স্ট্রিম প্রতিবেদক
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় দেশের ২৯টি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ নামের একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম। প্ল্যাটফর্ম পাঁচটি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৪টি জেলাকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর–রুনী মিলনায়তনে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’র এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘মসজিদ, মন্দির, মাজার, আখড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় সম্প্রীতি যাত্রার ডাক এবং আসন্ন দুর্গাপূজায় ঝুঁকি পর্যালোচনা ও করণীয়’ বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংস্কৃতিক কর্মী বিথী ঘোষের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন লেখক ও গবেষক মীর হুযাইফা আল মামদূহ। বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মাহা মির্জা, শিল্পী অরূপ রাহী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, কবি ফেরদৌস আরা রুমী, লেখক অ্যক্টিভিস্ট বাকি বিল্লাহ এবং সাংবাদিক রহমান মুফিজ।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দুর্গাপূজায় উচ্চঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকা, রংপুর, যশোর, চাঁদপুর ও নোয়াখালী। মাঝারি ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে- গাজীপুর, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনা। দেশের অন্য জেলাগুলো নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ।
২০১৪-২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার প্রতিবেদনে প্রকাশিত পূজা এবং অন্য সময়ে পূজামণ্ডপ ও শোভাযাত্রার রুট বা সংখ্যালঘু বাড়িঘরে হামলার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এই ঝুঁকির মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মন্দির-মসজিদ, মাজার-আখড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায়ও অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। উপরন্তু মাত্রা বিবেচনায় এই জনগোষ্ঠীর মানুষের ওপর উগ্রবাদীদের সংঘবদ্ধ আক্রমণ বেড়েছে। এক্ষেত্রে আক্রমণকারী মবকে ‘প্রেশার গ্রুপ’ সাব্যস্ত করে সবধরনের নিপীড়নবাদী তৎপরতাকে বৈধতা দিয়ে চলেছে সরকার।
মীর হুযাইফা আল মামদূহ বলেন, নানা অভিযোগে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশে সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতা চলছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিসর বিস্তৃত হয়েছে। বৈষম্যহীনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চব্বিশের গণ-আন্দোলনের পরও এ প্রবণতার কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেনি।
মাহা মির্জা বলেন, সরকার চাইলেই মব থামানো সম্ভব। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এই অপরাধগুলোর ব্যাপারে পুরোপুরি চোখ বন্ধ করে আছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মূল স্পিরিটের জায়গা ছিল সহমর্মিতার বাংলাদেশে সব ধর্ম বর্ণের মানুষ মিলেমিশে থাকবে। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশের সংখ্যালঘুরা ভয়ের মধ্যে আছে। এই মুহূর্তের বাংলাদেশ খুবই ভীতিকর। সরকারের আচরণে আমরা আসলে ক্ষুব্ধ।
অরূপ রাহী বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ফ্যাসিবাদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি গোষ্ঠী সামাজিক ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। তারা অন্য ধর্ম, বিশ্বাস ও সংস্কৃতির স্বাধীনতা খর্ব করে চলেছে। মানুষের ঐক্যবদ্ধতার মধ্য দিয়ে এদের রুখে দিতে হবে। এদেশের সম্প্রীতির সংস্কৃতি কোনোভাবেই নস্যাৎ হতে দেওয়া যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, লেখক, সাহিত্যিক, কবি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে গঠিত সম্প্রীতি যাত্রার জেলা-উপজেলা কমিটিগুলো শিগগিরই গঠন করা হবে। যারা বিভিন্ন মন্দির, মাজার, ধর্মীয় স্থাপনা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবেন। সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও বিভ্রান্তি রোধে একটি ফ্যাক্টচেকিং দলও গঠন করা হবে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর স্থানীয় নাগরিকসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক, সংখ্যালঘু, সুফি ও মাজার, বাউল ও ফকির, আদিবাসী, নারী ও পেশাজীবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় দেশের ২৯টি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ নামের একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম। প্ল্যাটফর্ম পাঁচটি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৪টি জেলাকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর–রুনী মিলনায়তনে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’র এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘মসজিদ, মন্দির, মাজার, আখড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় সম্প্রীতি যাত্রার ডাক এবং আসন্ন দুর্গাপূজায় ঝুঁকি পর্যালোচনা ও করণীয়’ বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংস্কৃতিক কর্মী বিথী ঘোষের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন লেখক ও গবেষক মীর হুযাইফা আল মামদূহ। বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মাহা মির্জা, শিল্পী অরূপ রাহী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, কবি ফেরদৌস আরা রুমী, লেখক অ্যক্টিভিস্ট বাকি বিল্লাহ এবং সাংবাদিক রহমান মুফিজ।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দুর্গাপূজায় উচ্চঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকা, রংপুর, যশোর, চাঁদপুর ও নোয়াখালী। মাঝারি ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে- গাজীপুর, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনা। দেশের অন্য জেলাগুলো নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ।
২০১৪-২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার প্রতিবেদনে প্রকাশিত পূজা এবং অন্য সময়ে পূজামণ্ডপ ও শোভাযাত্রার রুট বা সংখ্যালঘু বাড়িঘরে হামলার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এই ঝুঁকির মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মন্দির-মসজিদ, মাজার-আখড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায়ও অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। উপরন্তু মাত্রা বিবেচনায় এই জনগোষ্ঠীর মানুষের ওপর উগ্রবাদীদের সংঘবদ্ধ আক্রমণ বেড়েছে। এক্ষেত্রে আক্রমণকারী মবকে ‘প্রেশার গ্রুপ’ সাব্যস্ত করে সবধরনের নিপীড়নবাদী তৎপরতাকে বৈধতা দিয়ে চলেছে সরকার।
মীর হুযাইফা আল মামদূহ বলেন, নানা অভিযোগে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশে সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতা চলছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিসর বিস্তৃত হয়েছে। বৈষম্যহীনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চব্বিশের গণ-আন্দোলনের পরও এ প্রবণতার কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেনি।
মাহা মির্জা বলেন, সরকার চাইলেই মব থামানো সম্ভব। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এই অপরাধগুলোর ব্যাপারে পুরোপুরি চোখ বন্ধ করে আছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মূল স্পিরিটের জায়গা ছিল সহমর্মিতার বাংলাদেশে সব ধর্ম বর্ণের মানুষ মিলেমিশে থাকবে। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশের সংখ্যালঘুরা ভয়ের মধ্যে আছে। এই মুহূর্তের বাংলাদেশ খুবই ভীতিকর। সরকারের আচরণে আমরা আসলে ক্ষুব্ধ।
অরূপ রাহী বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ফ্যাসিবাদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি গোষ্ঠী সামাজিক ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। তারা অন্য ধর্ম, বিশ্বাস ও সংস্কৃতির স্বাধীনতা খর্ব করে চলেছে। মানুষের ঐক্যবদ্ধতার মধ্য দিয়ে এদের রুখে দিতে হবে। এদেশের সম্প্রীতির সংস্কৃতি কোনোভাবেই নস্যাৎ হতে দেওয়া যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, লেখক, সাহিত্যিক, কবি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে গঠিত সম্প্রীতি যাত্রার জেলা-উপজেলা কমিটিগুলো শিগগিরই গঠন করা হবে। যারা বিভিন্ন মন্দির, মাজার, ধর্মীয় স্থাপনা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবেন। সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও বিভ্রান্তি রোধে একটি ফ্যাক্টচেকিং দলও গঠন করা হবে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর স্থানীয় নাগরিকসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক, সংখ্যালঘু, সুফি ও মাজার, বাউল ও ফকির, আদিবাসী, নারী ও পেশাজীবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগেএডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু আর এখন কেবল মৌসুমি বা শহুরে কোনো রোগ নয়। এটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রায় সব মৌসুমেই মানুষের জীবনে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মনোযোগ যখন কমে আসছে, তখন এই বিষয়টিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক, কূটনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
৬ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে