নুরাল পাগলার দরবার কাণ্ডে গ্রেপ্তার ১৪
সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর নুরাল পাগলার দরবার পরিদর্শন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ছিদ্দিকুর রহমান।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারের হামলা, ভাঙচুর ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় প্রশাসনের লোক জড়িত থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. ছিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কেউ জরিত থাকলে তাঁকেও ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সাথে তদন্তে যার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ বেরিয়ে আসবে, যার অপরাধ খুঁজে পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাতে যদি কেউ প্রশাসনে থাকে বা প্রশাসনের বাইরেও থাকে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ীর নুরাল পাগলার দরবার পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। সোমবার বেলা বারোটা থেকে নূরাল পাগলার ক্ষতিগ্রস্ত দরবারে কাজ করছে পুলিশে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘সবকিছু আমরা করছি সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। ভিডিও ফুটেজসহ যে কোনো বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপড়তা, যেকোনো ধরনের ইনফরমেশন বিশ্লেষণ করে আমরা যখন নিশ্চিত হব, যিনি প্রকৃত অপরাধী, তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে শুক্রবার নুরাল পাগলার দরবারে হামলা সময় ইমান ও আকিদা রক্ষা কমিটি এবং তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা। এর পর থেকে এলাকায় গণগ্রেপ্তারের আতঙ্ক তৈরি হয়। অনেক পরিবারের পুরুষ বাড়ির ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গণগ্রেপ্তার না করে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার বিচার করা হবে বলে জানিয়ে সোমবার ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গণগ্রেপ্তার বলতে যা বোঝায় ব্যাপারটা কিন্তু সেটা না, আইনকানুন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা একটা জাস্টিজ করব। আমরা কিন্তু গণগ্রেপ্তার করিনি। আমাদের গ্রেপ্তার খুবই সীমিত। এ ধরনের ঘটনায় জনগণ ভাবতে পারে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হবে। ব্যাপারটা আসলে সেটা না, যারাই অপরাধী তারাই আইনের আওতায় আসবে।’
যারা আইনশৃঙ্খলা ভেঙেছে কেবল তাদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘একটা সমাবেশে হাজার হাজার লোক থাকতে পারে, নাশকতা সবাই করে না। সবাইকে গ্রেপ্তার করা, সবাইকে আইনের আওতায় আনা আইন সম্মত না। এ ছাড়া আমরা সব কিছু নজরদারি করছি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ প্রশাসন রয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সবকিছু বলা যাবে।’
গ্রেপ্তার বেড়ে দাঁড়াল ১৪
নুরাল পাগলার দরবারে হামলা নিয়ন্ত্রণের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শরীফ আল রাজীব বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার জুরান মোল্লার পাড়ায় নুরাল পাগলা করব নিয়ে আপত্তি তুলে ‘ইমান ও আকিদা রক্ষা কমিটি’ ও তৌহিদী জনতা। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম জানায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) একটি মসজিদে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ-সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা। বিক্ষোভ থেকে হামলা চালানো হয় নুরাল পাগলের দরবার শরীফে। পাল্টা আক্রমণ করেন নুরাল পাগলের ভক্তরা। সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা নামে এক ভক্ত নিহত ও শতাধীক মানুষ আহত হন। পরে নুরাল পাগলের দরবার শরীফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় তৌহিদী জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। সেই ঘটনায় করা মামলায় মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারের হামলা, ভাঙচুর ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় প্রশাসনের লোক জড়িত থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. ছিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কেউ জরিত থাকলে তাঁকেও ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সাথে তদন্তে যার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ বেরিয়ে আসবে, যার অপরাধ খুঁজে পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাতে যদি কেউ প্রশাসনে থাকে বা প্রশাসনের বাইরেও থাকে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ীর নুরাল পাগলার দরবার পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। সোমবার বেলা বারোটা থেকে নূরাল পাগলার ক্ষতিগ্রস্ত দরবারে কাজ করছে পুলিশে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘সবকিছু আমরা করছি সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। ভিডিও ফুটেজসহ যে কোনো বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপড়তা, যেকোনো ধরনের ইনফরমেশন বিশ্লেষণ করে আমরা যখন নিশ্চিত হব, যিনি প্রকৃত অপরাধী, তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে শুক্রবার নুরাল পাগলার দরবারে হামলা সময় ইমান ও আকিদা রক্ষা কমিটি এবং তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা। এর পর থেকে এলাকায় গণগ্রেপ্তারের আতঙ্ক তৈরি হয়। অনেক পরিবারের পুরুষ বাড়ির ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গণগ্রেপ্তার না করে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার বিচার করা হবে বলে জানিয়ে সোমবার ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গণগ্রেপ্তার বলতে যা বোঝায় ব্যাপারটা কিন্তু সেটা না, আইনকানুন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা একটা জাস্টিজ করব। আমরা কিন্তু গণগ্রেপ্তার করিনি। আমাদের গ্রেপ্তার খুবই সীমিত। এ ধরনের ঘটনায় জনগণ ভাবতে পারে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হবে। ব্যাপারটা আসলে সেটা না, যারাই অপরাধী তারাই আইনের আওতায় আসবে।’
যারা আইনশৃঙ্খলা ভেঙেছে কেবল তাদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘একটা সমাবেশে হাজার হাজার লোক থাকতে পারে, নাশকতা সবাই করে না। সবাইকে গ্রেপ্তার করা, সবাইকে আইনের আওতায় আনা আইন সম্মত না। এ ছাড়া আমরা সব কিছু নজরদারি করছি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ প্রশাসন রয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সবকিছু বলা যাবে।’
গ্রেপ্তার বেড়ে দাঁড়াল ১৪
নুরাল পাগলার দরবারে হামলা নিয়ন্ত্রণের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শরীফ আল রাজীব বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার জুরান মোল্লার পাড়ায় নুরাল পাগলা করব নিয়ে আপত্তি তুলে ‘ইমান ও আকিদা রক্ষা কমিটি’ ও তৌহিদী জনতা। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম জানায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) একটি মসজিদে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ-সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা। বিক্ষোভ থেকে হামলা চালানো হয় নুরাল পাগলের দরবার শরীফে। পাল্টা আক্রমণ করেন নুরাল পাগলের ভক্তরা। সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা নামে এক ভক্ত নিহত ও শতাধীক মানুষ আহত হন। পরে নুরাল পাগলের দরবার শরীফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় তৌহিদী জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। সেই ঘটনায় করা মামলায় মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার গতিশীল করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারে থাকা মামলাগুলো এই কমিটির আওতার বাইরে থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
৫ ঘণ্টা আগেতদন্ত কর্মকর্তার কাছে বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিন্তক, বুদ্ধিজীবী ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর যে জবানবন্দি দিয়েছিলেন, সেটি গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আবেদন করবে প্রসিকিউশন।
৫ ঘণ্টা আগে