২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সারা দেশে এক ধরনের নীরব হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ ফল দেখে অবাক, কেউ ক্ষুব্ধ, আবার কেউ কেবল চুপ হয়ে গেছে। কিন্তু আসলে এই ফলাফল কেবল কিছু সংখ্যার ব্যর্থতা নয় — এটা এক প্রজন্মের ক্লান্তি, বিভ্রান্তি আর মানসিক বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি।
রুমানা আফরোজ
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সারা দেশে এক ধরনের নীরব হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ ফল দেখে অবাক, কেউ ক্ষুব্ধ, আবার কেউ কেবল চুপ হয়ে গেছে। কিন্তু আসলে এই ফলাফল কেবল কিছু সংখ্যার ব্যর্থতা নয় — এটা এক প্রজন্মের ক্লান্তি, বিভ্রান্তি আর মানসিক বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি।
জুলাই আন্দোলনের অভিঘাত
গত বছরের মাঝামাঝি ঘটে যাওয়া জুলাই আন্দোলন যেন শিক্ষাজীবনের কেন্দ্রবিন্দু কাঁপিয়ে দিয়েছে। আমরা সবাই যেন এক গভীর আবেগে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম। রাস্তায় অস্থিরতা, কলেজ বন্ধ, ভয় আর উদ্বেগ — সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। কেউ অংশ নেয় আন্দোলনে, কেউ আবার ভয়ে ক্লাসে যেতে পারেনি। জুলাই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক ও শারীরিকভাবে এক ভীষণ প্রভাব ফেলে। পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলে দেখা যায়, সেই হারানো ছন্দ অনেক শিক্ষার্থীই আর ফিরে পায়নি।
‘নেতা’ হওয়ার মানসিকতা
কলেজ রাজনীতির প্রভাবও এবার স্পষ্ট। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার চেয়ে বেশি সময় দিয়েছে কমিটি, ব্যানার, পদ-পদবির দিকে। নেতৃত্বের মোহে তারা হারিয়েছে শিক্ষার্থীসত্তা। ফলে পরীক্ষার হলে কলম ধরলেও তাদের মন ছিল অন্যখানে। জুলাই আন্দোলনের সফলতা তাদের মধ্যে ‘আমি কী হনু রে’ — এরকম একটা মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছিল। ফলে তাদের পড়ার টেবিলে ফিরে আসতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
পারিবারিক সংকট ও আত্মগোপনের ভয়
সামাজিক অস্থিরতার সময় অনেক পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ছিল, কেউ কেউ আত্মগোপনেও গিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা তখন ভয় আর অনিশ্চয়তায় ভরা। এমন পরিবেশে মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব নয়। বইয়ের পাতার বদলে চোখ ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর টেলিভিশনের পর্দায়, কান ছিল খবরের দিকে।
আত্মবিশ্বাসহীন ও প্রস্তুতিহীন শিক্ষার্থী
গত বছর যখন জুলাই আন্দোলন শুরু হয় অনেক কলেজে বার্ষিক পরীক্ষা (ইয়ার ফাইনাল) চলছিল। আন্দোলনের কারণে এই পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়, যা বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান আর শেষ করতে পারেনি। এই ব্যাচের প্রি-টেস্ট পরীক্ষাও বেশিরভাগ কলেজে সময়ের অভাবে হয়নি। অথচ প্রি-টেস্ট একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন — যেখানে বোঝা যায়, কে কোথায় দুর্বল। এই রিহার্সাল না হওয়ায় অনেকেই টেস্ট পরীক্ষায়ও খারাপ করে। অতঃপর বোর্ড পরীক্ষায় গিয়ে বুঝেছে তারা আসলে তৈরি ছিল না। প্রশ্ন বুঝতে, সময় ব্যবস্থাপনা করতে, কিংবা সঠিকভাবে উত্তর লিখতে গিয়ে তারা হোঁচট খেয়েছে।
মোবাইল আসক্তি কিংবা টিকটক প্রজন্মের বিভ্রান্তি
আজকের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ মোবাইলের পর্দায় বন্দি। টিকটক, রিলস, গেমস — এসব যেন তাদের নতুন জগৎ। তাদের পড়ার সময় কমে গেছে। তারা মনোযোগ হারিয়েছে, আর মনোবল ক্রমে ক্ষয়ে গেছে। কেউ স্বীকার করতে চায় না, কিন্তু বাস্তবতা হলো — এই আসক্তিই তাদের পড়াশোনার আগ্রহ কেড়ে নিচ্ছে। মোবাইল হাতে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায়, কিন্তু তারা পড়ার জগতে আর ফিরে আসতে পারে না।
রাতজাগা, অনিদ্রা ও মানসিক ক্লান্তি
অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার, পরীক্ষার চাপ আর দেরি করে ঘুমানো, সকালে ঘুম ঘুম চোখে ক্লাসে যাওয়া — সব মিলিয়ে অনেক শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে ভেঙে পড়ে। রাতে পড়ার চেষ্টা, সকালে ক্লান্ত শরীরে ক্লাস — এই জীবনযাপন অবশেষে পরীক্ষার হলে এসে বিপর্যয় ডেকে আনে।
ক্লান্তি, মাথাব্যথা, অমনোযোগ, উদ্বেগ — সবকিছু মিলে পরীক্ষার হলে তাদের যেনো ভেঙে দিয়েছে। কেউ অমনোযোগী, কেউ ভুলে যায় পড়া বিষয়, কেউ বা ভয়ে উত্তরই লিখতে পারে না। উদ্বেগ, হতাশা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব এই ব্যর্থতার অদৃশ্য কিন্তু প্রধান কারণ। আর পরীক্ষার এই ফলাফল তারই প্রতিফলন।
বিদেশে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা
অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার সময়ই বিদেশে পড়াশোনার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কেউ আবেদন করেছে, কেউ ইন্টারভিউ দিচ্ছে। ফলে মনোযোগ ভাগ হয়ে গেছে — একদিকে এইচএসসি, অন্যদিকে বিদেশের প্রস্তুতি। অনেকেই ভেবেছে, ‘এইচএসসি যাই হোক, বিদেশ তো আছেই’— এই আত্মতুষ্টি ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। আবার গ্রামাঞ্চলের এক শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রমজীবী হিসেবে কাজের জন্য বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে। ফলে এইচএসসির ফলাফল তাদের মানসিকতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
মেয়েদের বিয়ের চাপ
এখনও সমাজের এক নির্মম বাস্তবতা হলো — এইচএসসি পরীক্ষার আগেই বহু মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। কেউ কেউ পরীক্ষার মধ্যেই সংসারের দায়িত্ব নেয়। বইয়ের সময় চলে যায় ঘরের কাজে। চিন্তার জায়গায় আসে ক্লান্তি। তাদের ফলাফল খারাপ হওয়া কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়।
খাতা মূল্যায়নে সময়ের অভাব
আমাদের খাতা মূল্যায়নের সময়সীমা থাকে খুব সীমিত। অনেক শিক্ষকই বলেছেন — তাড়াহুড়ো করে খাতা দেখা হয়েছে। খাতার সংখ্যার তুলনায় দেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না। আরেকটু সময় বাড়িয়ে দিলে ভালো হয়। এই তাড়াহুড়ো শিক্ষাব্যবস্থার আরেকটি দুর্বল দিক তুলে ধরে।
দায় কার
এইচএসসি ২০২৫ ফলাফল আসলে একটি আয়না, যেখানে আমরা নিজেদের ব্যর্থতাকেই স্পষ্ট দেখতে পাই। পরিবার, শিক্ষক, সমাজ — সবাই কোনো না কোনোভাবে এই বিপর্যয়ের অংশ। প্রযুক্তির ভিড়ে মনোযোগ হারানো, রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভরসা হারানো এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা — সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা দিকহারা হয়ে পড়েছে।
এখন প্রশ্ন একটাই — আমরা কি এই প্রজন্মকে দোষ দেব, নাকি তাদের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করব যেখানে শেখা আবার আনন্দ হয়ে উঠবে? শিক্ষা কেবল পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য নয়; এটা জীবনের দীক্ষা, যা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।
২০২৫ সালের এইচএসসি ফলাফল তাই শুধু একটা পরিসংখ্যান নয় — এটা এক প্রজন্মের বিপন্নতার গল্প, যা আমাদের সমাজকে গভীরভাবে ভাবতে শেখায়।
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সারা দেশে এক ধরনের নীরব হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ ফল দেখে অবাক, কেউ ক্ষুব্ধ, আবার কেউ কেবল চুপ হয়ে গেছে। কিন্তু আসলে এই ফলাফল কেবল কিছু সংখ্যার ব্যর্থতা নয় — এটা এক প্রজন্মের ক্লান্তি, বিভ্রান্তি আর মানসিক বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি।
জুলাই আন্দোলনের অভিঘাত
গত বছরের মাঝামাঝি ঘটে যাওয়া জুলাই আন্দোলন যেন শিক্ষাজীবনের কেন্দ্রবিন্দু কাঁপিয়ে দিয়েছে। আমরা সবাই যেন এক গভীর আবেগে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম। রাস্তায় অস্থিরতা, কলেজ বন্ধ, ভয় আর উদ্বেগ — সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। কেউ অংশ নেয় আন্দোলনে, কেউ আবার ভয়ে ক্লাসে যেতে পারেনি। জুলাই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক ও শারীরিকভাবে এক ভীষণ প্রভাব ফেলে। পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলে দেখা যায়, সেই হারানো ছন্দ অনেক শিক্ষার্থীই আর ফিরে পায়নি।
‘নেতা’ হওয়ার মানসিকতা
কলেজ রাজনীতির প্রভাবও এবার স্পষ্ট। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার চেয়ে বেশি সময় দিয়েছে কমিটি, ব্যানার, পদ-পদবির দিকে। নেতৃত্বের মোহে তারা হারিয়েছে শিক্ষার্থীসত্তা। ফলে পরীক্ষার হলে কলম ধরলেও তাদের মন ছিল অন্যখানে। জুলাই আন্দোলনের সফলতা তাদের মধ্যে ‘আমি কী হনু রে’ — এরকম একটা মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছিল। ফলে তাদের পড়ার টেবিলে ফিরে আসতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
পারিবারিক সংকট ও আত্মগোপনের ভয়
সামাজিক অস্থিরতার সময় অনেক পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ছিল, কেউ কেউ আত্মগোপনেও গিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা তখন ভয় আর অনিশ্চয়তায় ভরা। এমন পরিবেশে মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব নয়। বইয়ের পাতার বদলে চোখ ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর টেলিভিশনের পর্দায়, কান ছিল খবরের দিকে।
আত্মবিশ্বাসহীন ও প্রস্তুতিহীন শিক্ষার্থী
গত বছর যখন জুলাই আন্দোলন শুরু হয় অনেক কলেজে বার্ষিক পরীক্ষা (ইয়ার ফাইনাল) চলছিল। আন্দোলনের কারণে এই পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়, যা বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান আর শেষ করতে পারেনি। এই ব্যাচের প্রি-টেস্ট পরীক্ষাও বেশিরভাগ কলেজে সময়ের অভাবে হয়নি। অথচ প্রি-টেস্ট একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন — যেখানে বোঝা যায়, কে কোথায় দুর্বল। এই রিহার্সাল না হওয়ায় অনেকেই টেস্ট পরীক্ষায়ও খারাপ করে। অতঃপর বোর্ড পরীক্ষায় গিয়ে বুঝেছে তারা আসলে তৈরি ছিল না। প্রশ্ন বুঝতে, সময় ব্যবস্থাপনা করতে, কিংবা সঠিকভাবে উত্তর লিখতে গিয়ে তারা হোঁচট খেয়েছে।
মোবাইল আসক্তি কিংবা টিকটক প্রজন্মের বিভ্রান্তি
আজকের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ মোবাইলের পর্দায় বন্দি। টিকটক, রিলস, গেমস — এসব যেন তাদের নতুন জগৎ। তাদের পড়ার সময় কমে গেছে। তারা মনোযোগ হারিয়েছে, আর মনোবল ক্রমে ক্ষয়ে গেছে। কেউ স্বীকার করতে চায় না, কিন্তু বাস্তবতা হলো — এই আসক্তিই তাদের পড়াশোনার আগ্রহ কেড়ে নিচ্ছে। মোবাইল হাতে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায়, কিন্তু তারা পড়ার জগতে আর ফিরে আসতে পারে না।
রাতজাগা, অনিদ্রা ও মানসিক ক্লান্তি
অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার, পরীক্ষার চাপ আর দেরি করে ঘুমানো, সকালে ঘুম ঘুম চোখে ক্লাসে যাওয়া — সব মিলিয়ে অনেক শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে ভেঙে পড়ে। রাতে পড়ার চেষ্টা, সকালে ক্লান্ত শরীরে ক্লাস — এই জীবনযাপন অবশেষে পরীক্ষার হলে এসে বিপর্যয় ডেকে আনে।
ক্লান্তি, মাথাব্যথা, অমনোযোগ, উদ্বেগ — সবকিছু মিলে পরীক্ষার হলে তাদের যেনো ভেঙে দিয়েছে। কেউ অমনোযোগী, কেউ ভুলে যায় পড়া বিষয়, কেউ বা ভয়ে উত্তরই লিখতে পারে না। উদ্বেগ, হতাশা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব এই ব্যর্থতার অদৃশ্য কিন্তু প্রধান কারণ। আর পরীক্ষার এই ফলাফল তারই প্রতিফলন।
বিদেশে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা
অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার সময়ই বিদেশে পড়াশোনার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কেউ আবেদন করেছে, কেউ ইন্টারভিউ দিচ্ছে। ফলে মনোযোগ ভাগ হয়ে গেছে — একদিকে এইচএসসি, অন্যদিকে বিদেশের প্রস্তুতি। অনেকেই ভেবেছে, ‘এইচএসসি যাই হোক, বিদেশ তো আছেই’— এই আত্মতুষ্টি ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। আবার গ্রামাঞ্চলের এক শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রমজীবী হিসেবে কাজের জন্য বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে। ফলে এইচএসসির ফলাফল তাদের মানসিকতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
মেয়েদের বিয়ের চাপ
এখনও সমাজের এক নির্মম বাস্তবতা হলো — এইচএসসি পরীক্ষার আগেই বহু মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। কেউ কেউ পরীক্ষার মধ্যেই সংসারের দায়িত্ব নেয়। বইয়ের সময় চলে যায় ঘরের কাজে। চিন্তার জায়গায় আসে ক্লান্তি। তাদের ফলাফল খারাপ হওয়া কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়।
খাতা মূল্যায়নে সময়ের অভাব
আমাদের খাতা মূল্যায়নের সময়সীমা থাকে খুব সীমিত। অনেক শিক্ষকই বলেছেন — তাড়াহুড়ো করে খাতা দেখা হয়েছে। খাতার সংখ্যার তুলনায় দেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না। আরেকটু সময় বাড়িয়ে দিলে ভালো হয়। এই তাড়াহুড়ো শিক্ষাব্যবস্থার আরেকটি দুর্বল দিক তুলে ধরে।
দায় কার
এইচএসসি ২০২৫ ফলাফল আসলে একটি আয়না, যেখানে আমরা নিজেদের ব্যর্থতাকেই স্পষ্ট দেখতে পাই। পরিবার, শিক্ষক, সমাজ — সবাই কোনো না কোনোভাবে এই বিপর্যয়ের অংশ। প্রযুক্তির ভিড়ে মনোযোগ হারানো, রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভরসা হারানো এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা — সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা দিকহারা হয়ে পড়েছে।
এখন প্রশ্ন একটাই — আমরা কি এই প্রজন্মকে দোষ দেব, নাকি তাদের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করব যেখানে শেখা আবার আনন্দ হয়ে উঠবে? শিক্ষা কেবল পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য নয়; এটা জীবনের দীক্ষা, যা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।
২০২৫ সালের এইচএসসি ফলাফল তাই শুধু একটা পরিসংখ্যান নয় — এটা এক প্রজন্মের বিপন্নতার গল্প, যা আমাদের সমাজকে গভীরভাবে ভাবতে শেখায়।
আজ ১৭ অক্টোবর, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি জুলাই সনদ স্বাক্ষর দিন। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আজ একে একে এই সনদে স্বাক্ করছে। নিঃসন্দেহে এটি দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যেহেতু একটি সনদ প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাই এটিকে আমরা স্বাগত জানাই। জুলাই সনদ কেবল একটি দলীয় উদ্
১৯ ঘণ্টা আগেআজ ১৭ অক্টোবর, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিন। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আজ একে একে এই সনদে সাক্ষর করছে। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কিন্তু জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই সনদে সাক্ষর করছে না। অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, কেন আমরা অংশ নিইনি।
২১ ঘণ্টা আগেআজ জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিন। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই সনদে সাক্ষর করে একে গণতন্ত্রের পুনর্গঠনের প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। কিন্তু সনদটি আমি যেভাবে দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে, এটি ইতিহাসকে খণ্ডিতভাবে দেখার প্রচেষ্টা মাত্র।
১ দিন আগেরাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার পোশাক কারখানায় যাঁরা পুড়ে মারা গেলেন, তাঁদের আমি চিনি না। আমি তাঁদের চেহারা দেখিনি, নামও জানি না। আমি শুধু জানি, ঢাকায় আরেকটা কারখানায় আগুন লেগেছে, যেখানে আটকা পড়ে বেশ কিছু শ্রমিক মারা গেছেন। বিশ্বজুড়ে ২৪ ঘণ্টার সংবাদচক্রে এটা একটা ক্ষণিকের জ্বলে ওঠা ঘটনা, পরমুহূর
১ দিন আগে