leadT1ad

রামপুরায় ২৮ হত্যা: দুই সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৪০
সেনা কর্মকর্তাদের বহনের জন্য পুলিশের প্রিজন ভ্যান। স্ট্রিম ছবি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সেই সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) কর্মরত দুই সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

এই দুই কর্মকর্তা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম ও সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের শুনানিতে পলাতক দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) নিয়োগ এবং মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য হতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে ‘বাংলাদেশ জেল-প্রিজন ভ্যান’ লেখা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবুজ রঙের একটি গাড়িতে করে ওই দুই কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তাঁদের হাজির করা উপলক্ষ্যে হাইকোর্ট এলাকা ও ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট এলাকার আশপাশে সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

এ মামলার মোট আসামি চারজন। কারাগারে থাকা দুই সেনা কর্মকর্তা ছাড়া বাকি দুজন পুলিশ কর্মকর্তা, যারা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন—ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান। এর আগে গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা রেদোয়ানুল ও রাফাতকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং পলাতকদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে যে হত্যাযজ্ঞ চলেছিল, তার মধ্যে রামপুরা এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সেখানে অন্তত ২৮ জন নিহত হন। বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুল ইসলামকে সে সময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছুড়তে দেখা গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিদের বিরুদ্ধেও এই হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ইতিমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেছে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত