leadT1ad

৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৩৬
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০: ১৮
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

আগামী ৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে চূড়ান্ত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের আয়োজন করছে সরকার। সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট (পিআইডি) থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল রবিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ খসড়া চূড়ান্ত করেছে। বিকাল ৫টায় নির্ধারিত অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা পাঠ করা হবে।

একই পোস্টে তিনি বলেন, ‘ছত্রিশ জুলাই’ — গত বছরের এই দিনে বাংলাদেশে ঘটেছিল এক অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থান, যার ফলে ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে দেশ মুক্ত হয়। শহীদদের রক্ত ও দেশের ত্যাগী যোদ্ধাদের পথ অনুসরণ করে তখন দেশের সর্বত্র একত্রিত হয়েছিল জনতা। পথঘাট ও রাস্তায় ছিল উল্লাসমুখর মানুষের ঢল, যারা সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। এক বছর পর আবারও ফিরে এসেছে ঐতিহাসিক ‘ছত্রিশ জুলাই’। এ উপলক্ষে ৫ আগস্ট দিনব্যাপী ‘৩৬ জুলাই উদযাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠান মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

অংশগ্রহণকারীদের জন্য দিনব্যাপী আয়োজনের সূচি অনুযায়ী, বেলা ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। বিকাল ৫টায় প্রধান আকর্ষণ হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে রাত ৮টায় জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল-এর গান পরিবেশনায়।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই আয়োজনের প্রধান আয়োজক। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।

অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করে জুলাই ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত করেছে। এই ঘোষণাপত্রের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়ে দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো একমত পোষণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিশ্চিত করেছেন, ‘আগামী ৫ আগস্ট বিকাল ৫টায় গণ-অভ্যুত্থানের সকল পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।’

এদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি অনুষ্ঠান সূচিও প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ‘ছত্রিশ জুলাই- গত বছর এই দিনে পৃথিবী দেখেছিল এক অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থান। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ফ‍্যাসিস্ট। বহু শহীদের রক্ত এবং যোদ্ধাদের ত্যাগের পথ ধরে পুরো বাংলাদেশ এক হয়েছিল। পথে পথে ছিল উল্লাসমুখর জনতার জোয়ার। বাংলাদেশের বহু রাস্তায় আবেগাপ্লুত মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন।’

‘এক বছর পর আবার ফিরে এসেছে ছত্রিশ জুলাই। এই দিনে ঘোষিত হতে যাচ্ছে জাতির আকাঙ্ক্ষিত “জুলাই ঘোষণাপত্র”। এই উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজন থাকছে মানিক মিয়া এভিনিউ জুড়ে। আসুন আমরা সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে যোগ দেই “ছত্রিশ জুলাই” উদযাপনে। আমাদের ইতিহাস, আমাদের গৌরব।’

৫ আগস্ট ‘সাধারণ ছুটি’

এর আগে গত ২ জুলাই ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকার প্রতিবছর ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে। দিনটিতে সাধারণ ছুটি থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, দিবসটি পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন–সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে জারি করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে ওইদিন দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত