leadT1ad

গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

‘প্রয়োজনে জানুয়ারিতেই নির্বাচন দিন’

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৩৩
গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নুরুল হক নুর। সংগৃহীত ছবি

সবাই নির্বাচন চায়, নির্বাচন যত দেরি হবে রাজনীতিবিদেরা তত বিপদে পড়বেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ২৬ অক্টোবর দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ আয়োজনে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, ‘সবাই চায় নির্বাচন যথাসময়ে হোক। যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে রাজনীতিবিদদের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে।’

এসময় জাতীয় পার্টিকে কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জিএম কাদের কীভাবে বলতে পারেন আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না? এ বক্তব্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অপমানিত করে। জাতীয় পার্টি যদি আবার আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার ভূমিকা নেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি নির্বাচনের সময় নির্ধারণে বিলম্ব না 'করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “প্রয়োজনে জানুয়ারিতেই নির্বাচন দিন। বিলম্ব হলে তা কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।”

অনুষ্ঠানে বর্তমান সময়ে রাস্তায় আন্দোলনের পরিবর্তে জনগণের কাছে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন সাংঘর্ষিক বা হিংসাপরায়ণ রাজনীতির সময় নয়। আমাদেরকে জনগণের মধ্যে যেতে হবে, তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা যদি পরস্পরের সম্পর্ক নষ্ট করে রাজনীতি চালাই, তাহলে আবার পুরোনো কালচারে ফিরে যাব। দীর্ঘ সংগ্রামের পর আজকে আমরা একসঙ্গে বসতে পারছি, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা বলতে পারছি—এটাই বড় অর্জন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্বিমত পোষণ করলেও অন্যের মতামতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। ভিন্নমত মানেই শত্রুতা নয়।’

দলগুলোর মতপার্থক্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক দলের নিজস্ব চিন্তা ও দর্শন থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। সবকিছু এক জায়গায় মিললে তো আমরা বাকশাল হয়ে যেতাম। তাই যার যার অবস্থান থেকে জনগণের কাছে যেতে হবে। নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই পরিবর্তন আসবে, সেটা ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে।’

এ সময় বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন যেন কোনোভাবেই আইনি বা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বাইরে না যায়।

তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ হবে জাতীয় জীবনে রাজনৈতিক সমঝোতার ঐতিহাসিক দলিল। এটি বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ফোরাম হলো একটি নির্বাচিত জাতীয় সংসদ। তাই আমরা চাই, এই বাস্তবায়ন সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্য দিয়েই হোক—যেন ভবিষ্যতে কোনো আইনি চ্যালেঞ্জ না আসে।’

গণঅধিকার পরিষদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে গণঅধিকার পরিষদ পর্যন্ত দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নুরুল হক নুরের আন্দোলন সংগ্রামে বারবার আঘাত পাওয়া ইতিহাস গৌরবের, কিন্তু সেই বাস্তবতা এখন বদলাতে হবে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ রাজনীতির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে।’

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া কোনো সংস্কার বৈধ হবে না। তাই নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সবার দায়িত্ব সেটি নিশ্চিত করা।’

দেশে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন আনার চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘নির্বাচন সফল করতে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের সরকার গঠনের চক্রান্ত চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত