রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা
নুরাল পাগলার কবর ভেঙে লাশ নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার পর এলাকায় নেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এমন কি দরবারে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট এবং নুরাল পাগলা এক ভক্ত নিহতের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার কবর নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় দুদিনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ওই মামলা করে পুলিশ। এরপর থেকেই এলাকায় দেখা দিয়েছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক।
এদিকে নুরাল পাগলার কবর ভেঙে লাশ নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার পর এলাকায় নেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এমন কি দরবারে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট এবং নুরাল পাগলা এক ভক্ত নিহতের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে নুরুল পাগলার বাড়ি জেলার গোয়ালন্দ পৌরসভার জুরান মোল্যারপাড়ায় ওই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নতুন করে সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও দরবারে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার হামলার সময় পুলিশের দুইটি এবং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। এতে আহত হন ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার দিন রাতে ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা। এতে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট, কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার পরর শনিবার রাতে গোয়ালন্দঘাট থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, দক্ষিণ উজানচর দিরাজতুল্লা মৃধাপাড়া বাসিন্দা ও উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ মৃধা, দেওয়ানপাড়া গ্রামের শাফিন সরদার ও এনামুল হক জনি এবং কাজীপাড়ার বাসিন্দা কাজী অপু।
এদিকে রবিবার বিকেলে গোয়ালন্দ উপজেলার দিরাজতুল্লাহ মৃধা ডাঙ্গীর এলাকার মো. হায়াত আলী মৃধা ও নতুনপাড়ার (মাল্লাপট্রি) বাসিন্দা মো. জীবন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তার আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে রোববার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও কালুখালী আমলী আদালতের তাঁদের উপস্থাপন করা হয়। বিকেলে আদালতের বিচারক তানজীম আহম্মেদ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে তাঁদের রিমান্ড আবেদন শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘পুলিশের করা মামলায় সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা না-মঞ্জুর করেছেন। আমরা আদালতের কাছে অনুরোধ করেছি, নিরাপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পান।’
গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার পর বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, দরবারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ দেখতে ভীড় করছেন উৎসুক জনতা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। নুরাল পাগলের পরিবার ও তাঁর নিহতের ভক্তের পরিবারের পক্ষে কোনো মামলা দায়ের করেনি। মামলা করলে তা গ্রহণ করা হবে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, গ্রেপ্তার আসামি কাজী অপু আদালতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও লাশ উত্তোলন, মাজার ভাঙচুরের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা ভক্তদের কাছে ‘পীর’ হিসেবে সম্মানিত ছিলেন। চলতি বছরের ২৩ আগস্ট তিনি মারা যান। পরিবারের সিদ্ধান্তে তাঁকে নিজ বাড়ির সামনে প্রায় ১২ ফুট উঁচু একটি কাঠামোর ভেতরে কবরে দেওয়া হয়। পরে কবরটি ‘কাবা শরীফের’ আদলে রং করে ‘হযরত ইমাম মাহদী (আ.) দরবার শরীফ’ লেখা ব্যানার টাঙান তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা। এ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় মুসলিমরা।
জানা গেছে, বিষয়টি এ নিয়ে জেলা, উপজেল ও পুলিশ প্রশাসনসহ নুরাল পাগলের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন স্থানীয় ‘তৌহিদী জনতার’ প্রতিনিধিরা। তবে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত অমিমাংসিতই ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ‘ঈমান-আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটি’ নামে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলার ৫টি উপজেলাতে সমাবেশের ডাক দেয়।
ঘোষণা অনুযায়ি শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার ক্লাব চত্বরে একত্রিত হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে নুরাল পাগলের আস্তানায় হামলা করে আগুন ধরিয়ে তারা। কবর থেকে নুরাল পাগলার লাশ তুলে পদ্মার মোড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
উত্তেজিত লোকজনের হামলায় নুরাল পাগলার অনুসারী মো. রাসেল মোল্যা (২৮) নিহত হন। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পুর্ব তেনাপচা জুট মিস্ত্রি পাড়ার মো. আজাদ মেম্বারের ছেলে। এ ছাড়া পাগলের অনুসারী ও উত্তেজিত লোকজনের ছোড়া ইট, পাথরে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ আহত হন অন্তত ৫০ জন।
শুক্রবার উত্তেজিত লোকজনের সঙ্গে নুরাল পাগলের অনুসারীদের ইট-পাথর নিক্ষেপে হযরত আলী (৫০), শাকিব শেখ (১৮), আ. আজিজ (৬০), আলামিন হাবিব (২৬), আলম মিয়া (৫০), মোয়াজ্জেম (২১), রাজু শেখ (৪২), রাতুল (১৭), আলমাস (২৫), হান্নান (২১), সেহেদী রাহেলা (৫৫), মুসা মোল্যা (৫০), মান্নান (৬৫), বিজয় কুমার সাহা (৮০), রাসেল (২৮), রিপন (২৬), সুমি (৩৬), মিথিলা (১৫), উজ্জল (৪২), শিমুল হোসাইন (২৭), রাজবাড়ীর চিত্রগ্রাহক আব্দুল হালিম মিয়া, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। তাঁরা এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার কবর নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় দুদিনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ওই মামলা করে পুলিশ। এরপর থেকেই এলাকায় দেখা দিয়েছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক।
এদিকে নুরাল পাগলার কবর ভেঙে লাশ নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার পর এলাকায় নেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এমন কি দরবারে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট এবং নুরাল পাগলা এক ভক্ত নিহতের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে নুরুল পাগলার বাড়ি জেলার গোয়ালন্দ পৌরসভার জুরান মোল্যারপাড়ায় ওই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নতুন করে সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও দরবারে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার হামলার সময় পুলিশের দুইটি এবং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। এতে আহত হন ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার দিন রাতে ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা। এতে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট, কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার পরর শনিবার রাতে গোয়ালন্দঘাট থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, দক্ষিণ উজানচর দিরাজতুল্লা মৃধাপাড়া বাসিন্দা ও উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ মৃধা, দেওয়ানপাড়া গ্রামের শাফিন সরদার ও এনামুল হক জনি এবং কাজীপাড়ার বাসিন্দা কাজী অপু।
এদিকে রবিবার বিকেলে গোয়ালন্দ উপজেলার দিরাজতুল্লাহ মৃধা ডাঙ্গীর এলাকার মো. হায়াত আলী মৃধা ও নতুনপাড়ার (মাল্লাপট্রি) বাসিন্দা মো. জীবন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তার আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে রোববার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও কালুখালী আমলী আদালতের তাঁদের উপস্থাপন করা হয়। বিকেলে আদালতের বিচারক তানজীম আহম্মেদ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে তাঁদের রিমান্ড আবেদন শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘পুলিশের করা মামলায় সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা না-মঞ্জুর করেছেন। আমরা আদালতের কাছে অনুরোধ করেছি, নিরাপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পান।’
গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার পর বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, দরবারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ দেখতে ভীড় করছেন উৎসুক জনতা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। নুরাল পাগলের পরিবার ও তাঁর নিহতের ভক্তের পরিবারের পক্ষে কোনো মামলা দায়ের করেনি। মামলা করলে তা গ্রহণ করা হবে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, গ্রেপ্তার আসামি কাজী অপু আদালতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও লাশ উত্তোলন, মাজার ভাঙচুরের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা ভক্তদের কাছে ‘পীর’ হিসেবে সম্মানিত ছিলেন। চলতি বছরের ২৩ আগস্ট তিনি মারা যান। পরিবারের সিদ্ধান্তে তাঁকে নিজ বাড়ির সামনে প্রায় ১২ ফুট উঁচু একটি কাঠামোর ভেতরে কবরে দেওয়া হয়। পরে কবরটি ‘কাবা শরীফের’ আদলে রং করে ‘হযরত ইমাম মাহদী (আ.) দরবার শরীফ’ লেখা ব্যানার টাঙান তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা। এ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় মুসলিমরা।
জানা গেছে, বিষয়টি এ নিয়ে জেলা, উপজেল ও পুলিশ প্রশাসনসহ নুরাল পাগলের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন স্থানীয় ‘তৌহিদী জনতার’ প্রতিনিধিরা। তবে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত অমিমাংসিতই ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ‘ঈমান-আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটি’ নামে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলার ৫টি উপজেলাতে সমাবেশের ডাক দেয়।
ঘোষণা অনুযায়ি শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার ক্লাব চত্বরে একত্রিত হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে নুরাল পাগলের আস্তানায় হামলা করে আগুন ধরিয়ে তারা। কবর থেকে নুরাল পাগলার লাশ তুলে পদ্মার মোড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
উত্তেজিত লোকজনের হামলায় নুরাল পাগলার অনুসারী মো. রাসেল মোল্যা (২৮) নিহত হন। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পুর্ব তেনাপচা জুট মিস্ত্রি পাড়ার মো. আজাদ মেম্বারের ছেলে। এ ছাড়া পাগলের অনুসারী ও উত্তেজিত লোকজনের ছোড়া ইট, পাথরে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ আহত হন অন্তত ৫০ জন।
শুক্রবার উত্তেজিত লোকজনের সঙ্গে নুরাল পাগলের অনুসারীদের ইট-পাথর নিক্ষেপে হযরত আলী (৫০), শাকিব শেখ (১৮), আ. আজিজ (৬০), আলামিন হাবিব (২৬), আলম মিয়া (৫০), মোয়াজ্জেম (২১), রাজু শেখ (৪২), রাতুল (১৭), আলমাস (২৫), হান্নান (২১), সেহেদী রাহেলা (৫৫), মুসা মোল্যা (৫০), মান্নান (৬৫), বিজয় কুমার সাহা (৮০), রাসেল (২৮), রিপন (২৬), সুমি (৩৬), মিথিলা (১৫), উজ্জল (৪২), শিমুল হোসাইন (২৭), রাজবাড়ীর চিত্রগ্রাহক আব্দুল হালিম মিয়া, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। তাঁরা এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আবেদন করেছেন অমর্ত্য রায় জন।
২১ মিনিট আগেরাজশাহী মহানগরীর মোল্লাপাড়ার মালপাহাড়িয়া মহল্লায় গিয়ে বসতি পরিবারগুলো সদস্যদের কথা শুনেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগিদ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের মতো এবারও যাতে এবারও দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ বৈধ বা লাইসেন্স করা অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। এই নিয়ম অমান্য করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
১ ঘণ্টা আগে