leadT1ad

পর্যটকদের জন্য খুলছে কেওক্রাডং, দুই বছর বন্ধ ছিল কেন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ০৮
বান্দরবানের সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং। ছবি: উইকিপিডিয়া থেকে

দুই বছর বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বান্দরবানের সর্বোচ্চ চূড়া কেওকারাডং। আগামীকাল বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে ভ্রমণপিপাসুরা আবারও উঠতে পারবেন এ পাহাড়চূড়ায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য কিছু শর্তও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি কেওক্রাডং পর্বত ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য ছয়টি শর্ত আরোপ করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বান্দরবান জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সিদ্ধান্ত; রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় চিঠি এবং বান্দরবান সেনানিবাসের চিঠির আলোকে কেওক্রাডং পর্বত পর্যটনকেন্দ্রটি আগামী ১ অক্টোবর থেকে সব পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।

প্রসঙ্গত, কেওক্রাডং বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেকিং স্পট। এর উচ্চতা ৩ হাজার ১৭২ ফুট (প্রায় ৯৬৮ মিটার)। প্রকৃতিপ্রেমী ও সাহসী ভ্রমণকারীদের কাছে চূড়াটির আলাদা কদর আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে পর্যটক যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।

কেন বন্ধ ছিল

২০২২ সালের শেষ দিকে বান্দরবান ও পার্বত্য এলাকার কয়েকটি উপজেলায় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ তৈরি হয়। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সক্রিয়তা বাড়ে। একের পর এক গোলাগুলি, অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটতে থাকে। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় ২০২৩ সালের শুরুতে জেলা প্রশাসন রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে কেওক্রাডংও বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর প্রায় দেড় থেকে দুই বছর পর্যটনকেন্দ্রটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় অভিযান চালায়। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এ সময় অবকাঠামো উন্নয়নের কাজও হয়। রুমার বগালেক থেকে কেওক্রাডং পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়, যা পর্যটকদের যাতায়াতকে আরও সহজ করবে।

মানতে হবে যেসব শর্ত

জেলা প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তিতে পর্যটকদের জন্য কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়। উন্মুক্ত পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া উপজেলার অন্য জায়গায় পর্যটকদের গমনাগমন নিষিদ্ধ, নিবন্ধিত ট্যুর গাইড ব্যতীত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট বা পর্যটন তথ্য সেবাকেন্দ্রে তথ্য সরবরাহ, নির্দেশনাগুলো অমান্য হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করা, পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী ও ফিটনেসবিহীন সব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা।

এ ছাড়া অযাচিত যেকোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পর্যটন শিল্পের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত