leadT1ad

বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৭
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের পথে এগোতে হবে। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।

বৃহস্পতিবার রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ ও তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারে না। এখনই বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনসহ বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।

কার্ল পেজ তাঁর বক্তব্যে নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব প্রযুক্তি নির্ভরযোগ্য ও শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। বিশেষ করে ভাসমান বা বার্জ-মাউন্টেড রিঅ্যাক্টর তুলনামূলকভাবে কম খরচে এবং দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের বাড়তে থাকা শিল্প খাতের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে পারে। পেজ জানান, পারমাণবিক শক্তি এখন আর বড় উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থাগুলোর কাছে অগ্রহণযোগ্য বিষয় নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতিমধ্যে এ প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।

তিনি আরও বলেন, উদ্ভাবনে বাংলাদেশের শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে। দেশটি চাইলে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে পারে। এর সুফল হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা এবং শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি। বাংলাদেশ উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য একটি কৌশলগত কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে এবং শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক উদ্ভাবনে নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন পেজ।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতি প্রণয়ন করেছে, যাতে সৌর জ্বালানির ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা দ্রুত কমানো ছাড়া বাংলাদেশের সামনে অন্য কোনো বিকল্প নেই।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত