leadT1ad

সেলিম আল দীনের পদক-পাণ্ডুলিপি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংরক্ষণের দাবি ৫০ নাগরিকের

বরেণ্য নাট্যকার প্রয়াত সেলিম আল দীনের পদক, পুরস্কার, পাণ্ডুলিপি ও স্মৃতিস্মারক রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন দেশের ৫০ নাগরিক।

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা
নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন

প্রখ্যাত নাট্যকার সেলিম আল দীনের পদক, পুরস্কার, পাণ্ডুলিপি ও স্মৃতিস্মারক রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন দেশের ৫০ জন নাগরিক। এ দাবিতে তাঁরা মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে নাগরিকেরা বলেছেন, সেলিম আল দীনের পদক, পুরস্কার, পাণ্ডুলিপি ও স্মৃতিস্মারক অযত্নে, অবহেলায় পড়ে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। বাংলা ভাষার এমন একজন কীর্তিমান নাট্যকারের এসব গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দলিল দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করে একটি পরিবারের কাছে কুক্ষিগত রয়েছে জানতে পেরে আমরা মর্মাহত।

বিবৃতিতে বলা হয়, সেলিম আল দীন আমাদের নাট্যশিল্পের ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নাম। তার নাটক, গবেষণা ও শিল্পভাবনা কেবল নাট্যচর্চাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়নি, বরং আমাদের জাতিসত্তার শেকড়ের সঙ্গে শিল্প-সাহিত্যের যোগসূত্রকে আরও গভীর করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন একজন ব্যক্তিত্বের স্মৃতিস্মারক রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের সংরক্ষণ করা হয়েছে। যা তাঁদের জাতিগত ও রাষ্ট্রীয় গৌরবের চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত।’

নাগরিকেরা বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলো সেলিম আল দীন এ ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার। তাঁর সঙ্গে যাঁরা দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন তাঁরাও এসব গুরুত্বপূর্ণ স্মারক অবহেলায় দীর্ঘ ১৭ বছর পড়ে থাকার দায় এড়াতে পারেন না। এ মহান শিল্পীর জীবন ও কর্ম জাতীয় গৌরবের অংশ। তাঁর পদক, পুরস্কার, পাণ্ডুলিপিসহ স্মৃতিস্মারক আমাদের অমূল্য সম্পদ। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেলিম আল দীনের যাবতীয় স্মৃতিস্মারক সংরক্ষণ, প্রদর্শন, ও গবেষণা কাজের জন্য উন্মুক্ত করা।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন—কবি কাজল শাহনেওয়াজ; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক রায়হান রাইন; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব উল্লাস জাকারিয়া ওশুসমিন আফসানা; লেখক ও বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক; লেখক ও শিক্ষক ফাহমিদুল হক; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার; অভিনয়শিল্পী নওশাবা সিকদার মুক্তি; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল ফজল; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান কাজল; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সংগীতজ্ঞ কৌশিক আহমেদ; কবি ও সংগঠক নাহিদ ইসলাম; লেখক ও গবেষক মীর হুযাইফা আল মামদূহ; কবি রহমান হেনরী; কথাসাহিত্যিক পাপড়ি রহমান; লেখক ও রাজনৈতিককর্মী বাকী বিল্লাহ; লেখক ও অধিকার কর্মী ফেরদৌস আরা রুমী; সংস্কৃতিকর্মী জাহেদুল আলম হিটো; সংস্কৃতিকর্মী রঘু অভিজিৎ রায়; চলচ্চিত্রনির্মাতা রজত তন্ময় পাল; সংগীতশিল্পী ও নির্মাতা ইমামুল বাকের এপোলো; লেখক ও চলচ্চিত্র গবেষক ওয়াহিদ সুজন; কবি ও সংগঠক চিনু কবির; অভিনেতা সোহেল তৌফিক; সংস্কৃতিকর্মী আব্দুল মজিদ অন্তর; চলচ্চিত্র গবেষক হারুন অর রশিদ; লেখক জুবায়ের ইবনে কামাল; দৈনিক ফেনীর সময়ের সম্পাদক শাহাদত হোসেন; চলচ্চিত্রনির্মাতা অনার্য মুর্শিদ; গবেষক ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমিনুর রহমান; কবি জাহিদ জগৎ; কবি ও কথাসাহিত্যিক রাসেল রায়হান; কবি নকিব মুকশি; লেখক এনামূল হক পলাশ; কবি ও সংগঠক মাসুম মুনাওয়ার; কবি সুলতান আকন; কবি ও কথাসাহিত্যিক শাদমান শাহিদ; থিয়েটারকর্মী সামিউন জাহান দোলা; লেখক ও শিক্ষক শামীমা নাজনিন তনিমা; সর্বজনের সংস্কৃতির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান; কবি পলিয়ার ওয়াহিদ; কবি উপল বড়ুয়া; লেখক ও গবেষক রাহুল বিশ্বাস; কবি ও সংস্কৃতিকর্মী রহমান মুফিজ; মানবাধিকার কর্মী জাহিন জামাল; সংস্কৃতিকর্মী জাহিন ইবনে জামাল; কবি ও লেখক সাজ্জাদ বিপ্লব; কবি ও শিক্ষক রাকিব লিখন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত