২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকে একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে সনদে বলা হয়েছে, এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
স্ট্রিম ডেস্ক
সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে চূড়ান্ত রূপ পেল ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’। রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রণীত এই সনদে স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের শীর্ষ নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই সনদ স্বাক্ষরিত হয়।
সনদের শুরুতে এর পটভূমি তুলে ধরে বলা হয়েছে, প্রায় দুশো বছরের ঔপনিবেশিক শাসন ও পরবর্তীকালে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ৫৩ বছরেও মহান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতি পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। বারবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যার চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকে একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে সনদে বলা হয়েছে, এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই রাষ্ট্রের সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সনদে উপনীত হয়েছে।
সংস্কারের লক্ষ্যে দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রণীত এই জুলাই জাতীয় সনদ হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো—
সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে চূড়ান্ত রূপ পেল ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’। রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রণীত এই সনদে স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের শীর্ষ নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই সনদ স্বাক্ষরিত হয়।
সনদের শুরুতে এর পটভূমি তুলে ধরে বলা হয়েছে, প্রায় দুশো বছরের ঔপনিবেশিক শাসন ও পরবর্তীকালে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ৫৩ বছরেও মহান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতি পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। বারবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যার চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকে একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে সনদে বলা হয়েছে, এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই রাষ্ট্রের সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সনদে উপনীত হয়েছে।
সংস্কারের লক্ষ্যে দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রণীত এই জুলাই জাতীয় সনদ হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো—
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য একাধিকবার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে পরিবর্তন এসেছে তা ওই গণঅভ্যুত্থানের ফলে সম্ভব হয়েছে। জুলাই সনদকে গণঅভুত্থানের দ্বিতীয় অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আজকে যে কাজটা করলাম, এখানে স্বাক্ষর করলাম সবাই মিলে। সেটা দিয়ে বাংলাদেশের পরিবর্তন হবে।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ হাতে না পাওয়া এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্টস) থাকা না থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে সনদে স্বাক্ষর করেনি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরাম। তবে অনিশ্চয়তা দূর হওয়ায় দলটি পরে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে বলে নিশ্চিত করেছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক দিন’ অভিহিত করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দীর্ঘ আলোচনার ফসল হিসেবে এই সনদ চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণ এটিকে অনুমোদন দিলে ভবিষ্যৎ সংসদ এটি বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে।
১৫ ঘণ্টা আগে