leadT1ad

ঢাকা স্ট্রিম অফিসে জনগাঁও নারী ফুটবল একাডেমির মেয়েরা

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৩০
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ২১: ০২
ঠাকুগাঁওয়ের পীরগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম জনগাঁওয়ের মেয়েরা বুধবার এসেছিলেন ঢাকা স্ট্রিম অফিসে। স্ট্রিম ছবি

দেশ-বিদেশের ফুটবল মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো ঠাকুগাঁওয়ের পীরগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম জনগাঁওয়ের মেয়েরা বুধবার এসেছিলেন ঢাকা স্ট্রিম অফিসে। জনগাঁও নারী ফুটবল একাডেমির তিনজন এখন জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের খেলোয়াড়। তাঁরা হলেন— মেঘলা রানী, সুরভী রানী ও জবা রানী। মেঘলা জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোলকিপার। তাঁরা তিনজনই এখন ভুটানে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছেন তাঁরা।

এদিকে, একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মোহন রায় তাঁর একাডেমির মেয়েদের নিয়ে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে খেলোয়াড় নির্বাচনের একটি ট্রায়াল অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। এরই এক ফাঁকেই তাঁরা ঢাকা স্ট্রিমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সোহেল রানার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে যান।

কথা প্রসঙ্গে জানালেন তাঁর স্বপ্ন ও সংগ্রামের কথা। কীভাবে সমাজের কটাক্ষ উপেক্ষা করে তিনি এগিয়ে চলেছেন মেয়েদের ফুটবল দল নিয়ে।

মোহন রায় নিজেও একজন ফুটবলার ছিলেন। তাঁরও স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে খেলার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এক সময় ভাবলেন, নিজে পারেননি তো কী হয়েছে, জাতীয় দলে খেলার অন্য কারো স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবেন। এর মধ্য দিয়ে নিজের অপূর্ণতা কিছুটা হলেও ঘুচবে। সেই স্বপ্ন থেকেই ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন জনগাঁও নারী ফুটবল একাডেমি।

মোহন রায় জানালেন, জনগাঁও নারী ফুটবল একাডেমি শুধু ফুটবল নয় বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতির মূলমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। খেলোয়াড়দের ফুটবলের পাশাপাশি অ্যাথলেট প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

একাডেমির মেয়েরা তাঁদের সংগ্রামের কথা জানাতে গিয়ে বলল, মেয়ে হয়ে কেন ছোট প্যান্ট ও জিন্সের ছোট কাপড় পরে ফুটবল খেলবা— লোকে এ ধরনের আরও নানা কটূ কথা বলত আমাদের। কিন্তু আমরা তাদের কথায় কর্ণপাত না করে স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আশা, এখান থেকে দক্ষ খেলোয়াড় হয়ে সকলেই একদিন জাতীয় দলে খেলবে। যাঁরা আমাদের নিয়ে নানা খারাপ কথা বলছে, তাঁরাই একদিন আমাদের সুনাম করবে।

মোহন রায় জানান, আগে মানুষ বেশি কটূ কথা বললেও এখন কমে এসেছে। মেয়েদের সাফল্য দেখে এখন অনেক পরিবারের অভিভাবক নিজেরাই তাঁদের মেয়েদের একাডেমিতে নিয়ে আসছেন।

ঢাকা স্ট্রিম অফিসে মোহন রায়ের সঙ্গে ছিলেন জনগাঁও ফুটবল একাডেমির প্রচার সম্পাদক স্মরণ চন্দ্র বর্মণ। খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন টুম্পা রানী, রুমি রানী, তুলী রানী, শাহনাজ আক্তার, অনিকা সরেণ, আরতি রানী।

Ad 300x250

সম্পর্কিত