স্ট্রিম প্রতিবেদক
‘সে হাঁটতে ভালোবাসত। খুবই প্রিয় ছিল তাঁর হাঁটা এবং সেই হাঁটার সময় আমার মনে হতো যে মনজুরুল ইসলাম একটা কাজ শেষ করে আরেকটা কাজে যাচ্ছে অথবা যেন হাঁটতে হাঁটতে চিন্তা করছে। তাঁকে আমি কখনো বিষণ্ণ দেখিনি, হতাশ হতে দেখিনি।’ লেখক, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে এসে তাঁকে নিয়ে এমনভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, তাঁর শিক্ষক ও দীর্ঘদিনের সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যবরণ করেন। তাঁর স্মরণে আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলির আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। আজ সকাল ১১টার দিকে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ শহীদ মিনার চত্বরে আনা হয়। এরপর বৃষ্টি উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘স্যারকে যখনই দেখতাম, উনি মন জুড়ানো একটা হাসি দিতেন। আমার কাছে মনে হয় কারো আত্মা খুব পরিষ্কার না হলে, হৃদয় খুব বিশুদ্ধ না হলে এভাবে হাসা যায় না। হাসিটাই ছিল ওনার সিগনেচার।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও এসেছিলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে শ্রদ্ধা জানাতে। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘উনি বেশ কয়েকটা পরিবেশ বিষয়ক ইস্যুতে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। অনেক বিবৃতিতে আমরা একসঙ্গে সই করেছি। আবার এমন অনেক বিবৃতি ছিল যেখানে উনি আমার সঙ্গে সই করতে চান নাই। কারণ ওনার একটা ব্যক্তিগত অবস্থান ছিল এবং সে ব্যাপারে উনি খুব স্পষ্ট ছিলেন। ওনার অবস্থান ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক ছিল না। এটা তাঁর একটা বিশ্বাসের জায়গা থেকে ছিল…ছাত্রসমাজ তাঁদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্যে একজনকে হারাল।’
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে এসেছিলেন সদ্যই ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া শহিদুল আলম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পাঠশালায় যখন আমাদের ওপরে অনেক রকম আগ্রাসন হয়েছিল, সেইসময় এই ব্যক্তি (সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম) তাঁর কাঁধে পুরো বোঝাটা নিয়ে আমাদের বাঁচিয়েছিলেন।’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শহীদ মিনার থেকে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হয়। সেখানে বাদ জোহর তাঁর নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফনের কথা রয়েছে।
‘সে হাঁটতে ভালোবাসত। খুবই প্রিয় ছিল তাঁর হাঁটা এবং সেই হাঁটার সময় আমার মনে হতো যে মনজুরুল ইসলাম একটা কাজ শেষ করে আরেকটা কাজে যাচ্ছে অথবা যেন হাঁটতে হাঁটতে চিন্তা করছে। তাঁকে আমি কখনো বিষণ্ণ দেখিনি, হতাশ হতে দেখিনি।’ লেখক, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে এসে তাঁকে নিয়ে এমনভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, তাঁর শিক্ষক ও দীর্ঘদিনের সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যবরণ করেন। তাঁর স্মরণে আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলির আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। আজ সকাল ১১টার দিকে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ শহীদ মিনার চত্বরে আনা হয়। এরপর বৃষ্টি উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘স্যারকে যখনই দেখতাম, উনি মন জুড়ানো একটা হাসি দিতেন। আমার কাছে মনে হয় কারো আত্মা খুব পরিষ্কার না হলে, হৃদয় খুব বিশুদ্ধ না হলে এভাবে হাসা যায় না। হাসিটাই ছিল ওনার সিগনেচার।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও এসেছিলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে শ্রদ্ধা জানাতে। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘উনি বেশ কয়েকটা পরিবেশ বিষয়ক ইস্যুতে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। অনেক বিবৃতিতে আমরা একসঙ্গে সই করেছি। আবার এমন অনেক বিবৃতি ছিল যেখানে উনি আমার সঙ্গে সই করতে চান নাই। কারণ ওনার একটা ব্যক্তিগত অবস্থান ছিল এবং সে ব্যাপারে উনি খুব স্পষ্ট ছিলেন। ওনার অবস্থান ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক ছিল না। এটা তাঁর একটা বিশ্বাসের জায়গা থেকে ছিল…ছাত্রসমাজ তাঁদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্যে একজনকে হারাল।’
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে এসেছিলেন সদ্যই ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া শহিদুল আলম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পাঠশালায় যখন আমাদের ওপরে অনেক রকম আগ্রাসন হয়েছিল, সেইসময় এই ব্যক্তি (সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম) তাঁর কাঁধে পুরো বোঝাটা নিয়ে আমাদের বাঁচিয়েছিলেন।’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শহীদ মিনার থেকে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হয়। সেখানে বাদ জোহর তাঁর নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফনের কথা রয়েছে।
আগামীকাল রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির বাসভবন, মাজার গেটসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থানে যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
৪২ মিনিট আগেমানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কয়েকজন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তাঁদের গ্রেপ্তার না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে ছাত্রসংগঠনটির পক্ষ থেকে।
৪ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কমিশনের সুপারিশকে কেবল নৈতিক শক্তি নয়, আইনি প্রভাবসম্পন্ন করতেই হবে। সালিশ বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যও আইনগত কাঠামো থাকা জরুরি।
৪ ঘণ্টা আগেগত ৫৫ বছর আমরা যে দুঃশাসন দেখলাম, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখলাম, ব্যাংক থেকে টাকা উধাও হয়ে যাওয়া, এস আলম গ্রুপের কাজের লোককেও শেয়ারহোল্ডার বানিয়ে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ অসুস্থ, আত্মধ্বংসী রাষ্ট্রকাঠামো থেকে আমাদের সেফ এক্সিট প্রয়োজন।
৬ ঘণ্টা আগে