leadT1ad

‘টুপি পরা নিয়ে’ বিবাদ, নোয়াখালীতে মাদ্রাসায় ঘুমের মধ্যে ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
নোয়খালী

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ০৩
আটক কিশোর। সংগৃহীত ছবি

টুপি পরা নিয়ে বিবাদে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে একটি মাদ্রাসায় ঘুমের মধ্যে এক ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করেছে তার সহপাঠী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।

হত্যার শিকার মো. নাজিম উদ্দিন (১৩) উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। অপরদিকে আটক কিশোর (১৬) ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা ও আটক কিশোর ২৩ পারা কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে।

পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, সোনাইমুড়ীর বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগের ছাত্র নাজিম ও ওই কিশোরের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে ঝগড়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার এক শিক্ষক তাদের মিটমাটও করে দেন। কিন্তু অভিযুক্ত কিশোর ওই ঘটনার পর সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে আনে।

এদিকে গতকাল রোববার রাতে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন ১৪ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক। রাত আড়াইটার দিকে অন্য ছাত্রদের অগোচরে অভিযুক্ত কিশোর ঘুমের মধ্যেই নাজিমের গলা কেটে ফেলে। ওই সময় নাজিমের গলার আওয়াজ শুনে ওই কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষক ঘুম থেকে জেগে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে সোমবার ভোরের দিকেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। টুপি পরা নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে বিরোধের সূত্র ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত