স্ট্রিম প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ২৩ পদের ২০টিতেই জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।
আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তিনি ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট। তাঁদের ভোটের ব্যবধান ৯ হাজার ২৯০।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়ী হয়েছেন সাবেক সমন্বয়ক ও আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১১ হাজার ৫৩৭। এ পদে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৯ ভোট। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৫ হাজার ৮০৮।
অন্যদিকে ৬ হাজার ৯৭১ ভোট নিয়ে সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সালমান সাব্বির। প্রধান তিনটি পদের মধ্যে এই পদে তুলনামূলক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সালমানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের এজিএস প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪১ ভোট। তাঁদের ভোটের ব্যবধান ১ হাজার ৩০।
এ ছাড়া ১৬টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ১৪টিতেই জিতেছে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট। ক্রীড়া ও সম্পাদক পদটি জিতেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের নার্গিস খাতুন। এর বাইরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ তোফা।
সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীদের মধ্যে সহকারী ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে আবু সাঈদ মুহাম্মাদ নুন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে জায়িদ হাসান জোহা, সহকারী সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. রাকিবুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে সাইয়িদা হাফছা, সহকারী মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে সামিয়া জাহান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে বি এম নাজমুছ সাকিব, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে সিফাত আবু সালেহ, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. মুজাহিদ ইসলাম, সহকারী মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আসাদুল্লাহ গালিব, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মুজাহিদুল ইসলাম সাঈম, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ইমরান লস্কর, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. নয়ন হোসেন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মাসুমা ইসরাত মুমু নির্বাচিত হয়েছেন।
এর বাইরে নির্বাহী সদস্য পদেও এই প্যানেলের চার প্রার্থী জয়ী হন। তাঁরা হলেন মো. দীপ মাহবুব, সুজন চন্দ্র, ইমজিয়াউল হক কামালি, এ বি এম খালেদ।
এ ছাড়া সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের। তাঁরা হলেন, মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, ফাহিম রেজা ও সালমান সাব্বির।
তবে এর বাইরে নির্বাচিত দুজন হলেন সালাউদ্দিন আম্মার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আকিল বিন তালেব।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল প্রায় সাড়ে চারটা পর্যন্ত রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন আয়োজিত হয়। ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে আটটা থেকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনার কাজ শুরু হয়।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান জানান, নির্বাচনে ৬৯.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ২৩ পদের ২০টিতেই জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।
আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তিনি ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট। তাঁদের ভোটের ব্যবধান ৯ হাজার ২৯০।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়ী হয়েছেন সাবেক সমন্বয়ক ও আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১১ হাজার ৫৩৭। এ পদে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৯ ভোট। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৫ হাজার ৮০৮।
অন্যদিকে ৬ হাজার ৯৭১ ভোট নিয়ে সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সালমান সাব্বির। প্রধান তিনটি পদের মধ্যে এই পদে তুলনামূলক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সালমানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের এজিএস প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪১ ভোট। তাঁদের ভোটের ব্যবধান ১ হাজার ৩০।
এ ছাড়া ১৬টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ১৪টিতেই জিতেছে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট। ক্রীড়া ও সম্পাদক পদটি জিতেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের নার্গিস খাতুন। এর বাইরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ তোফা।
সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীদের মধ্যে সহকারী ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে আবু সাঈদ মুহাম্মাদ নুন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে জায়িদ হাসান জোহা, সহকারী সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. রাকিবুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে সাইয়িদা হাফছা, সহকারী মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে সামিয়া জাহান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে বি এম নাজমুছ সাকিব, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে সিফাত আবু সালেহ, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. মুজাহিদ ইসলাম, সহকারী মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আসাদুল্লাহ গালিব, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মুজাহিদুল ইসলাম সাঈম, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ইমরান লস্কর, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. নয়ন হোসেন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মাসুমা ইসরাত মুমু নির্বাচিত হয়েছেন।
এর বাইরে নির্বাহী সদস্য পদেও এই প্যানেলের চার প্রার্থী জয়ী হন। তাঁরা হলেন মো. দীপ মাহবুব, সুজন চন্দ্র, ইমজিয়াউল হক কামালি, এ বি এম খালেদ।
এ ছাড়া সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের। তাঁরা হলেন, মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, ফাহিম রেজা ও সালমান সাব্বির।
তবে এর বাইরে নির্বাচিত দুজন হলেন সালাউদ্দিন আম্মার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আকিল বিন তালেব।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল প্রায় সাড়ে চারটা পর্যন্ত রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন আয়োজিত হয়। ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে আটটা থেকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনার কাজ শুরু হয়।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান জানান, নির্বাচনে ৬৯.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে পরিবর্তন এসেছে তা ওই গণঅভ্যুত্থানের ফলে সম্ভব হয়েছে। জুলাই সনদকে গণঅভুত্থানের দ্বিতীয় অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আজকে যে কাজটা করলাম, এখানে স্বাক্ষর করলাম সবাই মিলে। সেটা দিয়ে বাংলাদেশের পরিবর্তন হবে।
৮ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ হাতে না পাওয়া এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্টস) থাকা না থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে সনদে স্বাক্ষর করেনি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরাম। তবে অনিশ্চয়তা দূর হওয়ায় দলটি পরে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে বলে নিশ্চিত করেছে।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক দিন’ অভিহিত করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দীর্ঘ আলোচনার ফসল হিসেবে এই সনদ চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণ এটিকে অনুমোদন দিলে ভবিষ্যৎ সংসদ এটি বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগে‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে’ এই সনদ শুরু হয়েছে। এতে সাতটি সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার করা হয়েছে—
১০ ঘণ্টা আগে