leadT1ad

বাকৃবি: হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান, ৬ দফা দাবি

স্ট্রিম সংবাদদাতাময়মনসিংহ
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪২
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) চলমান সংকটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়াকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। স্ট্রিম ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) চলমান সংকটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়াকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন হল ছাড়তে বললেও তাঁরা হল ছাড়বেন না জানিয়ে ছয় দফা দাবিও পেশ করেছেন।

আজ (সোমবার) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমতলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এ এইচ এম হিমেল এই আল্টিমেটাম ও দাবির কথা গণমাধ্যমকে জানান।

গত রোববার দিনভর প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের হামলায় সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে আটজন আহত হন।

উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে এবং শিক্ষার্থীদের সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।

তবে প্রশাসনের এই হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা সোমবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিভিন্ন হল থেকে লাঠিসোঁটাসহ মিছিল নিয়ে কেআর মার্কেটে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখান থেকেই তাঁরা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থী মূল দাবিগুলো হলো

অবিলম্বে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং হলগুলোতে সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ প্রক্টোরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে; শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; হামলায় জড়িত শিক্ষক আসাদুজ্জামান সরকার, তোফাজ্জল, শরীফ, রাফি, বজলুর রহমান মোল্লা, মনির, আশিকুর রহমান, কামরুজ্জামান এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; কম্বাইন্ড ডিগ্রি অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় 'ব্ল্যাক আউট' করে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম জানান, অনেকেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে হল ত্যাগ করেছেন। তবে কিছু শিক্ষার্থী এখনো ক্যাম্পাসে থেকে আন্দোলন করছেন। তিনি আশা করেন বাকি শিক্ষার্থীরাও দ্রুত হল ছেড়ে দেবেন।

প্রক্টর আরও বলেন, হল খালি হয়ে গেলে নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের হাতে চলে যায় এবং তাঁরা এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছেন। বর্তমানে বাকৃবিতে ছেলেদের ৯টি ও মেয়েদের পাঁচটি হল রয়েছে। যেখানে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থী থাকেন।

Ad 300x250

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ এক হলো কেন

তারেক রহমানের দেশে ফেরা তাঁর নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাবি শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক প্যানেল

ক্যাম্পাসে প্রবেশে কড়াকড়ি, পরিচয়পত্র ছাড়া ঢুকতে পারবেন না শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরাও

হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তুলতে জিডি করা লাগবে না

সম্পর্কিত