leadT1ad

রাতে থানায় আত্মসমর্পন, ভোরে পিবিআই হাজতে ‘আত্মহত্যা’

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানায় রোববার রাতে আত্মসমর্পন করেন আলোচিত লিটন হত্যামামলার আসামি মোকাদ্দুস। পরে মামলাটির তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করে থানা-পুলিশ। সোমবার ভোরের দিকে জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কের পিবিআই অফিসের হাজতখানায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে দায়িত্বরত পুলিশ।

স্ট্রিম সংবাদদাতা
মৌলভীবাজার
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারে আত্মসমর্পনের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতে বন্দি অবস্থায় মোকাদ্দুস (৩২) নামে এক আসামির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হাজতখানার ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানিয়েছে পিবিআই। পরে জেলা সদর হাসপাতালে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কের পিবিআই অফিসের হাজতখানায় ওই ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা ঘটে। এর আগে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পন করেন মোকাদ্দুস।

পিবিআই জানায়, সোমবার সকাল ৬টার দিকে আসামি মোকাদ্দুসকে হাজতখানার ভেতর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় ডিউটিরত পুলিশ। পরে তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ওই মামলায় মোকাদ্দুস ছাড়াও শামিম নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। এর আগে লিটন হত্যার ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামা আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন তাঁর বাবা সাত্তার মিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ আগস্ট জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানখেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন মোকাদ্দুস। তবে রোববার রাত ৮টার দিকে তিনি কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করে থানা-পুলিশ।

পিবিআই জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে আরও ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতে রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি ছিড়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

মোকাদ্দুসের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক) প্রণয় কান্তি দাশ বলেন, ‘পিবিআইয়ের হাজতে থাকাকালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে আমাদের এখানে শুধু ময়নাতদন্ত হয়েছে।’

পিবিআই মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জাফর হুসাইন বলেন, ‘লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস গত রোববার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাঁকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতে আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত