leadT1ad

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংস করেই উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

স্ট্রিম সংবাদদাতাগাজীপুর
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২১: ০৫
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২১: ০৫
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো ধ্বংস করেই আমাদের উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা তরুণ প্রজন্ম বা সংস্কৃতি-মনা, যারা বিতর্ক করতে ভালোবাসেন; তারা উন্নয়ন নিয়ে বিতর্ক করবেন। তারা সংস্কৃতিতে প্রকৃতি কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, সেটা নিয়ে ভাববেন।’

আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে গাজীপুরস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘যে নদীগুলো দিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের পরিচয় ডিফাইন করি, সেই নদীগুলো চোখের সামনে দূষিত হয়ে যাবে, মরে যাবে; এটা তো কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার নয়। তাহলে আমার নিজের যে পরিচয়টা, সেটাই অস্বীকার করছি। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের যে নিবিড় সম্পর্ক আছে, আমাদের সংস্কৃতিতে তার অনেক প্রতিফলন ঘটছে। আপনারা যারা সংস্কৃতির চর্চা করেন, তেমন করে প্রকৃতির বার্তাটাও পৌঁছে দিতে পারেন সবার কাছে সেটা একটু মনে রাখবেন।’

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. এটিএম জাফরুল আযম প্রমুখ।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যারা বিতর্ক করেন তারা বলবেন মেগা প্রজেক্ট একমাত্র উন্নয়নের হাতিয়ার নাকি প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করে তার উপর প্রজেক্ট নির্ভরতার দিকে আমরা যাবো। প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে কোনোভাবে কোন মেগা প্রোজেক্ট আমরা করতে দেব না। মেগা প্রজেক্ট করার আগে প্রকৃতির উপর কি প্রভাব পড়বে সেটা বস্তুনিষ্ঠভাবে যাচাই করে নেব। অপরিহার্য ও জাতীয় প্রয়োজন ছাড়া আমরা কোনোভাবেই গাছ কাটবো না। এই কথাগুলো বিতর্কের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।’

তিনি বলেন, ‘ধরে নিলাম, এই দেড় বছর সব কাজ খুব সুন্দরভাবে হইছে। দেড় বছর পরে তাহলে কী হবে? এটা কিন্তু আমাদের এখন থেকে ভাবতে হবে যে, আমরা আসলে কী চাই। আমরা নদীর ক্ষেত্রে কী চাই, পাহাড়ের ক্ষেত্রে কী চাই, বনের ক্ষেত্রে কী চাই, কৃষি জমির ক্ষেত্রে কী চাই? এই জিনিসগুলো যদি আমরা ভাবি, তাহলে এই যে আপনারা বিতর্ক করেন বিতর্কের মাধ্যমে এই মূল্যবোধ যখন চর্চার ক্ষেত্রে হবে। তখন কিন্তু যখন যে প্রশাসকই হোক না কেন, সে রাষ্ট্রটা সেভাবেই চালাবে; এটা ভেবে যে প্রকৃতি বিধ্বংসী কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না।’

মানুষ যখন মানুষের সঙ্গে অন্যায় করে অবিচার করে, তার একটা বিচার দেওয়ার জায়গা আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনি ডিসি সাহেবের কাছে যেতে পারেন, আদালতে যেতে পারেন। কিন্তু মানুষ যখন নদীর বিরুদ্ধে অত্যাচার করে, পাহাড় কেটে ফেলে, বনের মধ্যে আগুন লাগিয়ে চিংড়ি চাষ করে। তখন বনটা কোথায় যাবে, পাহাড়টা কোথায় যাবে নদীটা কোথায় যাবে ও বন্যপ্রাণীটা কোথায় যাবে?’

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সাংবাদিক ও প্রশাসনের বিভিন্ন লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রতিযোগীদের মাঝে স্মারক ও সনদ তুলে দেন।

Ad 300x250

৩৪ বছর পর চাকসু নির্বাচনের তফসিল আসছে বৃহস্পতিবার

৭১ ইস্যুতে ইসহাক দারের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

'ভেজাল লাগাইয়া দিয়া যেভাবে নির্লিপ্ত আছেন, এটা আপনাকে সেভ করবে না'

জামায়াতের আমিরের সঙ্গে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

নির্বাচন কমিশন একটি দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

সম্পর্কিত