leadT1ad

ছাঁটাই বন্ধের দাবিতে নীলফামারী ইপিজেডে বিক্ষোভ, এক শ্রমিক নিহত

স্ট্রিম সংবাদদাতানীলফামারী
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৫
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৫
শ্রমিকদের বিক্ষোভে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্ট্রিম ছবি

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিকের নাম হাবিব ইসলাম (৩২) বলে জানা গেছে। তিনি নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাজিরহাটের দুলাল হোসেনের ছেলে। হাবিব ইপিজেডের ভেনচুরা লেদার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেব কাজ করতেন।

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, উত্তরা ইপিজেডে অবস্থিত এভার গ্ৰীন কোম্পানিতে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে গত দুইদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন ইপিজেডের শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার রাতে হঠাৎ করে কোম্পানি বন্ধের নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ শ্রমিক আজ মঙ্গলবার সকালে ইপিজেডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় এক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এতে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানজিরুল ইসলাম ফারহান বলেন, মৃত অবস্থায় ওই শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে একটু ক্ষত ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়াও হাসপাতালে আহত অবস্থায় আরো ৫ শ্রমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর সাঈদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এভার গ্রীন কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশে জানিয়েছে, শ্রমিকদের আন্দোলনে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী নোটিশে পুনরায় চালুর কথা জানানো হবে।

এদিকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা ২০ দফা দাবি তুলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, উৎপাদন টার্গেট কমানো, ওভারটাইম নিশ্চিত করা, ছুটি যথাযথভাবে দেওয়া, বেতন ও ভাতা সময়মতো পরিশোধ, আবাসন ও প্রমোশনের জটিলতা নিরসন, সকাল ৭টার আগে ডিউটি না রাখা, অন্তঃসত্ত্বা শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করা এবং ক্ষুদ্র সমস্যাকে কেন্দ্র করে চাকরিচ্যুত না করা।

Ad 300x250

কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ এক হলো

তারেক রহমানের দেশে ফেরা তাঁর নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাবি শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক প্যানেল

ক্যাম্পাসে প্রবেশে কড়াকড়ি, পরিচয়পত্র ছাড়া ঢুকতে পারবেন না শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরাও

হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তুলতে জিডি করা লাগবে না

সম্পর্কিত