেও বিস্ময়ের কিছুই নেই।
বিস্ময় বললে শুধু একটা ব্যাপার। তিন ক্যাটাগরির ২৩ পরিচালকের বাইরে আরও দুজন পরিচালক আছেন, যাঁরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সুপারিশে এসেছেন বোর্ডে। অতীতে এই ক্যাটাগরিতে বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠকদের দেখা গেলেও এবার এমন দুজন নির্বাচিত হয়েছেন, যাঁদের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা খুঁজে পাওয়া গেল না। এই দুজনের মধ্যে একজনের বিসিবি ইনিংস আবার খেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় শেষ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীতদের একজন ব্যবসায়ী ইশফাক আহসানের নির্বাচিত হওয়ার পর পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাইরাল হয়। বোঝা গেছে, সেটা উর্ধ্বতন কর্তাদের মুঠোফোনে পৌঁছে যেতে দেরি হয়নি। রাতেই তাই খবর আসে, ইশফাক আহসানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। জানা যাছে, একজন নারী পরিচালক আসতে পারেন তাঁর জায়গায়।
দিন শেষে নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য তাঁরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করবেন। বোর্ডে যাঁরা নেই, তাঁদেরও আহবান করেছেন এক সঙ্গে কাজ করতে। কথাগুলো আশা জোগানোর মতো হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অতীত ইতিহাস দেখে খুব আশাবাদী হওয়া কঠিন। কারণ বিসিবি নির্বাচনে রাজনীতির নানান সমীকরণ থাকলেও ক্রিকেট আদৌ কতটা ছিল, সেই প্রশ্ন তোলাই যায়।
লেখক: ক্রীড়া সাংবাদিক
২০২৬ সালের এই নির্বাচনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ গত বছরের এক ব্যাপক আন্দোলনের পর গঠিত এক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই আন্দোলনে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন শেষ হয় এবং তাঁকে দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী ভারতে চলে যেতে হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে ‘বীর’ শব্দটি এক বিশেষ অর্থ বহন করে। এর অর্থ হচ্ছে, যাঁরা দেশের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও মানবিক ন্যায়ের জন্য লড়েছেন, তাঁরাই বীর। কিন্তু সময় বদলে গেছে। কখনো কখনো অস্ত্র হাতে যুদ্ধ না করেও কেউ ‘জাতীয় বীর’ হতে পারেন। যদি তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন। নির্বিঘ্নে সত্য বলতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগেভাইকে হারানোর পর ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আজও মনে হয়, যেন সেই ভয়াল সকালটা ঠিক গতকালই ছিল। সময় যতই এগিয়ে যাচ্ছে, ততই মনে হয়, তাঁর অনুপস্থিতি আরও গভীর হয়ে উঠছে। আমার জীবনের প্রতিটি আনন্দ, প্রতিটি প্রাপ্তি, এমনকি প্রতিটি দুঃখের মাঝখানে কোথাও না কোথাও তাঁর ছায়া লেগে আছে।
১৩ ঘণ্টা আগেআবুল হাশিমের রাজনীতি ও ধর্মাচিন্তা নিয়ে পাঠক সমাজে বেশ নীরবতা লক্ষ করা যায়। এই নীরবতার একটা কারণ তাঁর রাজনৈতিক প্রকল্পের ব্যর্থতা। বাংলাদেশে বিদ্যমান কোনো রাজনৈতিক দলের তত্ত্ব-কাঠামোয় তিনি আঁটেন না। তাই তাঁকে নিয়ে আলোচনাও হয় কম। অর্থাৎ আবুল হাশিমের চিন্তার সমগ্র অংশ না হলেও বিভিন্ন অংশকে সমকালের জন্
১ দিন আগে