leadT1ad

নাট্যকলা বিভাগে নিয়োগ অনিয়ম: রাবির দুই শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ২৩
রাবির নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদে আমরণ অনশন শুরু করেছেন দুই শিক্ষার্থী। স্ট্রিম ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদে আমরণ অনশন শুরু করেছেন দুই শিক্ষার্থী। এর আগে টানা দুই দিন প্রতীকী অনশন পালন করার পর দাবি আদায় না হওয়ায় শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে তাঁরা এই কর্মসূচি শুরু করেন।

অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন—নাট্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদেক রহমান ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদ রাতুল।

অনশন চলাকালে তাঁরা ‘নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনশন কর্মসূচি’, ‘জবাবদিহিতা নিশ্চিত কর’ এবং ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’— স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন।

অনশনরত শিক্ষার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি এআই দিয়ে তৈরি বলে প্রচার করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। লিখিত পরীক্ষাতেও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা আমরণ অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি।’

অন্য অনশনকারী সাদেক রহমান বলেন, ‘শখ করে কেউ অনশন করে না। যখন ন্যায়ের সব পথ বন্ধ হয়ে যায়, তখনই মানুষ এই পথ বেছে নেয়। আমরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করিনি, নিয়মের পথেই লড়াই করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে প্রশাসনকে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে সিন্ডিকেট সভায় বসতে হবে।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা এবং শুক্রবার ৮ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন পালন করেন এই দুই শিক্ষার্থী।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া ও সহযোগী অধ্যাপক কাজী সুষ্মিন আফসানা।

অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া বলেন, ‘অভিযোগ ওঠার পরও বিভাগের সভাপতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় বসেননি। আমি প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য দাবির সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মীর মেহবুবের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

তবে অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রকাশিত সংবাদ ও ফোনালাপের অডিওর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম আসাদুল হককে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্যসহ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন প্রার্থী। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত