leadT1ad

কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের জন্য বড় হুমকি: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৮
ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের মৌলিক নীতিমালা বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন ফরিদা আখতার। ছবি: পিআইডি

কৃষিকাজে ব্যবহৃত অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, কীটনাশক ব্যবহারের বিষয়টি কেবল কৃষি নীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ নীতিতেও অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় এই খাতের টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।

আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এগ্রোইকোলজি কোয়ালিশন বাংলাদেশ, পিকেএসএফ, ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে, ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও এফআইভিডিবির যৌথভাবে আয়োজিত ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের মৌলিক নীতিমালা: বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক এক পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাকৃতিক জলাশয় রক্ষা ও বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ সংরক্ষণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জলাশয়ের পরিবেশগত সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে।

হাওর ও বাঁওড় অঞ্চলের প্রসঙ্গ টেনে ফরিদা আখতার বলেন, বাঁওড়গুলোকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা সম্ভব হলেও হাওর এলাকায় দায়িত্বজ্ঞানহীন পর্যটনের কারণে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ছে। পর্যটকদের অসচেতনতা ও পরিবেশ দূষণের কারণে হাওরের ইকোসিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। তাই পর্যটন নীতিতেও পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

ফরিদা আখতার বলেন, খাদ্য উৎপাদনের খাত হিসেবে নীতিগতভাবে কৃষির তুলনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে বরাবরই কম গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা পরিবর্তন করা জরুরি। এছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি পরিস্থিতি উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান যেন প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতকে কৃষির মতোই সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়।

পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফএও-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি শি জিয়াওকুন এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এগ্রোইকোলজি কোয়ালিশনের আহ্বায়ক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। মূল গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর সোশ্যাল রিসার্চের গবেষণা পরিচালক আহমেদ বোরহান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমা। এ সময় সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিরাও উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত