leadT1ad

বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্টের নিবন্ধ

ঐতিহাসিক নির্বাচনে অংশ নিতে স্বদেশে ফেরার অঙ্গীকার তারেক রহমানের

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক নির্বাচন ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন তারেক রহমান। প্রায় ২০ বছর ধরে বিদেশে অবস্থানকারী এই বিএনপি নেতা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন এবং নির্বাচনে অংশ নেবেন।

শ্বেতা শর্মা
শ্বেতা শর্মা
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ০৫
তারেক রহমান। স্ট্রিম গ্রাফিক

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক নির্বাচন ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন তারেক রহমান। প্রায় ২০ বছর ধরে বিদেশে অবস্থানকারী এই বিএনপি নেতা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন এবং নির্বাচনে অংশ নেবেন।

তারেক রহমান (৫৯), সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বর্তমানে কার্যত তিনিই দলের প্রধান নেতা। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত এই দলটিকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে জয়ের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সময় এসে গেছে। ইনশাল্লাহ্‌, আমি খুব শিগগিরই ফিরবো। ব্যক্তিগত কিছু কারণে এতদিন ফেরা হয়নি, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর দেরি করার সময় নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনের জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেছে। এমন সময়ে আমি নিজেকে দূরে রাখতে পারি না।’

তারেক রহমান পরিচিত সাধারণত ‘তারেক জিয়া’ নামেই। ২০০৮ সাল থেকে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় অনুপস্থিত অবস্থায় সাজা হয়েছিল। তিনি স্ব-নির্বাসনে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সবচাইতে আলোচিত ছিল ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার একটি জনসভায় গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা। সেই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

২০২৬ সালের এই নির্বাচনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ গত বছরের এক ব্যাপক আন্দোলনের পর গঠিত এক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই আন্দোলনে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন শেষ হয় এবং তাঁকে দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী ভারতে চলে যেতে হয়।

আন্দোলন ও সরকারের দমন-পীড়নের সময় প্রায় ১,৪০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেই শূন্যতা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকার গঠন করা হয়। এই সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনার সমালোচক এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস (৮৪) । এই সরকার আওয়ামী লীগকে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে এবং অনুপস্থিত অবস্থায় শেখ হাসিনার বিচার চলছে ঢাকায়।

তারেক রহমান পরিচিত সাধারণত ‘তারেক জিয়া’ নামেই। ২০০৮ সাল থেকে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় অনুপস্থিত অবস্থায় সাজা হয়েছিল। তিনি স্ব-নির্বাসনে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সবচাইতে আলোচিত ছিল ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার একটি জনসভায় গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা। সেই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে খালেদা জিয়া (৮০) বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। তাঁর নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া এখনো অনিশ্চিত।

তারেক রহমান বলেন, ‘উনি সুস্থ অবস্থায় জেলে গিয়েছিলেন, কিন্তু অসুস্থ অবস্থায় বের হয়েছেন। তাঁকে যথাযথ চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে যদি শরীর ঠিক থাকলে তিনি অবশ্যই নির্বাচনে কোনো না কোনোভাবে অংশগ্রহণ করবেন।’

ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর ইংরেজি থেকে অনুবাদ

Ad 300x250

সম্পর্কিত