leadT1ad

নুরাল পাগলার দরবার কাণ্ডে ইমামসহ আরও দুজন গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তি

গোয়ালন্দের অম্বলপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় গোয়ালন্দ বড় মসজিদের ইমাম মো. আবু সাঈদকে (৪৫) ফরিদপুর থেকে এবং উপজেলার দেওয়ানপাড়া গ্রামের মো. রাসেল শেখকে (২৪) ঢাকার নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও জেলা ‍পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজবাড়ী
গ্রেপ্তার মো. রাসেল শেখ ও গোয়ালন্দ বড় মসজিদের ইমাম মো. আবু সাঈদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং ভক্ত রাসেল মোল্লা হত্যা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে হত্যা মামলায় ৮ জন ও পুলিশের ওপর হামলা মামলায় ১৬ জনসহ মোট ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের ৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার অম্বলপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় গোয়ালন্দ বড় মসজিদের ইমাম মো. আবু সাঈদ (৪৫), দেওয়ানপাড়া গ্রামের মো. রাসেল শেখ (২৪)। তাঁদের মধ্যে আবু সাঈদকে ফরিদপুর থেকে ও রাসেল শেখকে ঢাকার নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও জেলা ‍পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

বিকেলে রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন তাঁরা। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে হত্যা মামলার আসামি একটি মসজিদের ইমাম মো. আবদুল লতিফ (৩৫) ও পৌর শহরের বাসিন্দা অভি মন্ডল রঞ্জু (২৯) এবং পুলিশে ওপর হামলা মামলার আসামি কাজী অপু, বিল্লু ও সোহান সরদার (৩৩) সহ পাঁচজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব বলেন, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দুটি করা হয়। পরে সুনির্দিষ্ট তথ্য, ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার করব নিয়ে আপত্তি তুলে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ‘ইমান আক্বিদা রক্ষা কমিটি’ ব্যানারে বিক্ষোভ করে মাজারে হামলা চালানো হয়। এতে সংঘর্ষে নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। এক পর্যায়ে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে উঠিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত লোকজন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের দুটি পিকআপ ও গোয়ালন্দ ইউএনও গাড়ি ভাঙচুর করে তারা।

পরে নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লাকে হত্যা, দরবারে অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানোর অভিযোগে নিহতের বাবা আমজাদ মোল্লা বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে গোয়ালন্দ থানায় মামলা করেন। এর আগে গত শুক্রবার পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে রাতে অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত