বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল-০৪
প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল। গ্রুপটির অধীনে পাঁচ তারকা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সিমেন্ট কারখানা, মেডিকেল সেন্টারসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ২০২১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বিশ্ববিদ্যালয় খোলেন তিনি।
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল। গ্রুপটির অধীনে পাঁচ তারকা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সিমেন্ট কারখানা, মেডিকেল সেন্টারসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ২০২১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বিশ্ববিদ্যালয় খোলেন তিনি। কিন্তু চার বছরের মাথায় গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর নিজের স্ত্রীর নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করেন এইচ বি এম ইকবাল।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান নাম ডা. মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের নাম ‘শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’। ডা. মমতাজ বেগম এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী। তিনি ২০২২ সালের ২৮ জুন মারা যান। এরপর এইচ বি এম ইকবাল বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পীকে।
শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান খুললে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেত। রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এই নামের সুবিধা গ্রহণ করে দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
কেন শেখ হাসিনার নাম
বিশ্ববিদ্যালয়টি যখন অনুমোদন পায় তখন ইউজিসির সদস্য ছিলেন অধ্যাপক দিল আফরোজ বেগম। জানতে চাইলে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘শেখ পরিবারের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সহজে এবং দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যায়—এমন একটি প্রবণতা উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিল। আমরা দায়িত্বে থাকার সময়েও এটি দেখেছি। সে কারণেই এটি ছিল শেখ হাসিনার নামে।’
অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শর্ত পূরণ না করেই অনুমোদন পেয়েছে বলেও জানান দিল আফরোজ বেগম। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে অনুৎসাহিত করতাম। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আজিজুল হক গেল বছরের ডিসেম্বরে ড. মমতাজ বেগম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব নেন। জানতে চাইলে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন যথাযথ নিয়ম মেনেই হয়েছে। আমার যোগদানের আগেই বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নাম পরিবর্তনের আবেদন করেছিল।’
কেমন চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টি
গত বছরের জুলাই মাসে ডা. মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়েছে।
রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের অধীনে সাতটি প্রোগ্রাম চালু আছে। সেগুলো হলো— বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি, ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স, ফার্মেসি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন অন্ট্রাপ্রেনারশিপ এবং বিবিএ ইন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এসব বিভাগে এখন পর্যন্ত তিনটি ব্যাচে ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় ২০ জন।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন দেশের বাইরে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে চলছে, জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, চেয়ারম্যান ও অন্যরা অনলাইনে কানেক্টেড থাকেন। আর তাঁর মনোনীত প্রতিনিধিরা এখানে আছেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সহায়তা করছেন।
চার বছর আগে অনুমোদন
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অনুমোদন পায় দেশের ১০৮তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। অনুমোদনের সময় নাম ছিল শেখ হাসিনা সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার বাঁশগাড়ী গ্রামে অস্থায়ীভাবে স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমোদন পায় এ বিশ্ববিদ্যালয়। চলমান সাতটি প্রোগ্রামই অনুমোদন পায় গত বছরের মে মাসে।
গত বছরের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপরের মাসে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের আবেদন জমা পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের এই আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপসচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
কে এই এইচ বি এম ইকবাল
পুরো নাম হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত হন তিনি।
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ৫ আগস্টের পর এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এইচ বি এম ইকবাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য।
প্রিমিয়ার ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এটির চেয়ারম্যান হন এইচ বি এম ইকবাল। এরপর তিনি ও তাঁর পরিবারের একক কর্তৃত্বে ব্যাংকটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন এইচ বি এম ইকবাল। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে ও ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মঈন ইকবালও পদত্যাগ করেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পদও ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। তবে ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে তাঁর আরেক ছেলে ইমরান ইকবালকে।

প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল। গ্রুপটির অধীনে পাঁচ তারকা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সিমেন্ট কারখানা, মেডিকেল সেন্টারসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ২০২১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বিশ্ববিদ্যালয় খোলেন তিনি। কিন্তু চার বছরের মাথায় গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর নিজের স্ত্রীর নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করেন এইচ বি এম ইকবাল।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান নাম ডা. মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের নাম ‘শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’। ডা. মমতাজ বেগম এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী। তিনি ২০২২ সালের ২৮ জুন মারা যান। এরপর এইচ বি এম ইকবাল বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পীকে।
শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান খুললে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেত। রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এই নামের সুবিধা গ্রহণ করে দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
কেন শেখ হাসিনার নাম
বিশ্ববিদ্যালয়টি যখন অনুমোদন পায় তখন ইউজিসির সদস্য ছিলেন অধ্যাপক দিল আফরোজ বেগম। জানতে চাইলে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘শেখ পরিবারের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সহজে এবং দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যায়—এমন একটি প্রবণতা উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিল। আমরা দায়িত্বে থাকার সময়েও এটি দেখেছি। সে কারণেই এটি ছিল শেখ হাসিনার নামে।’
অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শর্ত পূরণ না করেই অনুমোদন পেয়েছে বলেও জানান দিল আফরোজ বেগম। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে অনুৎসাহিত করতাম। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আজিজুল হক গেল বছরের ডিসেম্বরে ড. মমতাজ বেগম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব নেন। জানতে চাইলে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন যথাযথ নিয়ম মেনেই হয়েছে। আমার যোগদানের আগেই বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নাম পরিবর্তনের আবেদন করেছিল।’
কেমন চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টি
গত বছরের জুলাই মাসে ডা. মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়েছে।
রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের অধীনে সাতটি প্রোগ্রাম চালু আছে। সেগুলো হলো— বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি, ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স, ফার্মেসি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন অন্ট্রাপ্রেনারশিপ এবং বিবিএ ইন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এসব বিভাগে এখন পর্যন্ত তিনটি ব্যাচে ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় ২০ জন।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন দেশের বাইরে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে চলছে, জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, চেয়ারম্যান ও অন্যরা অনলাইনে কানেক্টেড থাকেন। আর তাঁর মনোনীত প্রতিনিধিরা এখানে আছেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সহায়তা করছেন।
চার বছর আগে অনুমোদন
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অনুমোদন পায় দেশের ১০৮তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। অনুমোদনের সময় নাম ছিল শেখ হাসিনা সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার বাঁশগাড়ী গ্রামে অস্থায়ীভাবে স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমোদন পায় এ বিশ্ববিদ্যালয়। চলমান সাতটি প্রোগ্রামই অনুমোদন পায় গত বছরের মে মাসে।
গত বছরের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপরের মাসে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের আবেদন জমা পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের এই আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপসচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
কে এই এইচ বি এম ইকবাল
পুরো নাম হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত হন তিনি।
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ৫ আগস্টের পর এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এইচ বি এম ইকবাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য।
প্রিমিয়ার ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এটির চেয়ারম্যান হন এইচ বি এম ইকবাল। এরপর তিনি ও তাঁর পরিবারের একক কর্তৃত্বে ব্যাংকটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন এইচ বি এম ইকবাল। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে ও ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মঈন ইকবালও পদত্যাগ করেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পদও ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। তবে ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে তাঁর আরেক ছেলে ইমরান ইকবালকে।

ঢাকার রাস্তায় অটোরিকশায় গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) বসানো হবে, যাতে নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করে চলাচল করতে না পারে ‘বাংলার টেসলা’-খ্যাত এই বাহন। এছাড়া অটোরিকশার এলাকা ভাগ করে দেওয়া হবে; এতে এক এলাকার রিকশা অন্য এলাকায় গিয়ে চলাচল করতে পারবে না।
২ দিন আগে
ভাঁজে কি, তা বিষয় নয়। মলাটে বঙ্গবন্ধু কিংবা শেখ পরিবারের কারও নাম মানেই গুরুত্বপূর্ণ। লুফে নিয়েছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শেষ তিন অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মন্ত্রী-আমলাদের লেখা দ্বিগুণ দামে মানহীন, এমনকি ভারতীয় প্রকাশনীর বই কেনার অভিযোগ উঠেছে।
৬ দিন আগে
মিঠা পানিটুকু মাটির নিচে আবদ্ধ (ট্র্যাপড) অবস্থায় রয়েছে। লোনা পানির সঙ্গে এর সরাসরি সংযোগ নেই। ফলে পানি উত্তোলনে তাৎক্ষণিক লোনা পানি ঢুকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা কম
৮ দিন আগে
উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে ছাত্রলীগকে চাঁদা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন উপাচার্য ফারজানা ইসলাম। তবে তিনি জানিয়েছিলেন, ছাত্রলীগের সে সময়ের নেতারা তাঁর কাছে কমিশন চেয়েছিলেন।
৯ দিন আগে